এই সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধটি লিখেছেন স্বাধীন বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনার প্রথম প্রেসিডেন্ট আলিয়া ইযযেতবেগভিচ, যিনি বিংশ শতাব্দীর একজন অন্যতম মুসলিম চিন্তাবিদ। এই প্রবন্ধটি এই ২০২০ সালে এসেও যেন প্রাসঙ্গিকতা অক্ষুণ্ণ রেখেছে। যদিও এই লেখাটি বিংশ শতাব্দীতে বসনিয়াতে ইসলামিক পুনর্জাগরণের সময়কালে লেখা কিন্তু তাও এতে সমসাময়িক ইসলামিক শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যাও তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা এমন একটি মুসলিম প্রজন্ম উপহার দিচ্ছে যারা মানসিকভাবে পরাজিত এবং যারা মুসলিমদের এই বর্তমান দুর্বিষহ অবস্থা পরিবর্তনে অক্ষম। এই প্রবন্ধটি উৎসর্গ করা হচ্ছে সকল মুসলিম বাবা মা, শিক্ষকদের প্রতি এবং তাদের প্রতি যারা মুসলিমদেরকে বর্তমান এই পরাজয়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ঘুরে দাড়াতে দেখতে চায়।
বিনয়,নম্রতা,লজ্জাশীলত, শালিনতা এগুলো ইসলামি শিষ্টাচারের মৌলিক গুণাবলী। ইসলাম এই গুণাবলী অর্জনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে। কিন্তু এসব গুণাবলীর অর্জনের মাধ্যমে ইসলাম কখনও এই আদেশ দেয়না যে,যেখানে ক্রোধ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা প্রয়োজন সেখানেও নম্রতা ও বিনয় অবলম্বন করতে,কিংবা চোখ বুজে সয়ে নিতে। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার সাহাবীদের জীবনেই আমরা এর প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত দেখি । তাঁরা একদিকে যেমন ছিলেন নম্রতা ও বিনয়ের দিক দিয়ে সর্বোত্তম চরিত্র ও গুণাবলির অধিকারী,আবার একই সাথে অন্যায়,জুলুম ও কুফরের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ও অনমনীয়।
বক্ষমান লেখায় লেখক এই বিষয়টিই ফুটিয়ে তুলেছেন। ইসলামি শিষ্টাচার এর সাথে তার কোন বিরোধ বা বৈপরীত্য নেই। বরং শিষ্টাচার শিখানোর মাধ্যমে তাকে যেভাবে শক্তিহীন দূর্বল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলা হয়,তার বিরোধিতা করেছেন,এবং এটাকে ভুল তরবিয়ত বলছেন। বৈশ্বিকভাবে এমন এক শিক্ষাব্যাবস্থা গড়ে তুলা হয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভেতরের শক্তি কে নিঃশেষ করে দেয়,এবং সবধরনের জুলুম ও অন্যায়ের সামনে নমনীয় হতে শেখায়। তাদেরকে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে একধরণের আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর জীবন যাপনে দীক্ষিত করে তুলেছে।
(রিওয়ায়াহ সম্পাদকমণ্ডলী)
আমি এই সংলাপটি কল্পনা করছি আমাদের বাবা মা এবং ধর্মীয় শিক্ষকদের সাথে। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, আমার একজন ভালো এবং উদ্ভাসিত মুসলিম বন্ধুকে দেখেছিলাম, মুসলিম যুবকদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে লেখালেখি করতে।আমি তার প্রবন্ধটি পড়েছিলাম। যদিও সেটি অসমাপ্ত ছিলো কিন্তু তার মূলভাব প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিলো সেই লেখাতেই। ঈমানের চেতনার উপর শিক্ষার ভিত্তি হওয়ার উপর জোর দিয়ে আমার বন্ধু কল্যাণ, উত্তম আখলাক, নম্রতা, দয়াশীলতা, ক্ষমানুভবতা, তক্বদীরকে মেনে নেয়া, ধৈর্য ইত্যাদি বিষয় সন্তানের হৃদয়ঙ্গম করানোর জন্য বাবা মাকে আহ্বান জানান । বিশেষত আমার বন্ধু বাবা মাকে সতর্ক করেন যাতে তারা সন্তানদেরকে পশ্চিমা এবং থ্রিলার মুভি, অপ্রয়োজনীয় প্রিন্ট মিডিয়া এবং খেলাধুলা থেকে দূরে রাখেন কেননা এগুলো শুধু আক্রমণভাবাপন্ন হতে কিংবা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তুলে। সব থেকে বেশি আমার বন্ধুর লেখায় আমি খুজে পেয়েছি তা হলো আনুগত্য কিংবা বাধ্যতা। একজন শিশু বাসায় তার বাবা মার প্রতি, মক্তবে তার ইমামের প্রতি, স্কুলে শিক্ষকের প্রতি, রাস্তায় পুলিশের প্রতি এবং ভবিষ্যতে তার অফিসের বসের প্রতি কিংবা ঊর্ধ্বতনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবে।
এই আদর্শ অবস্থাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমার বন্ধু এমন একটি ছেলের উদাহরণ টেনেছে যে সব খারাপ থেকে দূরে অবস্থান করে, কোনো পশ্চিমা মুভি দেখেনা ( এর বিপরীতে সে পিয়ানো ক্লাসে যায়), ফুটবল খেলে না, তার লম্বা চুল নেই, তার কোনো প্রেমিকাও নেই ( “যখন সময় আসবে” তখন বাবা মা তার বিয়ে দিবেন)। ছেলেটি কখনো উচ্চস্বরে কথা বলে না, তার মনোভাব প্রকাশ পায় না, নিস্তব্ধ কণ্ঠস্বর ( সে যেন জীবিতই না), সে যেখানেই যায় সেখানেই সে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করতে মরিয়া হয়ে উঠে এবং এপোলোজেটিক এর মত আচরণ করে।
যদিও লেখক মুখ খুলে বলে নি কিন্তু আমরা ধারণা করতে পারি যে এই রীতি যদি এভাবে আগায়, তাহলে এমনটি হবে যে ছেলেটির প্রতি কোথাও অন্যায় হলো, সে সেখানে চুপ থাকবে। তাকে যদি আঘাত করা হয় তাহলে সে প্রত্যুত্তরে এই বলেই সন্তুষ্ট থাকবে যে, “ এ কাজটি ঠিক হয়নি”। বলা যায় সে এমন একজন ব্যক্তি যে কখনো একটি পিঁপড়াকেও আঘাত করে না।
লেখাটি পড়ার সময় আমার একটি ইংরেজি প্রবাদ একদম পরিষ্কারভাবে বুঝে আসলো, “ The road to hell is paved with good intentions”। অর্থাৎ অপরিণামদর্শী নিয়ত অনুযায়ী কাজ করলে তার পরিণাম অকল্যাণ বৈ কিছু নয়। শুধু তাই নয়, আমার মনে হচ্ছে আমি বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে চলে আসা অধঃপতনের অন্যতম কারণটি ধরতে পেরেছি, আর তা হলো উঠতি প্রজন্মের গলদ শিক্ষাব্যবস্থা/তরবিয়ত/লালনপালন। সত্যি বললে সঠিক ইসলামী চিন্তা চেতনা না ধরতে পারার কারণে বিগত শতাব্দী ধরে আমরা আমাদের তরুণদেরকে ভুল শিক্ষা দিয়েই আসছি । আমরা আমাদের তরুণদেরকে শিক্ষা দিয়ে আসছি যাতে তারা সব সময় ভালো হয়ে থাকে, কখনো কারো সম্পর্কে খারাপ চিন্তা না করে এমনকি একটা মাছি সম্পর্কেও না, সবসময় অনুগত হয়ে থাকতে ভাগ্যকে বরণ করে নিতে এবং যেকোনো নিয়মের প্রতি এমনভাবে বাধ্য হয়ে থাকতে যেন তা আল্লাহ প্রদত্ত। অথচ যেখানে আমাদের শত্রুরা একই সাথে শিক্ষিত এবং দয়ামায়াবিহীন এবং তারা একে একে সব মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে দখল করে নিচ্ছে।
আমি জানি না এরকম অন্যের অধীন হয়ে থাকার এমন দুর্বল দর্শনের আদি উৎপত্তিস্থল কোথায় তবে আমি এতটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি যে তা ইসলামের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এই দর্শন একই সাথে দুইটি চিন্তাকে লালন পালন করে একে অপরকে জিইয়ে রাখতে খুব সুন্দরভাবে কাজ করে। এই পরাজিত দৃষ্টিবভঙ্গি একই সাথে জীবিতকে মৃত বানিয়ে রাখে এবং ঈমানের নামে ভুল আদর্শকে ফুটিয়ে তোলে। এমন মনোভাব এমন সব ব্যক্তিকে ইসলামের নামে একত্র করে যারা বাচার চেষ্টা করার আগেই মারা গিয়েছে। এরকম দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে দুর্বলচিত্তের মানুষ তৈরি করে যারা সবসময় আত্ম-সমালোচনা এবং অপরাধবোধে ভুগতে থাকে। এরকম দর্শন সেসব ব্যর্থ মানুষের নিকট খুবই আকর্ষণীয় মনে হয় যারা আসলে বাস্তবতা থেকে দূরে থাকতে চায় এবং নিষ্ক্রিয়তা এবং সান্ত্বনার মধ্যে আশ্রয় খুজতে থাকে। নবজাগরণের এই সময়ে এসেও ইসলামী চিন্তার ধারকবাহকগণ কিংবা দাবিকারীগণ প্রত্যেক রকমের দ্বন্দ্বতেই ব্যর্থ হচ্ছে, তাঁর ব্যাখ্যা একমাত্র এইরকম মনমানসিকতাতেই লুকিয়ে আছে। তাদের হাত বাধা, নিষেধাজ্ঞা এবং দ্বিধাদ্বন্দ্বের এক দর্শনে। এই ব্যক্তিবর্গ সাধারণত নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থান করেন কিন্তু দিনশেষে তারা হেরে যান এমন শত্রুদের কাছে যারা তাদের থেকে কম সভ্য এবং কুচরিত্রের অধিকারী। দ্বন্দ্বে তাঁরা তাদের শত্রুদের নিচেই অবস্থান করেন। এই শত্রুরা সাধারণত তাদের উদ্দেশ্যর প্রতি অটল এবং বেপরোয়া এবং তারা তাদের উদ্দেশ্য্ হাসিলের জন্য কোন কিছুরই পরোয়া করেনা।
এটাই তো স্বাভাবিক যে আমাদেরকে যারা নেতৃত্ব দিবেন তারা ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত এবং ইসলামী চিন্তা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হবেন, নাকি অন্যকিছু? কিন্তু তারা একটা সামান্য কারণে সফল হতে পারছেন না, তা হলো তারা শিক্ষিত হয়েছেন নেতৃত্ব দেয়ার জন্য না বরঞ্চ অন্যের নেতৃত্বের অধীনে থাকার জন্য। ফিরিঙিদের শাসন ব্যবস্থা, তাদের চিন্তা, তাদের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার থেকে বেশি সহজাত আর কি হতে পারে মুসলিমদের জন্য, মুসলমান ভূমিতে নেতৃত্বদানকারী হিসাবে? কিন্তু এটিও তারা একটি সামান্য কারণের জন্য্ করতে পারছেন না, তা হলো তারা কখনো উচুস্বরে কথা বলার শিক্ষাই পাননি বরঞ্চ তারা শিক্ষা পেয়েছেন কিভাবে শুধু অনুগত থাকতে হয়, আনুগত্য প্রকাশ করতে হয়। আমরা শিক্ষিত হিসাবে গড়ে তুলেছি কাপুরুষ এবং চাকর, মুসলিম নয়। যেই দুনিয়া পরিপূর্ণ অনৈতিকতা দিয়ে, দাসত্ব এবং অন্যায় অবিচার দিয়ে সেখানে আমরা তরুণদের শিক্ষা দিচ্ছি কী করে এড়িয়ে চলতে হবে, নিষ্ক্রিয় থাকতে হবে এবং বাধ্য, অনুগত হয়ে থাকতে হবে। এভাবে কি নিজেদের উপর করা জুলুম নির্যাতনে আমরা নিজেরাই অংশীদার হচ্ছি না?
যেই মানসিকতা নিয়ে আমরা কথা বলছি তার বিভিন্ন দিক আছে। এর মধ্যে একটি দিক হলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অতীতের ঘটনাগুলোরই পুনারাবৃত্তি করা। আমরা আমাদের তরুণদের শিক্ষা দিচ্ছি ইসলাম অতীতে কেমন ছিলো অথচ আমাদের শিক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো ইসলাম কেমন হওয়া উচিত। তারা আল-আন্দালুসের আল-হামরা এবং পুরানো কালের বিজয়গুলো সম্পর্কে জানে, তারা জানে কর্ডোবা কিংবা সমরকন্দের গ্রন্থাগারগুলো সম্পর্কে, তারা জানে “আলিফ লায়লা” এর শহরকে। তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা সবসময় চমৎকার সেই অতীত ঘিরে কাজ করে এবং তারা সেই অতীতেই বসবাস করতে শুরু করে। অবশ্যই ইতিহাসের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমাদের প্রসিদ্ধ পূর্বপুরুষদের দ্বারা কতগুলো সুন্দর সুন্দর মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিলো তা গণনা করা ও স্মৃতিরোমন্থনেই ব্যস্ত না থেকে আমার রাস্তার ধারের জীর্ণশীর্ণ সাধারণ মসজিদের খয়ে যাওয়া ছাদকে মেরামত করা বেশি কাজের। এই ইতিহাস পাঠের ফলাফল যদি শুধুমাত্র আমাদের দীর্ঘশ্বাস আর স্মৃতিকে জড়িয়ে বেচে থাকার কারণই হয় তাহলে সেই ইতিহাস পুড়িয়ে ফেলাই উচিত। যদি আমাদের কীর্তিস্তম্ভগুলোর ধ্বংসই আমাদেরকে স্তম্বিত ফেরাতে পারে এবং বুঝাতে পারে যে আমরা আমাদের অতীত নিয়েই জীবন কাটিয়ে দিতে পারি না এবং আমাদের বর্তমানের ব্যাপারে আমাদের কিছু করা উচিত তাহলে সেসব কীর্তিস্তম্ভের ধ্বংসই উত্তম।
এই ক্ষতিকর পরাধীনতা এবং প্রতিরোধের অক্ষমতার শিক্ষানীতি কুর’আনের ভাষ্যের সাথে বৈপরিত্যের এক চরম নিশানা । এটা এক প্যারাডক্স যে ইসলামের নামে এই শিক্ষা দেয়া হলেও কুরআনে ৫০ বারেরও বেশি সংগ্রাম এবং প্রতিরোধের বিষয় উল্লেখিত হয়েছে। জীবনবিধান হিসাবে কুরআন পরাধীনতাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। একাধিক মিথ্যে শাসকগোষ্ঠী এবং আইনপ্রণয়নকারীর কাছে পরাধীনতার বদলে কুরআন প্রতিষ্ঠা করেছে একমাত্র একজন আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করার জীবনবিধান। এই এক আল্লাহর কাছে আনুগত্যর মাধ্যমে সকল ধরণের পরাধীনতা এবং ভয় থেকে মুক্ত করে মানুষকে প্রকৃত স্বাধীন হিসেবে গড়ে তুলেছে এই কুরআন।
আমরা তাহলে আমাদের বাবা মা এবং শিক্ষকদের কি পরামর্শ দিতে পারি?
কিছু পারুক আর না পারুক আমরা তাদেরকে বলতে পারি অন্তত তারা যেন তরুণদের ভেতরের শক্তিকে বিনষ্ট না করে ফেলেন। বরঞ্চ তারা যেন তরুণদেরকে দিকনির্দেশনা দেয় এবং গড়ে তোলে। এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে তারা শুধু নপুংসকই তৈরি করতে পেরেছে, মুসলিম নয়। এবং ইসলামে মৃত মানুষকে পথপ্রদর্শন করার কোন ব্যবস্থা নেই। একজন মুসলিমকে সম্পূর্ণ এবং বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। শিক্ষকরা বিনয়াবনতার বদলে কথা বলুক গর্ব-গৌরব নিয়ে, আনুগত্যর বদলে সাহসিকতা ও বীরত্ব নিয়ে, মহানুভবতার বদলে ন্যায়পরায়ণ হওয়া নিয়ে কথা বলতে দিন। তাদেরকে এমন এক আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তুলতে দিন যারা বাচার জন্য কারো অনুমতির অপেক্ষা করবে না কিংবা কারো কাছে জিজ্ঞেস করবে না। আমাদের জানা ও বুঝা উচিত যে, ইসলামের উন্নতি- অন্য সকল উন্নতির মতোই- কোন আজ্ঞাবহ, নিরীহ ও অনুগত ব্যক্তি বা জনগণের মাধ্যমে হবে না, বরং তা হবে বিদ্রোহী মনোভাব এবং সাহসীকতার মধ্য দিয়ে।
অনুবাদে সহায়তা করেছেনঃ
রায়হান মাহমুদ