Riwayahbd
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ
No Result
View All Result
Riwayahbd
No Result
View All Result

জন্ম থেকে ওফাতঃ নবী-জীবনের সংক্ষিপ্ত ধারাবিবরণী।

by সাবের চৌধুরী
October 22, 2020
2 min read
0
জন্ম থেকে ওফাতঃ নবী-জীবনের সংক্ষিপ্ত ধারাবিবরণী।
86
SHARES
662
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

মহানবি হজরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরি পূর্ব রবিউল আওয়াল মুতাবেক ৫৭১ খৃস্টাব্দের এপ্রিল মাসের সোমবার সুবহে সাদিকের সময় জন্ম গ্রহণ করেন। জন্মের মাস কয়েক পূর্বে তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ মৃত্যু বরণ করেন। দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাঁর নাম রাখেন মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব। নবিজির মাতা হজরত আমেনা তাঁর নাম রাখেন আহমাদ। কয়েক দিন আবু লাহাবের দাসী সুওয়াইবার দুধ পানের পর কুরাইশদের রীতি অনুযায়ী  নবিজিকে মক্কার বাইরে হজরত হালিমা সাদিয়ার কাছে দুধ পানের জন্য সোপর্দ করা হয়। তখন নবিজির বয়স মাত্র আট দিন। 

 

চার বছর বয়সে নবিজির বক্ষ বিদারণ হয়। ঐতিহাসিকগণ লিখেন মোট চার বার নবিজির বক্ষ বিদারণ হয়। প্রথম বার হজরত হালিমা সাদিয়ার তত্ত্ববধানে থাকাবস্থায়। দ্বিতীয় বার দশ বছর বয়সে।(১)

 তৃতীয় বার নবুওত প্রাপ্তির সময়।(২)

 চতুর্থবার মেরাজের রাতে ।(৩)

কেউ কেউ পঞ্চম বার বক্ষ বিদারণের কথা উল্লেখ করলেও বিশুদ্ধমতে তা প্রমাণিত নয়।(৪)

নবিজি ছয় বছর পর্যন্ত হজরত হালিমা সাদিয়ার তত্ত্বাবধানে  ছিলেন। 

 

নবিজির ছয় বছর বয়সে তার মাতা হজরত আমেনা এক মাস তার মায়ের বাড়িতে অবস্থান করে ফেরার সময় আবওয়া নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।(৫)

 

হজরত আমেনার মৃত্যুর পর থেকে নবিজি দাদা আব্দুল মুত্তালিবের তত্ত্ববধানে আসেন। আট বছর বয়সে তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিবের মৃত্যু হয়। দাদার মৃত্যুর পর নবিজি তার চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে আসেন। (৬)

বারো বছর বয়সে নবিজি তাঁর চাচার সাথে প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে সিরিয়া সফর করেন। এই সফরেই বুহাইরা নামক পাদ্রী তাঁকে দেখে নবুওতের ভবিষ্যদ্বাণী করেন।(৭)

 

ষোলো বছর বয়সে নবিজি মক্কার পাঁচ গোত্রের সামাজিক শান্তি ও সেবামূলক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুলে’ অংশগ্রহণ করেন।

চৌদ্দ বা পনেরো কোন কোন বর্ণনা মতে বিশ বছর বয়েসে আরব ইতিহাসের বিখ্যাত যুদ্ধ ‘হারবুল ফুজ্জার’ সংঘটিত হয়। নবিজি এতে তার চাচাদের পীড়াপীড়িতে অংশ নিলেও মারামারিতে থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন। (৮)

পঁচিশ বছর বয়সে নবিজি হজরত খাদিজার রাযিয়াল্লাহু আনহার অর্থে দ্বিতীয়বার ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে সিরিয়া সফর করেন।

সফর সম্পন্ন হলে ব্যবসায়িক সাফল্য, সফরে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি এবং নবিজির চারিত্রিক উৎকর্ষে মুগ্ধ হয়ে দুই মাস পঁচিশ দিন বাদে হজরত খাদিজা নবিজিকে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। (৯)

 

পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে কাবা’র তৃতীয় নির্মাণে ‘হাজরে আসওয়াদ’ বা  কালো পাথরকে নিজ হাতে সস্থানে স্থাপন করে যুদ্ধ উন্মুখ কুরাইশ গোত্রের মাঝে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ প্রতিস্থাপন করেন । (১০)

উনচল্লিশ বছর পর্যন্ত নবিজি  আপন-পর নির্বিশেষে সকলের কাছে  সাদিক (সত্যবাদী) এবং আমিন (বিশ্বস্ত)  নামে পরিচিত ছিলেন।

নবিজির বয়শ যখন চল্লিশ। তখন নবিজি বেশির ভাগ সময় হেরা-গুহায় কাটাতেন। এবং এখানেই তিনি নবুওত প্রাপ্ত হন।

 

নবুওতের প্রথম বর্ষে হেরা গুহায় সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাজিল হয় । (১১)

নবিজি রবিবারে নবুওত প্রাপ্ত হন এই ব্যাপারে সকল ঐতিহাসিকগণ একমত। কিন্তু সেটা ঠিক কোন মাস ছিলো এ ব্যাপারে তাদের মতভেদ আছে। ইবনে আব্দিল বারের মতে রবিউল আওয়ালের আট তারিখ নবিজির বয়স যখন চল্লিশ বছর, তখন তিনি নবুওত প্রাপ্ত হন। ইবনে ইসহাকের মতে সতেরো রমজান নবিজির বয়স যখন চল্লিশ বছর ছয় মাস তখন তিনি নবুওত প্রাপ্ত হন। হাফিজ ইবনে হাজার এই মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। (১২)

 

নবুওতের দ্বিতীয় বর্ষে নবিজি গোপনে ইসলামে দাওয়াত দেয়ার কাজ শুরু করেন। এই বছরই হজরত খাদিজা, ওরাকা ইবনে নওফল, আলি, আবু বকর, জাফর ইবনে আবি তালিব, আফিফ কিন্দি, তালহা, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস, খালিদ বিন সাইদ, ওসমান বিন আফফান, আম্মার, সুহাইব, আমর ইবনে আনবাসা এবং যায়েদ বিন হারেসা রাদিয়াল্লাহু আনহুম ইসলাম গ্রহণ করেন। আরও কতিপয় সাহাবিসহ এদেরকে সাবিকিনে আওয়ালিন বলা হয়।

 

নবুওতের তৃতীয় বর্ষে নবিজির পালকপুত্র হজরত যায়েদ বিন হারেসার পুত্র সন্তান হজরত উসামা জন্ম গ্রহণ করেন।

 

নবুওতের চতুর্থ বছরে নবিজিকে প্রকাশ্যে ইসলামে দাওয়াতের আদেশ দেয়া হয়। ফলত মক্কার কাফেররা বিশেষত কুরাইশরা নবিজির প্রকাশ্য শত্রুতে পরিণত হয়। একই বছরে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহা জন্ম গ্রহণ করেন।

 

নবুওতের পঞ্চম বর্ষে হজরত জাফর ইবনে আবি তালিব ইসলাম গ্রহণ করেন। এ বছরই হাবশায় প্রথম ও দ্বিতীয় হিজরত হয়। প্রথম বার এগারো জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী (১৩) এবং দ্বিতীয় বার ছিয়াশি জন পুরুষ এবং ষোলো জন নারী হিজরত করেন (১৪)।

অভিশপ্ত আবু জাহেলের হাতে ইসলামের প্রথম নারী শহীদ হজরত সুমাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা শাহাদত বরণ করেন। 

 

নবুওতের ষষ্ঠ বর্ষে হজরত হামজা ও ওমর ইসলাম গ্রহণ করেন। তাদের কল্যাণে কাবায় প্রকাশ্যে নামাজ আদায় করা হয়। (১৫)

 

নবুওতের সপ্তম বর্ষে কুরাইশরা নবিজিসহ বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিবকে বয়কট করে শিয়াবে আবু তালিবে সেচ্ছা বন্দিত্বে বাধ্য করে। এ বছর নবিজির চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস জন্ম গ্রহণ করেন।(১৬)

 

নবুওতের অষ্টম বর্ষে মক্কার কাফেরদের দাবী অনুযায়ী  নবিজি শক্কে কামার (চন্দ্র দ্বিখন্ডিত) করে দেখান। (১৭)

 

নবুওতের নবম বর্ষে শিয়াবে আবু তালিবের বন্দিত্বই  চলমান ছিলো।

 

নবুওতের দশম বর্ষে বয়কট শেষ হয়। (১৮) এ বছর নবিজির চাচা আবু তালিব মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর তিন বা চার দিন বাদে হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহাও ইন্তিকাল করেন। এ বছরকে ‘আমুল হুজন’ তথা দুঃখের বছর বলা হয়।(১৯)

এ বছরেই হজরত সাওদা বিনতে যামআর সাথে নবিজি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এবং হজরত আয়েশার সাথে নবিজির বিবাহ সম্পন্ন হয়। তবে তিনি নবিগৃহে আসেন আরও পরে। তায়েফের হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক ঘটনাও একই বছরে ঘটে। (২০)

 

নবুওতের এগারো তম বর্ষে নবিজির দাওয়াতে মদিনায় আগত প্রায় ছয় জন হাজি ইসলাম গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় আনসারদের ইসলাম গ্রহণ। (২১)

 

নবুওতের বারো তম বর্ষে নবিজি মেরাজ গমন করেন। মেরাজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। এ বছর আকাবার প্রথম বাইআত (চুক্তি) সংগঠিত হয়। এতে বারো জন ইসলাম গ্রহণ করেন। (২২)

নবুওতের তেরো তম বর্ষে আকাবার দ্বিতীয় বাইআত (চুক্তি) সংগঠিত হয়। এতে তিরাশি জন পুরুষ এবং দুইজন নারী ইসলাম গ্রহণ করেন। এ বছরই মুসলমানগণ মদিনায় হিজরত করেন। যখন মক্কার কাফেররা নবিজিকে হত্যার কুপরিকল্পনা আঁটে। হিজরতের অনুমতিসহ নবিজিকে কুরাইশদের ষড়যন্ত্র অবহিত করতে আল্লাহ হজরত জিবরাইলকে পাঠান। হিজরতের অনুমতি পেয়ে নবিজি হজরত আবু বকরকে সাথে নিয়ে মদিনার পথে বেড়িয়ে পড়েন।

 

নবিজির মাদানি জীবন

 

নবিজির হিজরত পরবর্তী জীবনকে বলা হয় মাদানি জীবন। মাদানি জীবনে নবিজির কষ্ট-মুজাহাদা, ত্যাগ-তিতিক্ষার কল্যাণে ইসলাম খুব দ্রুত লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। জানবাজ সাহাবায়ে কেরাম নবিজির ইশারায় নিজিদের জান-মাল-ইজ্জত তথা সর্বস্ব কুরবানি দিতে প্রস্তুত ছিলেন। নবিজির সেই তুলনারহিত যুগ বিনির্মাণের বর্ণনায় খণ্ডের পর খণ্ড লিখা যাবে, তবু তার হক আদায় হবে না। এখানে আমরা যারপরনাই সংক্ষিপ্তাকারে নবিজির হিজরত পরবর্তী জীবনকে তুলে ধরার প্রয়াস পাব। 

 

হিজরি প্রথম বর্ষ:

হজরত আবু বকরকে সাথে নিয়ে সাউর গুহায় তিন দিন অবস্থান করে পহেলা রবিউল আওয়াল নবিজি মদিনা রওনা করেন। মদিনায় পৌঁছেই নবিজি ইসলামের প্রথম মসজিদ মসজিদে কুবার ভিত্তি স্থাপন করেন। মদিনার ইহুদি এবং আশেপাশের বসবাসকারীদের সাথে শান্তি চুক্তি করেন। এ বছর হজরত সালমান ফারসি ইসলাম গ্রহণ করেন।  মসজিদে নববি নির্মিত হয় এবং আজান-ইকামত শুরু হয়। আনসার এবং মুহাজিরদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের এমন বন্ধন রচিত হয়, যার উপমা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি নেই। এ বছরই হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে উঠিয়ে নবিগৃহে আনা হয়।

 

হিজরি দ্বিতীয় বর্ষ:

হিজরি দ্বিতীয় বর্ষে জিহাদ,রোজা, জাকাত, সাদাকাতুল ফিতর এবং দুই ঈদের নামাজ ফরজ হয়। কিবলা পরবর্তন হয়। মসজিদে আকসার বদলে বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে নামাজ পড়া শুরু হয়। হজরত আলি এবং ফাতেমা রাযিয়াল্লাহু আনহুম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হজরত রুকাইয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহাও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদর এ বছরই সংগঠিত হয়।

 

হিজরি তৃতীয় বর্ষ:

হিজরি তৃতীয় বর্ষে নবিজি হজরত হাফসা বিনতে ওমর এবং যয়নব বিনতে খুজাইমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হজরত হাসান বিন আলি জন্ম গ্রহণ করেন। হজরত উসমান এবং উম্মে কুলসুম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। গুস্তাখে রাসুল কাব ইবনে আশরাফ এবং আবু রাফে’কে জাহান্নামে পাঠানো হয়। ওহুদ যুদ্ধ সংগঠিত হয়।

 

হিজরি চতুর্থ বর্ষ:

হিজরি চতুর্থ বর্ষে বনু নাজির গোত্রকে নির্বাসন দেয়া হয়। হজরত হুসাইন বিন আলি জন্ম গ্রহণ করেন। নবিজি এবং হজরত উম্মে সালমা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ বছরেই মদ পান হারামের আায়াত নাজিল হয়।

 

হিজরি পঞ্চম বর্ষ:

হিজরি পঞ্চম বর্ষে শরঈ পর্দা, যিনার হুকুম, সালাতুল খাউফ তথা শত্রুকবলিত থাকা অবস্থায় নামাজের বিধান, এবং তায়াম্মুমের বৈধতার বিধান নাজিল হয়। ইফকের ঘটনা এবং আম্মাজান হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার শানে সুরা নুর নাজিল হয়। নবিজি হজরত জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস এবং জয়নব বিনতে জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহুমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খন্দক, বনু মুস্তালিক এবং বিরে মাউনা –যেখানে ধোকা দিয়ে সত্তর জন সাহাবিকে শহিদ করা হয়– সংগঠিত হয়।

 

হিজরি ষষ্ঠ বর্ষ:

হিজরি ষষ্ঠ বর্ষে বিত্তবান মুসলমানের উপর জাকাত ফরজ হয়। সুরা ফাতাহ নাজিল। হুদাইবিয়ার সন্ধি হয়। নবিজি তের শ সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে হজে রওনা হন। হুদাইবিয়ার সন্ধি থেকে ফিরে  বিভন্ন রাষ্ট্র ও সাম্রাজ্য প্রধানের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে পত্র লিখেন। এ বছর মদিনায় মহামারি দেখা দেয় এবং নবিজির দুআয় তা দূর হয়।

হিজরি সপ্তম বর্ষ: 

নবুওতের সপ্তম বর্ষে খাইবার যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ থেকে ফিরতে লাইলাতুত তারিসের (বিশ্রাম) ঘটনা ঘটে। তখন পুরা কাফেলার নামাজ কাজা হয়ে গিয়েছিলো। এ বছর হজরত আবু হুরাইরা ইসলাম গ্রহণ করেন। ইহুদি যয়নব বিনতে হারিস কর্তৃক নবিজিকে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। নবিজি উম্মে হাবিবা রমলা বিনতে আবি সুফিয়ান এবং সাফিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

হিজরি অষ্টম বর্ষ:

হিজরি অষ্টম বর্ষে হজরত খালিদ বিন ওলিদ এবং আমর ইবনুল আস ইসলাম গ্রহণ করেন। নবিজি কাজা ওমরা পালন করেন। মুতার যুদ্ধ এবং মক্কা বিজয় হয়। হজরত আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করেন। হুনাইন ও তায়েফের যুদ্ধ হয়। হজরত আবু বকরের পিতা হজরত আবু কুহাফা ইসলাম গ্রহণ করেন। এ বছরই নবিপুত্র হজরত ইবরাহিম জন্ম গ্রহণ করেন।

 

হিজরি নবম বর্ষ:

হিজরি নবম বর্ষে তাবুক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ থেকে ফিরার সময় মুনাফিকদের মসজিদে জিরার ধ্বসিয়ে দেয়া হয়। এ বছর মুনাফিক সরদার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই সালূল মারা যায়। বিভিন্ন দেশ ও গোত্রের সত্তরোর্ধ প্রতিনিধি দল নবিজির সাথে সাক্ষাত করে। সুরা তাওবা নাজিল হয়।  নবিজি উম্মুল মুমিনিন থেকে এক মাস দূরে থাকার শপথ (ঈলা) করেন। এবছর নবিজি ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে ডান বাহু এবং পায়ে ব্যথা পান।  হজ ফরজ হয়। হজরত আবু বকরকে হজের আমির বানিয়ে তিন শত সাহাবিকে হজে পাঠানো হয়।

 

হিজরি দশম বর্ষ: 

হিজরি দশম বর্ষে মুসাইলামা কাজ্জাব এবং আসওয়াদ আনসি নবুওত দাবী করে। নবিজি বিদায় হজের ভাষণ দেন। বিদায় হজের এই ভাষণে নবিজির সকল স্ত্রীসহ (তারা ছিলেন মোট নয়জন) লক্ষাধিক সাহাবায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। এই ভাষণে নবিজি ইসলামের মূলনীতিগুলো খুব সংক্ষেপে অথচ পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা করেছেন। ইসলাম ও অনৈসলাম এবং হক বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করেন। সবশেষে দীন পূর্ণ হয়ে গেলে নবিজিও উম্মতকে আল-বিদা বলে পরম প্রভুর ডাকে সারা দেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…

 

তথ্যসূত্র:

১.  ফাতহুল বারি, খণ্ড১৩, পৃষ্ঠা ৬৮১

২. মুসনাদে আবি দাউদ, পৃষ্ঠা ২১৫

৩. সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৩৭৯

৪. সিরাতে মুস্তফা, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৫

৫. শারহুল মাওয়াহিব, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৬০

৬. তাবাকাতে ইবনে সাদ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৬

৭.  আল খাসায়িসুল কুবরা, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৬

৮. রাওজুল আনফি, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১২০

৯. তাবাকাতে ইবনে সাদ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৮৩

১০. সিরাতে ইবনে হিশাম, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৬৫

১১. শরহুল মাওয়াহিব, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২০৮

১২. ফাতহুল বারি, খণ্ড ১২, পৃষ্ঠা ৩১৩

১৩. ফাতহুল বারি, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১২৮

১৪. সিরাতে ইবনে হিশাম, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১১১

১৫. শারহুল মাওয়াহিব, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৮৬

১৬. রাওদাতুল আনফি, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৩২

১৭. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১১৮

১৮. তাবাকাতে ইবনে সাদ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৩৯

১৯. শারহুল মাওয়াহিব, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৯১

২০. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৩৫

২১. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৬৮

২২. শারহুল মাওয়াহিব, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৩১৬

 

Facebook Comments

Previous Post

রাসুলের সাঃ এর জন্মদিবসঃ একটি দালিলিক পর্যালোচনা।

Next Post

নববী পরিবার ও দাম্পত্য : আদর্শ ও বৈশিষ্ট্য। কাজী একরাম

সাবের চৌধুরী

সাবের চৌধুরী

Related Posts

ইমাম সুফিয়ান সাওরী রহ.- জীবন ও কর্ম
ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার

ইমাম সুফিয়ান সাওরী রহ.- জীবন ও কর্ম

September 7, 2021
তাবেঈ রাবী ইবনে খুসাইম: একজন আলোকিত মানুষের আলোকিত জীবন। শারাফাত শরীফ
বিবিধ

তাবেঈ রাবী ইবনে খুসাইম: একজন আলোকিত মানুষের আলোকিত জীবন। শারাফাত শরীফ

July 12, 2021
Next Post
নববী পরিবার ও দাম্পত্য : আদর্শ ও বৈশিষ্ট্য। কাজী একরাম

নববী পরিবার ও দাম্পত্য : আদর্শ ও বৈশিষ্ট্য। কাজী একরাম

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

No Result
View All Result

Recent.

প্রচলিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপঃ পেছনের দৃশ্য । আব্দুল্লাহ বিন বশির

প্রচলিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপঃ পেছনের দৃশ্য । আব্দুল্লাহ বিন বশির

May 14, 2022
জাতীয়তাবাদ: জাহিলিয়্যাতের নতুন রূপ || আব্দুল্লাহ বিন বশির

জাতীয়তাবাদ: জাহিলিয়্যাতের নতুন রূপ || আব্দুল্লাহ বিন বশির

April 22, 2022
উত্তম আখলাক: অনন্য ছয়টি মর্যাদা | আনাস চৌধুরী

উত্তম আখলাক: অনন্য ছয়টি মর্যাদা | আনাস চৌধুরী

March 14, 2022
কোয়ান্টাম মেথড: কুফরের ভিতর কুফর | আব্দুল্লাহ বিন বশির

কোয়ান্টাম মেথড: কুফরের ভিতর কুফর | আব্দুল্লাহ বিন বশির

January 29, 2022
নারী, ফিতনা ও হাদীসের মর্মবিশ্লেষণ || ডক্টর নি’মাত বিনতে মোহাম্মাদ আল জা’ফরি অনুবাদ : হুজাইফা মাহমুদ

নারী, ফিতনা ও হাদীসের মর্মবিশ্লেষণ || ডক্টর নি’মাত বিনতে মোহাম্মাদ আল জা’ফরি অনুবাদ : হুজাইফা মাহমুদ

December 11, 2021

  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

No Result
View All Result
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ

© 2020 রিওয়ায়াহ - Developed by Tijarah IT Limited.