অন্য যে কোন ‘ধর্মের’ মতো ইসলাম ভাব বা ভক্তিসর্বস্ব ধর্ম নয়। ইসলাম একান্তভাবে ইলম বা জ্ঞান নির্ভর ধর্ম। ইসলামে সর্বক্ষেত্রে ইলমকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যথাযথ ইলম না থাকলে কারো পক্ষে ইসলাম মেনে চলা সম্ভব নয়। এজন্য সমস্ত মুসলিম নর-নারীর জন্য একটা সীমিত পর্যায় পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করা অপরিহার্য। যতটুকু জ্ঞান হলে সে ধর্মের যাবতীয় বিধিবিধান যথাযথভাবে আদায় করতে পারবে, হালাল-হারাম মেনে চলতে পারবে,ততটুকু জ্ঞান অর্জন করা সকলের জন্য আবশ্যক। এ হলো জনসাধারণের কথা।
এর পাশাপাশি সূরা তাওবার ১২২ নাম্বার আয়াতে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, সমাজে ধর্মীয় জ্ঞানে বিশেষজ্ঞ একটি দল থাকতে হবে, যারা ধর্মের সামগ্রিক বিষয়ে জনসাধারণকে দিকনির্দেশনা দিবে। আয়াতে উল্লেখিত “তাফাক্কুহ ফিদ-দ্বীন” বা ধর্মীয় জ্ঞানে গভীর বুৎপত্তি, এই বাক্যটায় জোর দেয়া হয়েছে। এই আয়াত থেকে দু’টি ব্যাপারে নির্দেশনা পাওয়া যায়। প্রথমত, প্রত্যেক মুসলিম সমাজে বিশেষজ্ঞ আলেম ও উলামা শ্রেণীর উপস্থিতি অপরিহার্য। দ্বিতীয়ত, ধর্মের সব বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করা এবং সেসব নিয়ে কথা বলা সমাজের সব সদস্যের দায়িত্ব নয়, বরং বৈধও নয়।
হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী এই উলামা শ্রেণী হলেন নবী রসূলদের উত্তরাধিকার। অর্থাৎ তাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও আদর্শের উত্তরাধিকার। ফলত, ইসলামের জ্ঞানতাত্ত্বিক অঙ্গনে এই বিশেষজ্ঞ উলামাদের একচ্ছত্র অধিকার একটি প্রশ্নাতীত ব্যাপার। সমাজে একজন নবীর যে দায়িত্ব, উলামাদের দায়িত্বও তাই। ইসলামের আদর্শ ও জ্ঞানচর্চাকে জারি রেখে তারা সমাজকে নবীর দেখানো পথে পরিচালিত করবেন এবং সে উদ্দেশ্যে তারা ইলমে নববীকে নিজের জীবনের একমাত্র পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করবেন।
প্রাক-আধুনিক সময়ে মুসলিম সমাজে উলামাদের ধর্মীয় জ্ঞানের অথরিটিশিপ বা কর্তৃত্ব নিয়ে কোন বিতর্ক চোখে পড়ে না। সব যুগে সব সময়ে এই ব্যাপারটি নিঃশর্তে মেনে নেয়া হয়েছে। দুনিয়াব্যাপী ইসলাম সম্প্রসারণের সাথেসাথে মসজিদ, মাদ্রাসা, সুফিদের খানকা, শায়েখদের ইলমি হালাক্বা – এগুলোর মাধ্যমে ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থার এমন এক সুসংহত ও মজবুত কাঠামো নির্মিত হয়েছে, যা সমাজকে উপহার দিয়েছে একদল দক্ষ, প্রাজ্ঞ এবং বিচক্ষণ উলামা শ্রেণী। যারা সত্যিকারার্থে কোরআন ও হাদিস তথা ইসলামি জ্ঞানের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছেন। অবশ্যই বর্তমান সময়ের মতো তখনও ট্রু স্কলারশিপ এবং ফলস স্কলারশিপের ব্যাপারগুলো ছিলো। কিন্তু তাদের অপরিহার্য উপস্থিতিকে কেউ অস্বীকার করেনি।
আধুনিকায়ন বা পশ্চিমায়নের সূচনা লগ্ন থেকেই পুরো ব্যাপারটি পাল্টে যায়। ধর্মের জ্ঞানতাত্ত্বিক বিষয়ের বিশেষজ্ঞ উলামাদের অথরিটিশিপকে নানানভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় এবং এর বিরুদ্ধে একধরণের বিদ্রোহী মনোভাব গড়ে উঠে। এক্ষেত্রে দুটি ঘরানাকে সক্রিয় শক্তি ও প্রণোদনাদায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
প্রথমত : সালাফি আহলে হাদীস ঘরানার লোকজন। যারা চার মাযহাবের তাক্বলীদ বা অনুসরণকে বাতিল করতে গিয়ে এককাট্টাভাবে আলেম উলামাদের ধর্মীয় জ্ঞানের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেন। বরং প্রত্যেক মুসলিমকে তার নিজ পড়াশোনা ও জানাশোনা অনুযায়ী চলতে উৎসাহিত করেন। এই ধরণের চিন্তা কতটা আত্মঘাতী, সেটা সামনের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হবে আশাকরি।
দ্বিতীয়ত এবং প্রধানত : পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে স্যাকুলার আদর্শের অনুসারী। তারা ইউরোপের রেনেসাঁ পরবর্তী সময়ের চার্চ বা যাজক বিরোধী (Anti-clerical) আন্দোলনের সাথে উলামাদের ধর্মীয় নেতৃত্বকে মিলিয়ে পাঠ করেন। ফলে রাষ্ট্র ও সমাজে বিদ্যমান সকল ধর্মীয় কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানকে নির্মূল করে চূড়ান্তরূপে এর ব্যাক্তিকরণ করতে চান।
উনবিংশ শতকে গোটা মুসলিম বিশ্ব ইউরোপের উপনিবেশের আওতায় চলে আসে। এর ফলে সেসব দেশে গড়ে উঠতে থাকে পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থা ও জ্ঞানকাঠামোর আদলে অসংখ্য বিদ্যালয়। সেসব বিদ্যালয়ের সিলেবাস ও কারিকুলাম সাজানো হয় পশ্চিমা চিন্তা ও আদর্শের আধিপত্য (hegemony) কে মেনে নিয়ে। সেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করে যারা বের হতেন তারা ধর্মের ব্যাপারে হয়ে উঠতেন -বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে- অ-বিশেষজ্ঞ মুসলিম চিন্তক ( lay muslim intellectual), আধিপত্যবাদী এবং স্যাকুলার। এই অ-বিশেষজ্ঞ মুসলিম চিন্তকরা যখন ইসলামের নানান বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলা শুরু করলেন, তখন তারা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ঐতিহ্যগত শিক্ষায় শিক্ষিত উলামাদের বিপরীতে অবস্থান নিতে লাগলেন। তারা সেসব উলামাদের প্রতি এক পরোক্ষ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। উলামাদের এই অভিভাবকত্বকে তারা মোল্লাতন্ত্র বা যাজকতন্ত্র আখ্যা দিয়ে এর নির্মূলে উঠে পড়ে লাগলেন।
কিন্তু ইউরোপিয়ান চার্চের যাজকতন্ত্র (hierarchy) এবং আমাদের ট্র্যাডিশনাল স্কলারদের অবস্থানের মাঝে সামান্যতম মিলও যে নাই, ইতিহাস জানা বিচক্ষণ লোক মাত্রই সেটা জেনে থাকবেন। সুতরাং ইউরোপের এন্টি-ক্ল্যারিকাল আন্দোলনের আবেগ নিয়ে ট্র্যাডিশনাল মুসলিম স্কলারদের বিরোধিতায় নামা একটি দূরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য প্রণোদিত পশ্চিমা চিন্তা। বিগত কয়েক যুগ ধরে এই অ-বিশেষজ্ঞ মুসলিম চিন্তকরা ইসলামি জ্ঞানের গণতন্ত্রায়নের কথা বলছেন। অর্থাৎ ইসলামী জ্ঞানের সোর্সগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, মানুষ তার নিজস্ব চিন্তা, যুক্তি ও দর্শন দিয়ে ধর্মকে জানবে, বুঝবে এবং সে অনুযায়ী মেনে চলবে। তারা বলেন,আল্লাহর কাছে তার সকল বান্দা সমান, কেউ কারো উপর মর্যাদা প্রাপ্ত না। এটি যথার্থ কথা, কিন্তু এর পেছনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যটা স্যাকুলার।
মজার ব্যাপার হলো, তারা অন্য যে কোন জ্ঞানগত বিষয়ে এক্সপার্টিজ বা বিশেষজ্ঞতার ব্যাপারটিকে ইতিবাচক এবং আবশ্যক বলে মনে করলেও ধর্মীয় জ্ঞানের ক্ষেত্রে একে নিতান্ত গৌণ ব্যাপার মনে করেন। চিকিৎসাবিদ্যায় চিকিৎসকদের একচ্ছত্র আধিপত্যকে তারা ডাক্তারতন্ত্র আখ্যা দিয়ে এর নির্মূল করতে চান না। ডাক্তারিবিদ্যার গণতন্ত্রায়নের কথা বলেন না। বা সবাইকে ডাক্তারি বই পড়ে নিজ নিজ চিকিৎসার পরামর্শও দেন না।
প্রাথমিক একটা পর্যায় পর্যন্ত ইসলাম জানা এবং বুঝা খুবই সহজ। ইসলামের মৌলিক বিধিবিধান এবং ইবাদতের বিষয়গুলো জানতে হলে খুব বেশী পরিশ্রম করতে হবে না কাউকে। কিন্তু এর জ্ঞানগত ডিসকোর্সে প্রবেশ করার সক্ষমতা সকলের নেই। কেননা এই জগতটি সীমাহীন বিস্তৃত। এবং এর শাখাগত বিষয়গুলোর গভীরতাও অনেক। এক জীবনের সাধনা ব্যতীত কেবল শখের বশে অধ্যয়ন করে এর টিকিটির নাগালও পাওয়া যাবেনা। ইসলামী জ্ঞানের সকল শাখা-প্রশাখা মিলে একধরণের অন্তর্বর্তী শৃঙ্খলা নির্মিত হয়েছে। একটি অপরটির উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকাশনা শিল্পের অকল্পনীয় উন্নতির ফলে আজকাল অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন যে কেউ যেকোন ভাষায় বুখারী শরীফের অনুবাদ পাঠ করতে সক্ষম। চাইলে সে নেট থেকে নামিয়ে বা যেকোন লাইব্রেরিতে গিয়ে এটি সহজেই সংগ্রহ করে নিতে পারে। বুখারী শরীফের তরজমা পড়ে একটা প্রাথমিক অর্থও হয়তো আপাতদৃষ্টে বুঝে নিতে পারবে। কিন্তু বুখারী শরীফকে বুঝার জন্য যে জ্ঞানগত দক্ষতা এবং পারদর্শীতার প্রয়োজন, সেটা কোন ওয়েবসাইট বা লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়না। যে অর্থে কোন জিনিসকে আমরা বোঝা বা আয়ত্ত করা বলি, সেভাবে বুখারী শরীফকে বুঝতে গেলে আপনি কেবল অক্ষরজ্ঞান বা ইসলামের প্রাথমিক জ্ঞান দিয়ে আদৌ কুলিয়ে উঠতে পারবেন না। উচ্চমাত্রার আরবী সাহিত্য, আরবী ব্যাকরণ, উলূমে হাদীসশাস্ত্রের গভীর বুৎপত্তি, রিজাল শাস্ত্রের পান্ডিত্য এবং এর পাশাপাশি ফিকহে হাদীসের প্রজ্ঞা থাকাটা একান্ত জরুরী।
হাদীসের মূল টেক্সটের বাইরে ইমাম বুখারী নিজস্ব মতামত ও বক্তব্য দিয়ে হাদীসের অধ্যায়গুলো বিন্যস্ত করেছেন এবং যে মাত্রায় সেগুলোকে থিওরাইজড করেছেন, সেটা বুঝার সূক্ষ্ম জ্ঞান কেবল ইসলামী শাস্ত্রীয় শিক্ষার দীর্ঘ ডিসিপ্লিনের মধ্য দিয়েই অর্জন করা সম্ভব। একই কথা যে কোন হাদীস গ্রন্থের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ক্ল্যাসিকাল শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা দেখি, একজন ছাত্র বুখারী শরীফের পাঠ তখনই নিতো, যখন সে দীর্ঘ এক শিক্ষাগত ডিসিপ্লিনের ভেতর দিয়ে বুখারী শরীফ পাঠের যোগ্য হয়ে উঠতো।
ইসলামের ক্লাসিক্যাল স্কলারগণ কোন এক বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠলে অপরাপর বিষয়ের জন্য সেসব বিষয়ের স্কলারদের সহায়তা নিতেন। এককভাবে আত্মনির্ভরশীল কেউ ছিলেন না। যিনি হাদিসের স্কলার, তিনি ফিকহের ক্ষেত্রে কোন ফকীহের সহায়তা নিতেন। আবার ফকীহরা হাদীসের জন্য মুহাদ্দিসদের সহায়তা গ্রহণ করতেন। একইভাবে নাহু বা ব্যাকরণিক বিষয়ের জন্য নাহুবিদদের শরণাপন্ন হতেন।
ইমাম মালেকের প্রসিদ্ধ ছাত্র আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াহহাব বলেন, যদি মালেক ইবনে আনাস এবং লাইস ইবনে সা’দের সাহায্য না পেতাম, তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যেতাম। কেননা আমি মনে করতাম রাসুল সাঃ থেকে বর্ণিত সকল হাদিসই আমলযোগ্য। কিন্তু তারা আমাকে শিখিয়েছেন, কোন হাদিসে আমল করতে হবে এবং কোন হাদিস কী কারণে ছেড়ে দিতে হবে।
সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা বলেন, বিজ্ঞ উলামা ব্যতীত সাধারণ মানুষের জন্য হাদিস হলো বিভ্রান্তির জায়গা। এর অর্থ হলো, একজন সাধারণ মানুষ অভিজ্ঞ উলামাদের নির্দেশনা ও সহায়তা ব্যতীত নিজে নিজে হাদিস পড়তে গেলে তার বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। কেননা একটা হাদিসকে কখনও একই সাথে অনেকগুলো জ্ঞানশাখাকে সামনে রেখে পাঠ করতে হয়। যা একজন সাধারণ শিক্ষিত মানুষের পক্ষে সম্ভব না। এজন্যই সাহাবীগণ সব ধরণের হাদিস সাধারণ মানুষের মজলিসে বর্ণনা করতেন না। কিছু হাদীস বর্ণনা করতেন উলামাদের মজলিসে।
ধর্মীয় জ্ঞানের ব্যাপারে ইসলামের একটি মৌলিক নীতি হলো, যা ইবনে আব্বাস ও ইবনে সিরীনসহ আরও অনেকের কাছ থেকেই বর্ণিত হয়েছে, তারা বলেন – এই জ্ঞানই হলো ধর্ম, সুতরাং তোমরা কার কাছ থেকে তা গ্রহন করছো, সেটা ভালো করে যাচাই-বাছাই করে দেখো। সুতরাং যিনি ইলম শিখবেন বা ধর্মের কথা শুনবেন,তার প্রথম দায়িত্বই হলো যার কাছ থেকে শিখছেন তাকে আগে যাচাই করে নেয়া, তিনি যোগ্য কিনা, ধর্মীয় জ্ঞানের ব্যাপারে তিনি কতটুকু নির্ভরযোগ্য। নিজের থেকে গ্রহণ করতে হলেও একইপ্রশ্ন করে নিতে হবে।
আল্লাহর দ্বীন এবং এর প্রকৃত বাহকরা একসময় এ ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবেন, এটা যেন একটা অবধারিত ব্যাপারই ছিল। এমন সময়ে উলামাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কেমন হবে, সেটা রসূল সাঃ তার এক হাদিসে অসাধারণ প্রজ্ঞাময় ভাষায় স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। উক্ত হাদিস থেকে এটাও বুঝা যায় যে, দ্বীনের ইলম কেবল কিতাবি বা আক্ষরিক ব্যাপার নয়, এর রুহানিয়্যাতকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। এই ইলম কেবল কিতাবের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজান্মতরে স্থানান্তরিত হয়নি, বরং এমন এক অদৃশ্য রুহানি শক্তিও এখানে ক্রিয়াশীল, যা সকল যুগের প্রকৃত দ্বীনের বাহককে একই সূত্রে একই মালায় গ্রন্থনা করেছে।
রসূল সাঃ বলেন, প্রত্যেক প্রজন্মের নির্ভরযোগ্য নেককার উত্তরসূরীরা (পূর্বসূরীদের কাছ থেকে) এই দ্বীনী ইলম ধারণ করবে। আর অতিরঞ্জনকারীদের বিকৃতি, ইসলামবিরোধী বাতিলপন্থিদের মিথ্যাচার এবং মূর্খদের অপব্যাখ্যা বিদূরিত করবে, (এবং দ্বীনের স্বরূপ সংরক্ষণ করবে।) — মুসনাদে আহমাদ
এটা কি ড. জোনাথান ব্রাউন থেকে নেওয়া?