Riwayahbd
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ
No Result
View All Result
Riwayahbd
No Result
View All Result

উইঘুর নির্যাতন : ইতিহাস, প্রেক্ষাপট ও ‘জাতিগত সংকট’র বিভ্রান্তি ।

by সাবের চৌধুরী
November 1, 2020
1 min read
0
উইঘুর নির্যাতন : ইতিহাস, প্রেক্ষাপট ও ‘জাতিগত সংকট’র বিভ্রান্তি ।
27
SHARES
208
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
  • মূল : আহমাদ যারাফি

  • তরজমা : মুহাম্মাদ রিয়াদ

একটি আক্ষেপ

দুঃখজনক ব্যাপার হলো, পৃথিবীর অনেক মুসলমান যুগ যুগ ধরে চীনাদের হাতে নিষ্পেষিত এই মুসলিম জনগোষ্ঠিটির ব্যাপারে তেমন কিছুই জানে না। এবং এর চেয়েও বড় দুঃখজনক হলো, মুসলমানদের উপর নেমে আসা এই নিষ্পেষণ ও নির্যাতনের বিষয়টি মুসলিম বিশ্বের শাসকদের পক্ষ থেকে ক্রমাগত উপেক্ষা ও নেতিবাচক আচরণ পেয়ে আসছে। এটি সাধারণ কোন বিষয় নয়; পূর্ব তুর্কিস্তানে বসবাসরত লক্ষ্ লক্ষ মুসলমানের জীবন মরণ সমস্যা, বহু যুগ ধরে যাদের আকাশ থেকে সূয হারিয়ে গেছে এবং তারা অত্যাচারি চীনাদের তৈরী নির্যাতনের তুফানের ভেতর জীবন যাপন করছে।

ভৌগলিকতত্ত্ব ও জনসংখ্যা

এই অঞ্চলকে পূর্ব তুর্কিস্তান বলা হয়, কারন মূল তুর্কিস্তানের সাথে নানা দিক থেকে এর সাদৃশ্যতা রয়েছে। বর্তমানে একে মধ্য এশিয়া বলা হয়। এর উত্তরে মোঙ্গলিয়া ও রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চল, দক্ষিনে তিব্বত ও ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর, সমগ্র পূর্বজুড়ে রয়েছে চীন,  আর পশ্চিমে ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়া কাজাখাস্তান, কিরগিস্তান, তাজিকিস্তান নামক দেশগুলো অবস্থিত। এগুলো পেরিয়ে আরো পশ্চিমে এগোলে উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান। পূর্ব তুর্কিস্তানের আশে পাশের এই পুরো অঞ্চলটিকে মুসলমানরা একসময় ‘মা ওরাউন নাহার’ ডাকতো; এমনিভাবে এটি শুধু ‘তুর্কিস্তান’ বা ‘তুর্ক অঞ্চল’ নামেও পরিচিত ছিল।এটিই তুর্কিদের আসল ভূমি ও আদি নিবাস, যেখান থেকে চতুর্থ শতাব্দীর শুরুর দিকে তারা তরঙ্গের মত ছড়িয়ে পড়ে ইরান, এশিয়ামাইনর, আনাতোলিয়া (বর্তমান তুরস্ক) আর আজারবাইজান ইত্যাদি অঞ্চলের দিকে। পঞ্চম হিজরীতে এই তুর্কিরা ইসলামের ছায়াতলে আসার পর সেলজুক-তুর্কি নামে বিশাল এক প্রভাবশালী রাজ্য গড়ে তোলে,  যা রোমক বাইজাইন্টাইন, বিদ্রোহী শিয়া ও গজনবী সাম্রাজের বিরুদ্ধে শাণিত তরবারির মত। এমনিভাবে এটি ভারতবর্ষের অত্যাচারি হিন্দুদের বিরুদ্ধেও ছিল নাঙ্গা তরোয়াল।

 

এরপর অষ্টম হিজিরীতে এরা উসমানি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে, যা কন্সটান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তাম্বুল) জয় করে এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন ঘটায়। এমনকি বলকান অঞ্চল এবং পূর্ব ইউরোপসহ তৎকালীন ভূ-ভাগের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি জয় করে নেয়। কিন্তু উনিশ শতকের দ্বীতিয়ার্ধে চীন ও রাশিয়া এই অঞ্চলগুলোকে জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং দখলকে কেন্দ্র করে নিজেরা দীর্ঘ এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়, এবং এক সময় পুরো তুর্কিস্তানকে দুই টুকরা করে বণ্টন করে নেয়। এরপর থেকেই চীনের দখলকৃত অঞ্চলটি পূর্ব তুর্কিস্তান নামে পরিচিত হয়ে উঠে।

 

পুর্ব তুর্কিস্তান সুবিশাল আয়তনের এক দেশ। কারন এর আয়তন ১০ লাখ ৮৫০ বর্গকিলোমিটার। যা পুরো ইরানের চেয়ে আয়তনে বড়,  এবং বর্তমান সমগ্র চীনের এক পঞ্চমাংশ প্রায়। এখন পর্যন্ত এটিই চীনের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে বিশাল এই অঞ্চলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে রাষ্ট্রিয়ভাবে এর নাম দেয়া হয়েছে ঝিনঝিয়াং বা চেনঝিয়াং।

 

হালে নিরপেক্ষ আদমশুমারী অনুযায়ী এই অঞ্চলের জনসংখ্যা  ২ কোটিরও বেশি, যাদের বেশিরভাগই তুর্কি, কাজাক আর কার্গিজ বংশোদ্ভূত। যদিও চীনের রাষ্ট্রীয় আদমশুমারী এই জনসংখ্যা ২ কোটির চেয়ে অনেক কম বলে প্রচার করে। পূর্ব তুর্কিস্তানের অধিকাংশ অধিবাসী কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা তুলা চাষে বিশেষ পারদর্শী, তেমনিভাবে তাদের এই অঞ্চল রেশম আর গালিচা উৎপাদনে অনন্য।

 

বর্তমানে পুর্ব তুর্কিস্তানের রাজধানী হল উরুমচি, যদিও এর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক রাজধানী হল সুপ্রসিদ্ধ কাশগড়, যা পশ্চিম চীনের দক্ষিন সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এই শহরের অধিকাংশ অধিবাসী অন্যান্য তুর্কি শহরের অধিবাসীর মতই মুসলমান; তবে শহরটি অন্য শহরগুলোর চেয়ে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ‍দিক থেকে বেশি প্রসিদ্ধ। এখনো এই শহরে অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে, যেগুলোর আজানে একসময় কাশগড়ের আকাশ উৎরোল হতো। এটি পশমি কাপড় বেশ বিখ্যাত, যা ইসলামি সভ্যতায় বিরাট এবং বিশিষ্ট ভূমিকা রেখেছে।

পূর্ব তুর্কিস্তানের ভূমি খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এর গর্ভে ১২০ প্রকারেরও অধিক খনিজ সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টিরও বেশি স্বর্নের খনি, সেই সাথে  আছে তেল, জিংক, ইউরেনিয়াম, লোহা আর সিসা। এছাড়াও রয়েছে লাখ লাখ টনের মতো কয়লা। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুর্ব তুর্কিস্তানে যে পরিমান প্রাকৃতিক লবন রয়েছে, তা আগামী দশ যুগ পযন্ত পুরো বিশ্বের লবণের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এছাড়াও এই অঞ্চলটি কৃষি, প্রাণী,  বনজ ও জলজ সম্পদে পরিপূর্ণ। সেখানে প্রায় ৪৪ প্রজাতির প্রাণীর বসবাস,  আছে ছোট বড় অনেক নদী। এটি স্থলবেষ্টিত একটি অঞ্চল; কোন সাগরের পাড়ে এটি উপনীত নয়; বরং এটি সমূদ্র থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী অঞ্চলগুলোর একটি।

 

See the source image

তুর্কিস্তানে ইসলাম

প্রসিদ্ধ তথ্য অনুযায়ী এই তুর্কিস্তান অঞ্চল খলিফা ওলীদ ইবনে মালিকের সময়ে (৮৬-৯৬হিজরী) প্রখ্যাত মুসলিম সেনাপতি, দিগ্বিজয়ী বীর কুতায়বা ইবনে মুসলিমের নেতৃত্বে বিজিত হয়। তিনি ৮৩ থেকে ৯৩ হিজরী (৭০২-৭১২ ঈসায়ী) সময়কালের মধ্যে খুরাসানের রাজধানী মারু থেকে শুরু করে তুর্কিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো জয় করতে সক্ষম হন। এবং সে সূত্রেই এই অঞ্চলগুলোতে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে।

৯৫ হিজরীতে তুর্কিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহর কাশগড় বিজয়ের মাধ্যমে কুতাইবা ইবনে মুসলিমের বিজয়াভিজান আরো প্রবল হয়ে উঠে এবং ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা চীনের সীমান্ত পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। এরপর ছোট ছোট মুসলিম সেনাভিযান, শান্তিপূর্ন দাওয়াত আর বাণিজ্যক কর্মচাঞ্চল্যের মাধ্যমে ভেতরের অঞ্চলগুলোতে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে।

এরই ধারাবাহিকতায় ৩২২ হিজরী (৯৩৪ ঈসায়ী)-তে সুতুক বুগরা খানের ইসলাম গ্রহনের পর ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানাটি আরো অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এরপর তুর্কিরা শুধু যে দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেছে—তা-ই নয়; বরং আরো আগ বেড়ে তারা দাওয়াতের মিশন নিয়ে চীন, তিব্বত ও এশিয়ার নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দীনের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ও ভালোবাসায় এই অঞ্চলের মানুষ আরবী ভাষা শিখার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। কারণ, আরবি হলো কুরআন, হাদীস তথা দীনের ভাষা। এমনকি পরবর্তিতে তারা তাদের আঞ্চলিক ভাষা, যেমন উইঘুর, খাজাক, কিরগিজ ও তুর্কিদের অন্যান্য মাতৃভাষা লেখার ক্ষেত্রেও আরবী হরফ ব্যবহার করতে শুরু করে।

এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, ইসলামই পশ্চিম ও পূর্ব তুর্কিস্তানে অতি উন্নত এক সভ্যতাকে গড়ে তোলেছে। পূর্ব তুর্কিস্তানে গ্রাম ও শহর জুড়ে গড়ে উঠে অসংখ্য মসজিদ। তন্মধ্যে শুধু কাশগড় শহরেই ছিল ৩০০টি মসজিদ। এই মসজিদগুলো সেখানের সাধারন লোকদের মাঝে ইসলামের মর্ম, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও জীবনঘনিষ্ট বুদ্ধিবৃত্তিকতা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ইসলামই হলো সকল মুসলমানের একমাত্র জাতীয়তা—এই চেতনার ভিত্তিতে তাদেরকে আকীদা-বিশ্বাস, বিধিবিধান ও জীবনাচারের ক্ষেত্রে ইসলামের ছায়াতলে এক কাতারে এনে দাঁড় করায়; অথচ, তারা ছিল বহুগোত্রে বিভক্ত ও বিচ্ছিন্ন একটি জাতিগোষ্ঠি।

এভাবে অল্প সময়ের ব্যবধানে শুধু পূর্ব তুর্কিস্তান নয়, পুরো তুর্কিস্তানকেই একটি ইসলামী ধাঁচের রাষ্ট্রে পরিণত করে দেয় এবং এশিয়া অঞ্চলের জন্য ইসলাম প্রচারের মূল কেন্দ্ররূপে প্রতিষ্ঠিত করে।এই তুর্কিস্তান থেকেই বড় বড় আলিম এবং ফকীহের আত্মপ্রকাশ ঘটে, যারা অমূল্যসব গন্থ রচনা করে ইসলামি জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ ও ঐশ্বর্যশীল করেছেন।

এই সোনালী যুগে কাশগড় শহরটি ইসলামি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসা মুসলিম জ্ঞানপিপাসুদের তীর্থভূমিতে পরিণত হয়। এমনকি কাশগড়কে একসময় ‘বুখারা আস-সুগরা’ বা ছোট্ট বুখারা নামে ডাকা হতে লাগলো। বহু যুগ পর্যন্ত মসজিদগুলোর এই অসাধারণ ভূমিকা নিরবিচ্ছিন্ন ছিল। অথচ ওই সময়টিতে চীন কার্যত দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। বিশেষ করে আব্বাসী খেলাফতের উত্থানের সময়ে তুলস বা তুরসের যুদ্ধে মুসলমানদের কাছে হারার পর তারা আরো অসহায় হয়ে পড়ে। এমনকি তাদের দক্ষিন দিকের সমুদ্রের ব্যাবসায়িক নিয়ন্ত্রণও চলে যায় মুসলিম ব্যবসায়ীদের হাতে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই ছিল আরব, পারসিক কিংবা তুর্কি।

যুগ যুগ ধরে রাজনৈতিক নানা পট পরিবর্তন হয়েছে, অনেক রাষ্ট্রের উত্থান হয়েছে, পতন ঘটেছে অনেক দেশের, কিন্তু তুর্কিস্তানের শহরগুলোতে মুসলিম সমাজ আপন অবস্থায় অবিচল ছিল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এটি নিজের অস্তিত্ব ও ইসলামি সত্তাকে সংরক্ষণ করেছে পরিপূর্ণরূপে। যেমন, ইবনে বতুতার সফরনামায়ও এদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

একসময় এই তুর্কিস্তান রাশিয়া আর চীনের যুদ্ধস্থলে পরিণত হয়, এরপর ২০০ বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর তারা তুর্কিস্তানকে দুই ভাগ করে নিয়ে যায়। রাশিয়ার ভাগে পরে পশ্চিম তুর্কিস্তান, যা তারা ১৮৬৫ সাল থেকে ধীরে ধীরে দখল করতে শুরু করেছিল। সে সাথে জোর পূর্বক দখল করে নেয় উল্লেখিত পাচটি ইসলামি প্রজাতন্ত্রকেও। অপর দিকে চীনের দখলে যায় পূর্ব তুর্কিস্তান, এবং এ অংশটি নিয়েই মূলত আমাদের আজকের আলোচনা।

 

চীনের উপনিবেশ ও এর ফলাফল 

তুর্কি মুসলিম ও মঙ্গো বংশোদ্ভূত মাঞ্চোরিয়ানদের মাঝে ভয়ানক এক যুদ্ধের পর মাঞ্চোরিয়ানদের সহযোগিতায় চীনারা ১৭৬০ সালে প্রথমবারের মত পূর্ব তুর্কিস্তানকে দখল করে নেয়। সে যুদ্ধে লাখ লাখ মুসলমান শহীদ হন। সেই সাথে চৈনিক সৈন্যরা নিজের হাতে জবাই করে অসংখ্য মুসলিমকে।

এতদসত্ত্বেও মুসলমান তুর্কিদের সংগ্রাম আর প্রতিরোধের মুখে ১০০ বছরের বেশি এই অঞ্চল তারা দখলে রাখতে পারেনি। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে চাইনিজ ও মাঞ্চোরিয়ানদেরকে পূর্ব তুর্কিস্তান থেকে তাড়িয়ে এই অঞ্চল পুনরোদ্ধার করতে সক্ষম হয় মুসলমানরা এবং তখন থেকেই তারা একে নিজেদের জন্য পরিপূর্ণ ও স্বতন্ত্র একটি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলে। কিন্তু কয়েক বছর পরই ১৮৭৮ সালে ব্রিটেনের সহায়তায় চীন পূনরায় পূর্ব তুর্কিস্তানকে দখল করে ও ১৮৮১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের মানচিত্রের সাথে একিভূত করে নেয়, একে অনেকগুলো অংশে বিভক্ত করে ও নাম পাল্টে ঝিনঝিয়াং নামে নতুনভাবে নামকরণ করে। স্থানীয় ভাষায় এর অর্থ হলো নতুন ভূমি। তখন থেকেই একে চীনের একটি প্রদেশ হিসেবে ধরা হতে থাকে। এটি ঘটে ১৮৮৪ সালের ১৮ নভেম্বরে রাষ্ট্রীয়ভাবে এক আদেশ জারির মাধ্যমে।

এমনিভাবে দেশটির বিভিন্ন শহর ও গ্রামের নাম পাল্টে চৈনিক নাম রাখা হয়, ইসলামি ও তুর্কি নিদর্শণাবলী মিটিয়ে দেয়া হয়, বিশেষায়িত তুর্কি বেক-পদ্ধতি নিষিদ্ধ করা হয়, শতবর্ষ ধরে চলে আসা মাদরাসাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং মসজিদগুলোতে তালা লাগানো শুরু হয়।

মার্কসবাদী তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক নেতা নিষ্ঠুর খুনী মাওসেতুং

এরপর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে কমিউনিস্টরা মাওসেতুং এর নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসার পর মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়ানক হত্যাকান্ড চালাতে শুরু করে এবং চীনাদেরকে এই দেশে এসে বসবাস করার জন্য পরিপূর্ণ সুযোগ করে দেয়, ব্যক্তিমালিকানা নিষিদ্ধ করে, বাজেয়াপ্ত করা হয় মুসলামনদের সমস্ত ধনসম্পদ, এমনকি মহিলাদের অলংকারগুলোও, এবং রাষ্ট্রিয়ভাবে ঘোষণা করা হয় ইসলাম সম্পূর্ণ আইনবিরোধী মতবাদ। কোন মুসলমান অন্য কোন দেশে হিজরত করা কিংবা  চাইনিজ ছাড়া অন্য কেউ এই প্রদেশে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়, দীনি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং মসজিদগুলোকে সৈনিকদের ক্লাবে পরিণত করা হয়।

 

চাইনিজ ভাষাকে সেখানকার রাষ্ট্রভাষা ঘোষনা করা হয়, ইসলামী ইতিহাস এর বদলে মাও সে তুং এর কমিউনিজম  এর শিক্ষা বাধ্যতামুলক করা হয়, মুসলিম রমণীদেরকে চাইনিজদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য করা হয়। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে গড়ে উঠা আগ্রাসনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল—‘কুরআনের শিক্ষাকে বন্ধ করে দাও’। এর পরিবর্তে  মুসলমানদের উপর বাধ্যতামূলকভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয় কমিউনিজম আর চৈনিক সভ্যতার তালিম গ্রহণ।

 

এরপর ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ভয়ংকর স্বৈরশাসক, নিষ্ঠুর খুনি মাওসেতুং এর মৃত্যুর পরও এই রাজনৈতিক নিপীড়ন বন্ধ হয়নি এবং মূলত সে সে সময় থেকেই চীন বহির্বিশ্বের প্রতি উদারনীতি গ্রহণ করে, কিন্তু দেশের ভিতরে তাদের এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ চলতে থাকে আগের মতই। এরপর স্নায়ু যুদ্ধের শেষে যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলো তখন চীনের শাসক তুর্কিস্তানের উপর তার লৈাহ থাবাকে আরো মজবুত করে। তার ভয় ছিল এখানের মুসলমানরা আশপাশের দেশগুলোতে চলমান স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাবিত হয়ে নিজেরাও সংগ্রাম শুরু করবে।

এরপর আমেরিকায় নাইন-ইলাভেনের (১/১১/২০০১) হামলার পর মুসলমানদের উপর নির্যাতনের মাত্রা অনেকগুন বাড়িয়ে দেয়, ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শত্রুতা ব্যাপকহারে শুরু হয়, সাথে সন্ত্রাসের অপবাদ দিয়ে ও নিকৃষ্ট নানারকম কুটকোশলে এর সাথে যুক্ত হয় প্রকাশ্য খুন, গুপ্ত হত্যা,  গুম,  জেল-জুমুল, অকথ্য নিষ্পেষণ।

মাস্টারপ্ল্যানের ভিতর দিয়ে ধারাবাহিকভাবে চীনারা তুর্কিস্তানে এসে বসতি গাড়তে লাগলো, বিশেষ করে গত শতকের পঞ্চাশ দশকের শুরুর সময় থেকে, এবং আরো বিশেষ করে শেষ দশকে যখন চীনের তূলনায় এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পেল; চীনের পরিকল্পিত নিপীড়ন থেকে বাঁচতে এবং মুসলমানদের বংশবৃদ্ধিকে রোধ করার জন্য পরিচালিত রাজনৈতিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেতে, মুসলমানগণ ব্যাপকহারে তুর্কিস্তান ছেড়ে অন্যত্র হিজরত করতে লাগলো।

এ সব কিছুর ফলাফল হলো এই যে, মুসলমানদের জনসংখ্যা সত্যি সত্যি কমে যেতে শুরু করলো এবং বর্তমানে তারা সে অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে পরিণত হতে শুরু করেছে এবং ইসলামের অস্তিত্ব সত্যিকার অর্থে ভীষণ হুমকির মুখে পড়ে গেছে। এখন যে পুর্ব তুর্কিস্তানের কথা বলছি সেটি ১৫০ কোটি চাইনিজদের বিপরীতে ২ কোটি মুসলমানদের দুর্বল, ক্ষয়িষ্ণু,আঘাতে জর্জরিত এক অঞ্চল। অথচ ১০০ বছর আগেও এই অঞ্চল ছিল শতভাগ মুসলমানের এক স্বতন্ত্র দেশ।

 

উইঘুর নির্যাতন : জাতিগত সংকট নয়; বিশ্বের সকল মুসলমানের ইস্যু

পুর্ব তুর্কিস্তানের এই দুর্দশা নিয়ে কথা লম্বা করা এই লেখার মূল উদ্দেশ্য নয়,কিংবা মুসলমানদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী চীনের নৃশংস এবং অমানবিক আচরন, পুর্ব তুর্কিস্তানের বাসিন্দাদের উপর তাদের ঘৃণ্য নীতি এবং পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে নিঃশেষ করে দেয়ার পায়তারার ব্যাপারে কথা বলাও মূল পয়েন্ট নয় এই লিখার। এখানে এমন অনেক আছেন, যারা এ বিষয়ে আমার চেয়ে ভালো জানেন, বিশেষ করে পূর্ব তুর্কিস্তানের উইঘুর লোকজন।

আমি বরং এখানে চূড়ান্ত রকমের বিপদজন আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছি। তা হলো—আন্তর্জাতিক মানবধিকার সংস্থা যদিও উইঘুরদের উপর চলমান নিষ্পেষণ ও রাষ্ট্রিয় অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে টুকটাক বিবৃত দেয়, অবশ্য, তা-ও একটা গঁথবাধা আর সীমিত আকারে; কিন্তু খুব চতুরতার সাথে সমগ্র বিশ্বের সামনে একে নিছক একটি জাতিগত সংঘাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। এমনিভাবে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোও মাঝে মাঝে তাদের নিয়ে কথা বলে, কিন্তু এগুলোও এই একই বুদ্ধিবৃত্তিক অপরাধে লিপ্ত। অর্থাৎ, তারা এটা বুঝাতে চায় যে, এখানে ঘটনা শুধু এটুকুই যে, উইঘুর জাতি চীনের রাষ্ট্রিয় নির্যাতনের শিকার, ফলে, এরা নিজেদের ভবিষ্যতকে নিরাপদ করার চেষ্টা করচে, অথবা আরো বেশি অধিকার ও স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য লড়াই করছে। এর সাথে ইসলাম বিদ্বেষের কোন সম্পর্ক নেই।

এই মুসলিম নিধনকে জাতীগত সংঘাত হিসেবে প্রকাশ করার কারনও অত্যান্ত সুস্পষ্ট। তা হল, পশ্চিমা শাসন, বিশেষ করে আমেরিকার শাসনের অনুগত হয়ে চলা এই সংগঠনগুলো যেখানেই হোক, বা যেভাবেই হোক, ভয়ানকভাবে ইসলামফোবিয়ায় আক্রান্ত।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই বিষয়ে লিখিত সীমিত পরিমাণের ইসলামি রচনাগুলোও পশ্চিমাদের সাথে সুর মিলিয়ে একই ধাঁচে কথা বলে, বুঝে হোক বা না বুঝে। হ্যাঁ, কেউ কেউ এই জাতিটির ইসলামি পরিচয়ও সামনে আনেন; কিন্তু সে-ও উইঘুরের জাতিগত সংঘাতের জামা পরিয়েই।

এমনিভাবে বর্তমানে বহির্বিশ্বের রাজনৈতিক যে সংগঠন পূর্ব তুর্কিস্তানের লোকজনের পক্ষ নিয়ে কথা বলে, তাদের বক্তব্যের মধ্যেও জাতিগত ব্যাপারটিই প্রাধান্য পায়। অর্থাৎ, তারাও একে নিছক একটি জাতিগত সংঘাত হিসেবে প্রকাশ করে। আমার সীমিত জানাশোনামতে পশ্চিমা সংগঠনগুলোর কাছে দেশটির চলমান সংকটকে ‍উপস্থাপন করার জন্য এই রাজনৈতিক সংগঠন  ‘উইঘুর সমস্যা’ শব্দটিকে একটি কোড হিসেবে ব্যবহার করে এবং এই শব্দটিকেই ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।

ফলে, রাবিয়া কাদির নামক লিবারাল একজন মহিলাকে যখন একটি টিভি চ্যানেল ‘উইঘুর আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক’ বলে অভিহিত করে (চীনাদের ইসলাম বিদ্বেষকে আড়াল করতে চায়), তখন অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই রাবিয়া কাদির ১৯৯৯ সাল থেকে চীনা সরকারের হাতে বন্দি ছিলেন, ২০০৫ সালে কিছু মানষের ধারণা মতে স্বাস্থ্যগত কারণে মুক্তি পান, এবং এরপর আমেরিকায় বসবাসরত স্বামীর কাছে চলে যান।

আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, কয়েক বছর আগে আমেরিকান কংগ্রেস এই মহিলাকে পুর্ব তুর্কিস্তানে চীনের মদদে কি ঘটছে সেই ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ডেকেছিল। অথচ স্পষ্টতই বুঝা যায় এটা পূর্ব তুর্কিস্তানের জনগণের দাবি আদায়ের জন্য করা হয়নি। বরং এই সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল আমেরিকার জাতীয় স্বার্থে। যাতে করে চীনের সাথে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোন বিবাদ দেখা দিলে পুর্ব তুর্কিস্তানের বিষয়টি উত্থাপন করে চীনকে চাপে রাখা যায়। পূর্ব তুর্কিস্তানের মুসলমানগণ যখন চৈনিক নিষ্পেষণের শিকার হয়ে সমূলে উচ্ছেদের শিকার, তখন তারা কি এটিই আশা করেছিল যে, তাদের সমস্যাটি চীনাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হোক?

এই জাতিগত সংঘাত ধারণাটির উৎপত্তি কোথায় জানতে পারলে আমরা হয়তো কিছুটা বিস্মিত হবো। এর জন্য আমাদেরকে একটু পিছনে ফিরে যেতে হবে। শব্দটি এই অঞ্চলে চৈনিক আধিপত্যবাদীদের আবিস্কার। এবং চীন কর্তৃক ঝিংঝিয়াং নাম দিয়ে পূর্ব তুর্কিস্তানকে দখল করে নেয়ার সুবিধার্তে আবিষ্কৃত একটি ধোঁকাদানকারী শব্দ। ঘটনা হচ্ছে এই যে, সমাজতান্ত্রিক চীনের অবিসংবাদিত নেতা মাওসেতুং ১৯৪৯ সালের দ্বিতীয় বার যখন পুর্ব তুর্কিস্তানকে দখল করে নেয়, তখন সীমিত আকারে উইঘুর জাতিকে স্বায়ত্ব শাসনের অনুমতি দেয়। এরপর থেকেই এই অঞ্চলের মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনের হত্যা ও নির্যাতনকে জাতিগত সংঘাত বলে প্রকাশ করা শুরু হয়। কিন্তু এর আগে একে চীনের আক্রমণ ও নির্যাতনগুলোকে নিরেট ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ ও নির্যাতন বলেই গণ্য করা হতো।

চীনের এই নীতিটি প্রায় পশ্চিম তুর্কিস্তান  এবং ককেশাস এর সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের ডিভাইড এন্ড রুল নীতির মত। এই দেশগুলোকে তারা জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে বিভাজিত করে শাসন করে আসছে। তুর্কিস্তানের কিছু আন্দোলনকর্মী এ বিষয়টিতে দন্দ্ব ও স্ববিরোধিতায় পতিত হন, যখন তারা তুর্কিস্তানের সমস্যাটিকে ফিলিস্তিনের সমস্যার সাথে মিলিয়ে তুর্কিস্তানকে পশ্চাত্যের ফিলিস্তীন বলে ডাকেন। অথচ ফিলিস্তীন-সংকট কিছুতেই জাতীবাদী সমস্যা নয়; বরং  সমস্ত মুসলিম উম্মাহর সংকট ও তাদের চিন্তার কারন। এমনিভাবে পুর্বতুর্কিস্তান সহ কাফেরদের দ্বারা দখলকৃত  যাবতীয় মুসলিম ভূমিকেই সমগ্র মুসলিম জাতির সম্মিলিত সংকট হিসেবে অভিহিত করা উচিত।

চীনের বিপুল জনগোষ্ঠীর দিকে লক্ষ্য করলে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের দখলবাদীতার চেয়ে পূর্ব  তুর্কিস্তানে চীনের দখলকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে বেশি বিপজ্জনক মনে করি। কারন চীন তাদের জনসংখ্যা দিয়ে শুধু পুর্ব তুর্কিস্তান নয় বরং পুরো মধ্য  এশিয়া দখল করে নেয়ার সক্ষমতা রাখে। জায়নবাদী ইহুদীদের জনশক্তির বিষয়টি এর বিপরীত। কারন তাদের জনসংখ্যা সীমিত। আশার কথা অদূর ভবিষ্যতে আরো সীমিত হয়ে যাবে, কারন ইহুদীদের জনসংখ্য বাড়ার হারের  চেয়ে ফিলিস্তিনি জনসংখ্যা বাড়ার হার অনেক বেশি। অপরদিকে ফিলিস্তিন চারিদিক থেকে বিশাল আরব জনগোষ্ঠী দ্বারা বেষ্টিত।

শেষ কথা, এখানে এই সব কিছু বলার পর আমি এই বাস্তবতা অস্বীকার করিনা যে, উইঘুররা বহুলাংশে পুর্ব তুর্কিস্তানের জনগোষ্ঠি, এবং চীনের বাইরে তাদের এই টার্ম উল্লেখ করে  পুর্ব তুর্কিস্তানের অখন্ডতার দাবি তুলার  নিন্দাও করছি না। তবে বিষয়টি আমি এভাবে বিবেচনা করি যে, এখানে উইঘুর  জাতীয়বাদ উল্লেখ করে ধর্মীয় দিকটাকে দ্বিতীয় স্থানে রাখা,এটা হয়তো রাজনৈতিক স্বার্থে বা জাতীয় উদ্দেশ্য পূরণার্থে। তবে সেটা যে জন্যই হোক, এই জাতীগত সংকট কথাটা এই সংকটকে খাটো করে দেখায়, অন্যদিকে সংকট, সংঘাতের আসল প্রকৃতি সম্পর্কে ধুঁয়াশা তৈরি করে।

 

মূল লেখার লিংক : https://majles.alukah.net/t180118/

 

Facebook Comments

Previous Post

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিশনঃ একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা। ডক্টর হামিদুল্লাহ

Next Post

হিজরত: বিজয়ের পথে ইসলাম। সুমাইয়া মারজান

সাবের চৌধুরী

সাবের চৌধুরী

Related Posts

কারবালার ইতিহাস পাঠে মৌলিক কিছু কথা- ইমরান রাইহান
ইতিহাস

কারবালার ইতিহাস পাঠে মৌলিক কিছু কথা- ইমরান রাইহান

August 13, 2021
খারেজিদের সাথে ইবনে আব্বাস রা. এর বিতর্ক : বিতর্ক বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা । আলি সাল্লাবি। অনুবাদ : সাবের চৌধুরী
ইতিহাস

খারেজিদের সাথে ইবনে আব্বাস রা. এর বিতর্ক : বিতর্ক বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা । আলি সাল্লাবি। অনুবাদ : সাবের চৌধুরী

February 3, 2021
Next Post
হিজরত: বিজয়ের পথে ইসলাম। সুমাইয়া মারজান

হিজরত: বিজয়ের পথে ইসলাম। সুমাইয়া মারজান

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

No Result
View All Result

Recent.

তাসাউফ সম্পর্কে অপপ্রচার ও ভ্রান্তি : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা ।। মাওলানা আনাস চৌধুরী

December 16, 2022
এই পৃথিবী একবার পায় তারে। সাবের চৌধুরী।

এই পৃথিবী একবার পায় তারে। সাবের চৌধুরী।

November 28, 2022

গামেদি চিন্তার মৌলিক ভ্রান্তি | শেষ পর্ব | মূল: মাওলানা ইয়াহয়া নোমানি | তরজমা: হুজাইফা মাহমুদ

November 16, 2022

গামেদি চিন্তার মৌলিক ভ্রান্তি—প্রথম পর্ব | মূল: মাওলানা ইয়াহয়া নোমানি | ভাষান্তর: হুজাইফা মাহমুদ

November 12, 2022
বাংলাদেশে ইসলামি নারীবাদের সাতকাহন | হুজাইফা মাহমুদ

বাংলাদেশে ইসলামি নারীবাদের সাতকাহন | হুজাইফা মাহমুদ

October 29, 2022

  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

No Result
View All Result
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ

© 2020 রিওয়ায়াহ - Developed by Tijarah IT Limited.