Riwayahbd
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ
No Result
View All Result
Riwayahbd
No Result
View All Result

প্রিয় রাসুলের সমীপে। আলি তানতাভি।অনুবাদ: মাহদি হাসান

by সাবের চৌধুরী
November 6, 2020
1 min read
2
প্রিয় রাসুলের সমীপে। আলি তানতাভি।অনুবাদ: মাহদি হাসান
24
SHARES
183
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

 

হে রাসুল, দিশারি আমার, আপনার উপর বর্ষিত হোক শান্তি ও রহমতের বারিধারা। 

এমনই এক দিনে আপনার জন্মের মধ্য দিয়ে আলোকিত হয়েছিল পৃথিবী। যা আমাদের এনে দিয়েছিল উৎসবের উপলক্ষ্য। আপনার জন্মকে তাই আমরা ইদের মতো উদযাপন করি (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, দুই ইদ ভিন্ন আর কোনো ইদ আমাদের শরীয়তে নেই)। পতাকা-নিশান টানিয়ে, সংগীত গেয়ে, বক্তব্য-আলোচনায়, পানাহারে উদযাপন করি আপনার জন্মদিন। অলিগলি হয়ে উঠে সজ্জিত, মসজিদ্গুলোতে পড়ে যায় উপচেপড়া ঢল। আপনার প্রেমভক্তিতে পূর্ণ গল্প-প্রবন্ধ দিয়ে প্রকাশিত হয় পত্রিকা-ম্যাগাজিন। শহর-পল্লী, গ্রামে-গঞ্জে, অলি-গলিতে যেন নেমে আসে খুশীর ঢল। 

আপনাকে ভালোবেসে, আপনার জন্মে আনন্দিত হয়েই আমরা এমন করে থাকি। অতঃপর প্রশান্ত মনে, আনন্দিত চিত্তে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যাই। যেন এসব করেই আমরা আপনার মতো মহান ব্যক্তিত্ব, যার মতো প্রভাব পৃথিবীর আর কারো ছিল না, যার মতো মর্যাদা আর কেউ পারবে না অর্জন করতে পারবে না, আর কেউ হতে পারবে না যার মতো গ্রহণযোগ্য; যেন এসব করেই আমরা আপনার প্রতি আমাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করে ফেলেছি। কিন্তু আপনার দ্বীনের অনুসরণ, আপনার দেখানো পথে নিজেদের পরিচালিত করা এবং আপনার আদেশ-নিষেধ মেনে চলা; এসব নিয়ে আমরা কোনো চিন্তাই করি না। রাখি না নিজেদের প্রোগ্রামের লিস্টে! 

হে রাসুল, এতে কি আপনি আনন্দিত হন ? আপনার প্রভু কি হন আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট?

আপনি প্রেরিত হয়েছিলেন লাইলাহা ইল্লাল্লাহর আহ্বান নিয়ে। আরবদেরকে দিয়েছিলেন দাওয়াত। তারা করেছিল অস্বীকার। আপনাকে আদেশ দেয়া হলো এ কথা মেনে নেয়া পর্যন্ত তাদের সাথে লড়াই করে যাওয়ার। আপনি তাদেরকে বলেছিলেন হয়তো কালিমা নয়তো তরবারির আঘাতের যে কোনো একটিকে বেছে নিতে। তারা কালিমা ছেড়ে তরবারিকেই নিয়েছিল বেছে। কালিমা উচ্চারণে বদলে নিজেদের ধ্বংসলীলাকেই প্রাধান্য দিয়েছিল তারা। এ কালিমাকে তারা কঠিন মনে করেছিল, কারণ তারা অনুধাবন করতে পেরেছিল এর অর্থ। তারা বুঝতে পেরেছিল এই কালিমাকে শুধু জবান দিয়ে উচ্চারণ করাই যথেষ্ট নয়। বরং এটি হচ্ছে একটি পূর্ণ জীবনবিধান। এর মাধ্যমে ঘোরে যাবে তাদের জীবনের মোড়। ছোট-বড় সবকিছুতেই আসবে পরিবর্তনের জোয়ার। 

‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। অর্থাৎ, উপকার এবং ক্ষতির ক্ষমতা একমাত্র তাঁরই। তাই সত্যের পথে অন্য কাউকে পেয়ো না ভয়। অন্য কারো প্রতি আশা করে নিজেকে করো না অপদস্ত। 

‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আল্লাহ ব্যতিত আর কোনো উপাস্য নেই। অর্থাৎ, তিনিই মহাক্ষমতাশীল। তাই যদি তুমি তাঁর সঙ্গী হও তবে অন্য কারও ভয় নেই। তিনি সবকিছু দেখেন। তাই তোমার গুনাহ নিয়ে লুকিয়ে থেকো না। তিনি অতি দয়ালু, তাই নিরাশ হয়ো না তাঁর দয়া থেকে। তিনি পরাক্রমশালী, তাই তাঁর ক্রোধ থেকেও হয়ো না নিশ্চিন্ত। যেখানেই যাও তিনি আছেন তোমার সাথে সর্বদা। সর্বদা তিনি দেখেন তোমাকে। তাই এমনভাবে তাঁর ইবাদাত করো, যেন তুমি তাঁকে দেখতে পাচ্ছ। তিনিই স্রষ্টা, রূপকার। তোমাকে দিয়েছেন দৃষ্টি, তাই তাকিও না কোনো নিষিদ্ধ বস্তুর দিকে। দিয়েছেন কর্ণ, তা দিয়ে শ্রবণ করো না কোনো মন্দ। দিয়েছেন জবান, হারাম কথার আঘাতে কলুষিত করো না সেটি। দিয়েছেন হাত, তা দিয়ে করো না সীমালঙ্ঘন। দিয়েছেন পা, তা দিয়ে অগ্রসর হয়ো না অন্যায়ের পথে। দিয়েছেন পেট, হালাল খাবার ব্যতিত অন্য কিছু যেন তাতে প্রবেশ না করে। তুমি তাঁর কাছ থেকেই এসেছে, ধাবিত হবে তাঁরই দিকে, তাঁর রাজত্ব থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনো পথ নেই তোমার। তিনিই জীবন-মৃত্যুদাতা। তিনি তোমাকে দিয়েছেন জীবন, তাই এর এক মুহূর্তও এমন কাজে ব্যয় করো না যা তিনি অপছন্দ করেন। তিনিই তোমার জন্য মৃত্যু লিখে রেখেছেন, তাই সর্বদা স্মরণ করো সেই মৃত্যুর কথা। প্রস্তুতি নাও এবং ভুলে যেওনা যে, অচিরেই তুমি মৃত্যুর সাথে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছ। 

তারা ছিল বুদ্ধিমান। তাই কালিমার এই নিগুঢ় অর্থ তারা অনুধাবন করেছিল। ছিল তারা সম্ভ্রান্ত, ফলে যা তারা কর্মে বাস্তবায়ন করতে পারবে না, তা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করেনি। এজন্য তারা কালিমা উচ্চারণের চেয়ে হত্যা, ইয়াতিম হওয়া এবং অঙ্গহানিকেই সহজ মনে করেছে। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে এই কালিমার জন্য প্রস্তুত করেছেন। তাদের ললাটে লিখে রেখেছিলেন মহাসৌভাগ্য। ফলে তাদের জবান দিয়ে উচ্চারিত হয় এই মহাসৌভাগ্যের কালিমা। এর মাধ্যমেই তারা হয়ে পুরো দুনিয়ায় কর্তৃত্ব স্থাপনকারী, মানবতার সারবত্তা এবং পুরো মানবজাতির মধ্যে ফেরেশতাতুল্য। 

***

 হে প্রিয় রাসুল, আদর্শ আমার

এই কালিমা তো আমরা প্রতিদিনই বলি। আমাদের মিম্বারে আর মিনারে, গৃহে এবং বাজারে, ভয়ে এবং আনন্দে প্রতিদিনই উচ্চারিত হয় এই কালিমার ধ্বনি। আমাদের জবানে উচ্চারিত এর চেয়ে সহজ বাক্য আর হয় না। কিন্তু এই উচ্চারণ আমাদের জবানের সীমা অতিক্রম করে ছুঁতে পারে না আমাদের হৃদয়। আমাদের জীবনে তাই দেখা যায় না এর কোনো প্রভাব প্রতিক্রিয়া। আমরা কি আসলেই মুসলিম হতে পেরেছি?

আপনি মরুবাসীদের কাছে নিয়ে এসেছিলেন কুরআন। তারা আপনার সাথে করেছে লড়াই। কারীগণকে কুরআন তিলাওয়াত করতে নিষেধ করে নিজেরা গিয়েছে পালিয়ে। যেন এই কুরআনের একটি শব্দও তাদের কর্ণে আঘাত না করে। কিন্তু যখনই একটি আয়াত তাদের কর্ণগোচর হয়েছে, তখনই তাদের জীবনে হয়ে গেছে আমূল পরিবর্তন। পূর্বের পঙ্কিলতা ঝেড়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মানুষে পরিণত হয়েছে তারা। 

একরাতের কথা। সে রাতে ওমর ছিলেন চরম ক্রোধান্বিত। যেন ধারণ করেছিলেন ক্রোধ এবং ক্রূরতার এক বিশাল পাহাড়। ইসলামের প্রতি ছিল তাঁর তীব্র আক্রোশ। পাহাড়সম ক্রোধ নিয়ে এসেছিলেন বিরাট কোনো ক্ষতিসাধনের জন্য। কিন্তু সামান্য কয়েকটি আয়াত শ্রবণ করেই তিনি হয়ে গেলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক সত্ত্বা। দেহের আবরণ থেকে কঠোরতার বর্মটি খসে পড়ল নিমিষেই। কোমলতা ঠাই করে নিল তাঁর দেহকুঠুরীতে। ইসলামের চিরশত্রু থেকে হয়ে গেলেন ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ, অন্যতম বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্ব। 

আজ আমরা প্রতি মুহূর্তেই, প্রতিটি স্থানে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, আয়োজনে শুনছি সুমধুর কণ্ঠে মধুর তিলাওয়াত। হয়তো আমাদের কারীদের তিলাওয়াত ওমর রা.এর কারীর তিলাওয়াতের চেয়ে অধিক শ্রুতিমধুর, অধিক বিশুদ্ধ। কিন্তু ওমরের যে পরিবর্তন হয়েছে, আমাদের তো হয় না তেমন পরিবর্তন। এ তিলাওয়াত শুনে আমাদের জাগে ক্ষণিকের শিহরণ এবং মুগ্ধতা। যেমনটি জাগে সুমিষ্ট যেকোনো সংগীত শ্রবণ করে। এরপর আমরা জীবনের পথে মেনে চলি নিজেদের বিবেক এবং প্রবৃত্তির নির্দেশনা। আমরা কি সত্যিই মুসলিম হতে পেরেছি? 

আপনি তাদেরকে ইমানের পথে আহ্বান করেছিলেন। তারা এনেছিলেন চাক্ষুস ইমান, যে ইমান প্রভুর ভয় এবং খোদাভীরুতায় পরিপূর্ণ। গুনাহগার হয়ে জীবন কাটাতে চাননি তারা। একটি গুনাহ সংঘটিত হতেই লজ্জায় মিশে গিয়েছিলেন মাটির সাথে। তাই আমৃত্যু তাঁরা অটল ছিলেন সরল সঠিক পথে। আপনি যে আহ্বান নিয়ে এসেছিলেন, নিজেদের প্রবৃত্তিকে যে অনুযায়ী তাঁরা বশ করে নিয়েছিলেন। যখনই প্রবৃত্তির তাড়নায় গুনাহ হয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে (কোন বান্দা বাঁচতে পারে গুনাহের কবল থেকে?), তখনই তারা মহামহিম আল্লাহর কাছে তাওবায় রত হয়েছেন, ফিরে এসেছেন গুনাহের পঙ্কিলতা ঝেড়ে ফেলে, সেই নিন্দনীয় পথে কখনোই তারা দ্বিতীয়বার যাওয়ার কথা ভাবেননি। 

***

হে রাসুল, প্রিয় দিশারি আমার… 

আপনি ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পাঁচটি ভিত্তির উপর। শয়তানের নিরলস প্ররোচনার শিকার হয়ে আমরা তা থেকে এসেছি সরে। আমাদের অনেকেই কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করে, কিন্তু এর যথাযথ হক আদায় করে না। কেউ নিজেকে মুসলিম দাবি করে, কিন্তু নামাজ আদায় করে না। কেউ বাহ্যিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে নামাজ আদায় করে, কিন্তু তাতে থাকে না হৃদয়ের কোনো অংশ। তারা নামাজে দাঁড়ায় নামাজ থেকে রেহাই পেতে, নামাজের মাধ্যমে রেহাই পেতে নয়। এ নামাজে তারা পায় না কোনো স্বাদ, হয় না তাদের চক্ষু শীতল। ফলে তাদের এই নামাজ অসৎ এবং অশ্লীল কাজ থেকে তাদের বিরত রাখে না। তারা যে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়েছে, কথা বলছে তাঁর সাথেই সঙ্গোপনে, এই অনুভূতি নেই তাদের হৃদয়ে। কেউ নিজেকে মুসলিম দাবি করে, অথচ রোজা রাখে না। কেউ রোজা রাখে পানাহার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে, কিন্তু মিথ্যা কথা এবং পাপাচার থেকে বিরত থাকে না। তার হাত এবং জবান থেকে অন্য রোজাদারও নিরাপদ থাকে না। কেউ মুসলিম দাবি করে, অথচ সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও হজ করে না। কেউ হজ করে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে, আবার কেউ ব্যবসার উদ্দেশ্যে গিয়ে উপার্জন করে সম্পদ। সে তার  হজ থেকে লাভ করে সুনাম-সুখ্যাতি। কিন্তু এই হজে হয় না তার হৃদয় পবিত্র। তার পাপ হয় না মোচন, সন্তুষ্ট হয় না তার প্রভু। 

আপনি আমাদের রেখে গিয়েছিলেন এক পরিচ্ছন্ন শুভ্র পরিবেশে। যার রাত ছিল দিনের মতো আলোকিত। হালাল-হারাম ছিল সুস্পষ্ট। আপনি বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক রাজারই সীমানা রয়েছে। আর আল্লাহর সীমানা হচ্ছে তাঁর হারামসমূহ।’আমাদের নিষেধ করেছিলেন, যেন আমরা সেই সীমানার ধারে কাছেও না ঘেঁষি। যাতে করে সেগুলোর কবল থেকে বেঁচে থাকতে পারি। অতঃপর আমরা অতিক্রম করে গেছি আল্লাহর সীমা। প্রকাশ্যে দিবসকালেই লিপ্ত হয়েছি পাপাচারে। কোনো লজ্জার করিনি ভয়, জাহান্নামের ভয়ে হইনি কুণ্ঠিত, ভুলে গিয়ে পরাক্রমশালী প্রভুর কথা। আপনি আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন আল্লাহর বিধান। যা তিনি অবতীর্ণ করেছিলেন এর মাধ্যমে ফায়সালা করার জন্য। যদি এর মাধ্যমে ফায়সালা না করি, এ জন্য আপনি দিয়েছিলেন কঠিন শাস্তির হুমকি। তবুও আমরা পিছনে ঠেলে দিয়েছি সেই ঐশী বিধান। ফায়সালা করেছি ফ্রান্সের বিধান অনুযায়ী। আমরা কি মুসলিম হতে পেরেছি? 

***

হে রাসুল, মুর্শিদ আমার, আপনার উপর আল্লাহ বর্ষণ করুন শান্তি ও রহমত

আপনার সহচর ছিল চল্লিশজন। যাদেরকে লুকিয়ে রাখত সফা পাহাড়ের পাদদেশের দারুল আরকাম গৃহ। সত্য যখন তাদেরকে প্রকাশিত করেছে, তারা বিজয় করেছেন পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্র। আপনার ছিল একটি মাত্র মিম্বার। তাতে ছিল কাঠের কয়েকটি স্তর। যেগুলোতে ছিল না কোনো নকশা অথবা অলঙ্করণ। সেই জীর্ণ মিম্বার থেকেই আপনি পুরো বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন মহাসত্যের বানী। আপনি আহ্বান করেছিলেন, পেয়েছিলেন সাড়া। আদেশ করেছিলেন, লোকেরা করেছিল আপনার আনুগত্য। আজ আমাদের আছে লক্ষ লক্ষ মিম্বার। সেগুলোতে আছে চমৎকার নকশা এবং অলঙ্করণ। সেগুলোতে আরোহণ করে খতিবগণ বলে উঠেন, ‘হে লোকসকল, আল্লাহকে ভয় করুন।’ অথচ কেউই আল্লাহকে ভয় করে না। কারণ, খতিব সাহেব শুধু তার জিহ্বা দিয়েই এ কথা বলেছেন এবং শ্রোতারাও শুধু তাদের কর্ণ দিয়েই তা শ্রবণ করেছে। আলিমগণও হয়ে গেছেন দিকভ্রান্ত, নিজেদের ইলম অনুযায়ী তারা করেন না আমল। অন্যকে দুনিয়া ত্যাগে উৎসাহিত করে নিজেরাই মত্ত হয়ে থাকেন দুনিয়াদারীতে। তারা বলেন, ‘সত্যের বেলায় যে চুপ থাকে, সে বোবা শয়তান।’ অথচ তারা নিজেরাই চুপ থাকেন। তারা তিলাওয়াত করেন, ‘সম্মান কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং মুমিনগণের জন্য।’ অথচ প্রতিনিয়তই শাসক, মন্ত্রী-আমলা এবং বিত্তবানদের কাছে তারা নিজেদেরকে করছেন অপদস্ত। 

আলিমগণ ভ্রান্ত হয়েছেন, ফলে লোকেরাও হয়েছে ভ্রান্ত। তাহলে কোথা থেকে করা যাবে কল্যাণের আশা? 

আজ পৃথিবীতে আছে বিলিয়ন বিলিয়ন মুসলিম। আমাদেরকে দেয়া হয়েছে জিহাদের আদেশ। যেন পৃথিবীময় আমরাই হই বিজয়ী। কিন্তু আমরা জিহাদ ছেড়ে বসে আছি। তাই শত্রুরা এসে আমাদের জমিন দখল করে নিয়েছে, হয়েছে আমাদের ভূখণ্ডের মালিক, আধিপত্য করেছে আমাদের অস্তিত্বের উপর। তবুও আমরা বসে আছি। মত্ত হয়ে আছি উদাসীনতায়, খেলতামাশায়। নিজেদের বিরুদ্ধে শত্রুদেরকেই করে যাচ্ছি সাহায্য। তাদের সাথে মিলে  নিজ হাতেই বিধ্বস্ত করছি নিজেদের ঘর-বাড়ী, সর্বোপরি নিজের অস্তিত্ব এবং ধর্মকে। এখনো যে অনিষ্ট আসেনি, বসে বসে সেই অনিষ্টের পথ চেয়ে বসে তার আগমন তরান্বিত করছি। আমরা গ্রহণ করেছি তাদের বিধান, আমাদের কুরআনকে তাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে। আমরা গ্রহণ করেছি তাদের স্বভাব, আমাদের চারিত্রিক সৌন্দর্যকে তাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে। এভাবেই আমরা বিনষ্ট করেছি নিজেদের সম্মান। 

*** 

তবুও আমরা ভুলে যাই না আপনার জন্মে আনন্দ প্রকাশ করতে। পতাকা-নিশান টানিয়ে, নাত গেয়ে, খাবার-পানীয় দিয়ে উৎসবে মেতে উঠি। এতে কি আমাদের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়?  আমাদের এ কাজে আপনি কি হন আনন্দিত? সন্তুষ্ট হন কি আপনার প্রভু? 

হে প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইকা 

আমাদেরকে গ্রাস করেছে অন্ধকারের পর তীব্র অন্ধকার। একের পর এক বিপদ এসে আমাদের করেছে বিলীন। সৎ লোকদের আওয়াজ হয়ে গেছে স্তিমিত। ভ্রষ্টদের স্লোগানে হচ্ছে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত। সত্য ঢেকে গেছে আড়ালে, বাতিলের জয়জয়কার সর্বত্র। আমাদের কী করণীয় এখন? সংকীর্ণ হয়ে গেছে সকল কৌশলের পথ, নিভে গেছে আশার প্রদীপ, পৃথিবীর পথগুলো বন্ধ হয়ে গেছে আমাদের। এখন কেবলই বাকি আছে আসমানের অধিপতির প্রতি চেয়ে থাকা।

 

Facebook Comments

Previous Post

সীরাত রচনায় প্রাচ্যবাদী প্রয়াস: একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা। কাজী একরাম

Next Post

ইসলামের আদর্শ যুদ্ধনীতি: হুদায়বিয়ার সন্ধি ও মক্কা বিজয় প্রসঙ্গ। আব্দুল হালীম ওয়াইস

সাবের চৌধুরী

সাবের চৌধুরী

Related Posts

ইমাম সুফিয়ান সাওরী রহ.- জীবন ও কর্ম
ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার

ইমাম সুফিয়ান সাওরী রহ.- জীবন ও কর্ম

September 7, 2021
তাবেঈ রাবী ইবনে খুসাইম: একজন আলোকিত মানুষের আলোকিত জীবন। শারাফাত শরীফ
বিবিধ

তাবেঈ রাবী ইবনে খুসাইম: একজন আলোকিত মানুষের আলোকিত জীবন। শারাফাত শরীফ

July 12, 2021
Next Post
ইসলামের আদর্শ যুদ্ধনীতি: হুদায়বিয়ার সন্ধি ও মক্কা বিজয় প্রসঙ্গ। আব্দুল হালীম ওয়াইস

ইসলামের আদর্শ যুদ্ধনীতি: হুদায়বিয়ার সন্ধি ও মক্কা বিজয় প্রসঙ্গ। আব্দুল হালীম ওয়াইস

Comments 2

  1. Ibn Jafor says:
    2 years ago

    😍😍

    Reply
  2. Ibn Jafor says:
    2 years ago

    ভালোবাসা ❤️❤️

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

No Result
View All Result

Recent.

তাসাউফ সম্পর্কে অপপ্রচার ও ভ্রান্তি : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা ।। মাওলানা আনাস চৌধুরী

December 16, 2022
এই পৃথিবী একবার পায় তারে। সাবের চৌধুরী।

এই পৃথিবী একবার পায় তারে। সাবের চৌধুরী।

November 28, 2022

গামেদি চিন্তার মৌলিক ভ্রান্তি | শেষ পর্ব | মূল: মাওলানা ইয়াহয়া নোমানি | তরজমা: হুজাইফা মাহমুদ

November 16, 2022

গামেদি চিন্তার মৌলিক ভ্রান্তি—প্রথম পর্ব | মূল: মাওলানা ইয়াহয়া নোমানি | ভাষান্তর: হুজাইফা মাহমুদ

November 12, 2022
বাংলাদেশে ইসলামি নারীবাদের সাতকাহন | হুজাইফা মাহমুদ

বাংলাদেশে ইসলামি নারীবাদের সাতকাহন | হুজাইফা মাহমুদ

October 29, 2022

  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

No Result
View All Result
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ

© 2020 রিওয়ায়াহ - Developed by Tijarah IT Limited.