Riwayahbd
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ
No Result
View All Result
Riwayahbd
No Result
View All Result

হিউম্যান রাইটস: রঙিন বোতলে পুরনো বিষ। যাহেদ সিদ্দিক মুগল

by সাবের চৌধুরী
November 26, 2020
1 min read
0
হিউম্যান রাইটস: রঙিন বোতলে পুরনো বিষ। যাহেদ সিদ্দিক মুগল
135
SHARES
1k
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

 

মূল – যাহেদ সিদ্দিক মুগল

ভাষান্তর – ইমরান রাইহান

হিউম্যান রাইটস ও হুকুকুল ইবাদের পার্থক্য

 

সাধারণত হিউম্যান রাইটসের অর্থ করা হয় ‘মানুষের অধিকার’ এবং অনেক সময় তো একেই হাক্কুল ইবাদ তথা বান্দার হকের সমার্থক মনে করা হয়। অনেকে তো এটাও প্রমান করে দেন, হিউম্যান রাইটস সর্বপ্রথম ইসলামেই দেয়া হয়েছে এবং বিদায় হজ্বের ভাষণে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা দিয়েছেন। নাউজুবিল্লাহ।

এই দুইয়ের পার্থক্য আমরা একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে আলোচনা করবো। ধরা যাক দুজন পুরুষ সিদ্ধান্ত নিল তারা পরস্পর স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করবে। এখন প্রশ্ন হলো, তাদের এমন করার অধিকার আছে কিনা? যদি এই প্রশ্ন কোনো ধর্মীয় পন্ডিতকে জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে তিনি নিজ ধর্মগ্রন্থ অনুসারে এর জবাব দিবেন । একজন মুসলমান আলেমকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলবেন যেহেতু কোরআন ও সুন্নাহয় এর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে তাই কোনো ব্যক্তির জন্য এমন করার অধিকার নাই। আবার এই প্রশ্নই যদি পশ্চিমা কোনো দার্শনিক, যিনি হিউম্যান রাইটসের ধারাগুলো মেনে চলেন, তাকে এই প্রশ্ন করা হয়, তাহলে তিনি বলবেন যেহেতু প্রত্যেক মানুষের তার ইচ্ছা পূরণের স্বাধীনতা আছে তাই দুজন পুরুষ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বিয়ে করলে দোষের কিছু নেই। (এই মূলনীতির ভিত্তিতেই ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশে সমকামীতা, সমকামী বিয়ে আইনানুগভাবে বৈধ) (১)

এখানে পরিস্কার হলো হুকুকুল ইবাদের মাপকাঠি হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ। অর্থাৎ একজন মানুষের কী কী অধিকার আছে আর কী নেই তা নির্ধারিত হবে কুরআন ও সুন্নাহর মাধ্যমেই। অপরদিকে হিউম্যান রাইটসের জন্মই হয়েছে মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে। ইসলাম মানুষের অধিকার ও হক নির্নয়ের জন্য ইসলামের বাইরে অন্য কোন মাপকাঠি গ্রহনের অনুমতি দেয় না। ইসলামের বক্তব্য হলো মানুষ তার নিজের জীবনের মালিক নয়। তার জীবন মালিকের পক্ষ থেকে তাকে দেয়া উপহার মাত্র। তাই তার অধিকার নেই যেভাবে ইচ্ছা নিজের জীবন চালাবে। আমাদের মানতে হবে আমাদের মূল হলো আমরা আল্লাহর গোলাম। আমরা আল্লাহর নির্দেশের বাইরে আমাদের জীবন চালাতে পারব না। আমাদের সেই অধিকার নেই, সেই অনুমতিও আমাদের দেয়া হয়নি। মানুষের অধিকার শুধু ততটুকুই যতটুকুর অনুমতি আল্লাহ তার রাসুলের মাধ্যমে দিয়েছেন। মানুষের অধিকার নেই কোনো কাজ বা বিষয় বৈধ নাকি অবৈধ তা সে নিজে নির্ধারণ করবে। হিউম্যান রাইটস মেনে নেয়ার অর্থই হচ্ছে মানুষ নিজের ভালো মন্দ নিজেই নির্ধারণ করতে পারে এবং সে নিজেই নিজের হাকিম। মনে রাখতে হবে, হুকুক এবং ফারায়েজের সকল বৃত্তান্ত কোন নির্দিষ্ট মাকসাদ অর্জনের মাধ্যম মাত্র এবং সেই মাকসাদ পরিবর্তনের সাথে সাথে হুকুক ও ফারায়জের তাফসিলাতও বদলে যায়। শরিয়ত প্রণেতা কর্তৃক তার বান্দাদের হুকুক দেয়ার মানেই হলো এটা মাকাসিদে শরিয়াহ অর্জনের মাধ্যম হবে। অপরদিকে হিউম্যান রাইটস আমাদের সামনে যে ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আসে তার উদ্দেশ্যই হলো, মানুষের প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করা, তার মনচাহি জিন্দেগির বাস্তবায়ন করা।  হিউম্যান রাইটসের উদ্দেশ্যের সাথে মাকাসিদে শরিয়াহ সাংঘর্ষিক, তাই হিউম্যান রাইটস শরিয়ত নির্ধারিত হকগুলোকেও অস্বীকার করে।

 

হিউম্যান রাইটস, গনতন্ত্র এবং পক্ষপাতহীনতার দাবী

 

মুসলিম চিন্তাবিদরা প্রায়ই একটা ধোকার শিকার হন, তারা মনে করেন হিউম্যান রাইটস একটি পক্ষপাতহীন , চিরন্তন কাঠামোর নাম। তাদের এই ধোকার কারন হলো হিউম্যান রাইটসের ফ্রেম ওয়ার্কে দেখা যায় এটি প্রত্যেকের জন্য সে যা চায় তা অর্জনের সুযোগ দিয়ে রেখেছে। কিন্তু এটি একটি স্পষ্ট বিষয় যে হিউম্যান রাইটসের ফ্রেম ওয়ার্কে কল্যানের কোনো নিউট্রাল দর্শন নেই। বরং এই ফ্রেম ওয়ার্কও কল্যানের একটি নির্দিষ্ট অংশকেই ধরে নেয় মাত্র। যখন কোনো রাষ্ট্র এই ফ্রেম ওয়ার্ক কে আইন হিসেবে মেনে নেয় তখন তা ঐ রাষ্ট্রের কাছে দাবি করে যে কল্যানের ওই নির্দিষ্ট ব্যাখ্যাকেই নাগরিকদের উপর বিজয়ী করে দেয়া। সেক্যুলাররা ধর্মের কল্যানদর্শনকে পক্ষপাত বলে অভিযুক্ত করে তাকে সামাজিক জীবন থেকে বের করে দিতে চায়। তারা মানুষদেরকে ধোকা দেয়ার জন্য বলে থাকে, ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র পক্ষপাত করে কারন তারা কল্যানের ধর্মীয় ব্যখ্যাই গ্রহন করে।এর বাইরে কল্যানের অন্য সকল ব্যাখ্যাকে তারা ত্যাগ করে। এজন্য ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে দূরে রেখে এমনভাবে আইন বানাতে হবে যেখানে কল্যানের সকল ব্যাখ্যা ও দর্শনকে মেনে পক্ষপাতহীন কাঠামো গঠন করা হয়। এই ধরনের কানুন প্রতিষ্ঠায় হিউম্যান রাটস সহায়তা করে। ভালো করে বুঝে নিন, সেক্যুলার ও পশ্চিমা দার্শনিকদের এই দাবী, যে লিবারেল সেক্যুলার স্টেট সবসময় পক্ষপাতহীন এবং টলারেন্ট হয়, এটা একটা মিথ্যা দাবী। কল্যানের প্রশ্নে পক্ষপাতহীন হবার কোনো সুযোগই নেই। হিউম্যান রাইটস মতে কল্যানের আসল দর্শন হলো, ভালোমন্দ নির্নয়ে নাগরিককে স্বাধীনতা দেয়া, অপরভাষায় কল্যানের সকল দর্শন সমান হওয়া। এই দর্শন মতে কল্যান হলো নাগরিকের ওই যোগ্যতার নাম যেখানে সে নিজের সকল চাহিদা পূরনের সুযোগ পায় এবার সেই চাহিদা যাই হোক না কেন। (২)

মূলত হিউম্যান রাইটসের বক্তব্য হলো আসল কল্যান নিহিত আছে কল্যানের সকল দর্শনকে সাম্যতা দেয়ার মাঝেই। (৩) কল্যানের সকল দর্শন সমান এই কথা বিশ্বাস করার পর ইসলাম সত্যধর্ম এই কথায় বিশ্বাস করা একটি হাস্যকর দাবী। হিউম্যান রাইটসে বিশ্বাস করার অর্থই হলো, ইসলামই একমাত্র সত্যধর্ম নয় বরং সকল ধর্ম ও জীবনব্যবস্থাও ততটুকু সত্য, যতটুকু সত্য ইসলাম। এজন্য মুসলমানদের উচিত নয় অন্যদের উপর নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের দাবী করা। বিশেষ করে ইকামাতে দ্বীন এর চেষ্টাও ছেড়ে দিতে হবে, কারন এ থেকে ধর্মীয় উগ্রতা ও শ্রেষ্ঠত্বের চিন্তাধারার সূচনা হয়। (৪)

সেক্যুলার রাষ্ট্র কল্যানের ঐ দর্শনকেই মেনে নেয় যা তার কল্যানদর্শনের (অর্থাৎ কল্যানের সকল দর্শন সমান) সাথে সাংঘর্ষিক না হয়। কল্যানের কোনো দর্শন যদি নিজেকে অন্যসব কল্যানের দর্শন থেকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবী করে এবং নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাহলে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাকে নাস্তানাবুদ করে দেয়া হবে। এর সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রমান হলো আফগানিস্তান। তালেবানদের প্রতিষ্ঠিত ইসলামি রিয়াসতকে শুধু এ কারনেই হামলা করা হয়েছে যে এই রাষ্ট্র ধর্মের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। এবং ধর্মের কল্যান দর্শনকে অন্যসকল কল্যান দর্শনের উপর বিজয়ী করার জন্যই এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোনো মুসলিম মেয়ে যদি কাফেরকে বিয়ে করতে চায় তাহলে ধর্মীয় সমাজ এর অনুমতি দিবে না। কিন্তু হিউম্যান রাইটস একে অনুমতি দেয় এবং এই কাজে সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রকেও আদেশ দেয়। যদি মুসলমানরা নিজেদের ধর্মীয় বিধান মানার জন্য সেই মেয়েকে বাধ্য করে তাহলে লিবারেল স্টেট সেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিবে। মুল বিষয় হলো হিউম্যান রাইটসের নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষন করে। কোনো দল বা ধর্মের অধিকার নয়। এজন্য লিবারেল স্টেটে ব্যক্তি একা ছাড়া আর কিছুরই গুরুত্ব নেই। গুরুত্ব হারায়, বংশ, গোত্র ও দল। লিবারেল স্টেটে রাষ্ট্র লিবারেল ক্যাপিটালিজম জোর করে চপিয়ে দেয়। এর ফলে অন্যসব জীবনব্যবস্থার কর্মপরিধি অনেক ছোট হয়ে আসে। (৫)

লিবারেল স্টেট দাবী করে এই রাষ্ট্রে নাগরিকরা যা ইচ্ছা তা চাইতে পারবে অর্জন করতে পারবে কিন্তু এটা একটি মিথ্যা দাবী। কারন জনগনের অধিকার নেই তারা সাম্যতার দর্শনকে বাতিল করবে। আমি গোশত খেতে চাইলে খেতে পারব, সারাক্ষন খেলতে চাইলে তাও পারবো কিন্তু আমি চাইলেই আজাদির দর্শন বা স্বাধীনতার দর্শনকে বাতিল করতে পারব না। যেমন আমি চাইলেই কোনো ব্যক্তিকে শরয়ী অপরাধ যেমন যিনা করা থেকে বাঁধা দিতে পারব না। কারন এর মাধ্যমে আমি তার স্বাধীনতায় বাঁধা দিব, তখন রাষ্ট্র আমার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিবে। (৬)  একজন নাগরিক তার নিজস্ব কোনো কল্যান দর্শন যেমন নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের রীতিনীতি মেনে চলার অধিকার পাবে কিন্তু একেই একমাত্র হক মনে করে অন্যসকল কল্যানের দর্শনের উপর একে বিজয়ী করার চিন্তা বা চেষ্টা করার অধিকার তার থাকবে না। লিবারেল স্টেটে প্রতিটি নাগরিক হিউম্যান হতে বাধ্য। স্বাধীনতা ছাড়া আর কিছুই তাদের কাম্য নয়। স্বাধীনতা প্রকাশের বিপরীতে মানুষের যত চাহিদা আসবে তার সবই আইনিভাবে বাতিল বলে গন্য হবে। অর্থাৎ নাগরিকের নিজের স্বাধীনতা প্রকাশের অনুমতি থাকবে ততক্ষন যতক্ষন তার স্বাধীনতার প্রকাশ অপর কোনো নাগরিকের স্বাধীনতা প্রকাশে বাঁধা হবে না। বুঝা গেল কল্যানের ব্যাপারে লিবারেল স্টেট dogmatic ও intolerant যেমনটা ধর্মীয় রাষ্ট্রও হয়ে থাকে। দুনো প্রকারের রাষ্ট্রই নিজের দর্শনের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো দর্শনকে মেনে নেয় না। তাকে মাথা তুলে দাড়ানোর সুযোগও দেয় না। বিখ্যাত লিবারেল চিন্তাবিদ রোলেস (৭) বলেছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতাকে লিবারেলিজমের জন্য হুমকি হয়ে উঠার সুযোগ দেয়া যাবে না। যে ধর্মীয় দর্শন লিবারেলিজমের স্বাধীনতার ধারনাকে অস্বীকার করে তাকে ধবংস করে দিতে হবে। একে অপসারন করা এতটাই জরুরি জতটা জরুরি মহামারী অপসারণ করা। (৮)

সুতরাং মনে রাখুন কল্যানের সকল দর্শনের মধ্যে সাম্যতা প্রতিষ্ঠিত হওা কোনোভাবেই পক্ষপাতহীনতা নয়। ম্যাচিউরড ডেমোক্রেটিক স্টেটে মানুষের অধিকার অন্যসব কল্যানকে পেছনে ফেলে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন অন্য কোনো কল্যানের আহবান করাও একটি বেকার কাজ হয়ে যায়। এমন রাষ্ট্রে আপনি নির্দিষ্ট কোনো কল্যানের দর্শনকে অনুসরন করতে পারবেন ঠিকই কিন্তু একে অন্যসব কল্যানের দর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করতে পারবেন না। এটাই হিউম্যান রাইটসের হাকিকত।

 

হিউম্যান রাইটস এবং গনতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম বিজয়ের চেষ্টা

 

যেসকল চিন্তাবিদ ও উলামায়ে কেরাম হিউম্যান রাইটস ও গনতন্ত্রকে দ্বীন কায়েমের উত্তম মাধ্যম মনে করে থাকেন তারা মূলত হিউম্যান রাইটসের পক্ষপাতহীনতার শ্লোগান শুনে ধোকা খান। তারা গনতন্ত্রকে এমন একটি টেকনিক্যাল কাঠামো মনে করেন যার মাধ্যমে সকল ধরনের মাকাসিদ ও উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব। হিউম্যান রাইটস ও গনতন্ত্র কখনোই এমন কোন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে না যার মাধ্যমে বিশেষ কোনো জীবনব্যবস্থার মাকাসিদ ও উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। বরং তা এমন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে যা আল্লাহ নির্দেশিত খায়ের বা কল্যানের ধারনা নয় বরং মানুষের অধিকারকেই শ্রেষ্ঠ কল্যান মনে করে থাকে। মূলত এটি কুফর ও শিরকের একটি প্রকার মাত্র যাকে তারা প্লুরালিটি অফ গুডস এর মত বাহারী নামে ডেকে থাকে। এভাবে তারা যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে তা লিবারেল ক্যাপিটালিজম। সহজ কথায় হিউম্যান রাইটস মেনে নেয়ার অর্থই হচ্ছে ইসলামকে পরাজিত স্বীকার করে নেয়া। আপনারা দেখবেন, যখনই ইসলাম বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত আসে তখন এর প্রতিবাদ জানানো হয় এবং বলা হয় প্রতিবাদ করার অধিকার মুসলমানদের আছে। যেমন ধরা যাক তুরস্কে মহিলাদের স্কার্ফ নিষিদ্ধ করা হলো, তখন এর প্রতিবাদ জানানো হয় । বলা হয় মুসলমান মহিলাদের স্কার্ফ পড়ার অধিকার আছে। হিউম্যান রাইটসও এর অনুমতি দেয়। যদি এই হেকমতে আমলি পরাজিত মানসিকতার প্রমান না হয় তাহলে মনে রাখুন, ইসলামের প্রকাশ করা absolute good  এর পরবির্তে হিউম্যান রাইটসের আশ্রয় নিয়ে একে একটি অধিকার বলে প্রকাশ  করা হচ্ছে। এটি ইসলাম একমাত্র মনোনিত জীবনব্যবস্থা এর বিপরীত আচরণ। একইসাথে ইসলামের কল্যান সামগ্রিক একেও অস্বীকার করছে। যখন ইসলাম পালন করা নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার বলা হচ্ছে তখন অন্যদেরকেও তাদের পছন্দনীয় জীবনব্যবস্থা মানার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। আর সাথে সাথে আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার হারিয়ে যাচ্ছে। কারন ভালো মন্দের সকল মতকেই সমান বলা হবে এবং কারো অধিকার নেই একে অপরের উপর কতৃত্ব করবে। এই চিন্তার কারনে ইসলামকে একমাত্র সত্যধর্ম মেনে নেয়ার বদলে অনেকগুলো জীবনব্যবস্থার মধ্য একটি জীবনব্যবস্থা স্বীকৃতি দিয়ে অন্যদের সমান মনে করা হয়। এভাবে লিবারেল সেক্যুলার স্টেটে ইসলামকে কোনোভাবে ঠাই দেয়া হয়। (৯)

হিউম্যান রাইটসের ফ্রেম ওয়ার্ক থেকে উতসারিত ন্যায়বিচার ও অধিকার অর্জনের জন্য চেষ্টা করা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারন দিনশেষে  এর মাধ্যমে পুজিবাদী ন্যায়ের দর্শনই প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে খায়ের বা কল্যান মানুষের হকের উপর প্রাধান্য পাবে। অর্থাৎ কল্যানের ব্যাপারে আল্লাহ যে নির্দেশনা অবতীর্ন করেছেন ইসলাম তা সমুন্নত রাখে। যেহেতু ইসলামের সকল অধিকার ও কর্তব্য এই কুরান সুন্নাহ থেকেই নেয়া হয়েছে। ইসলামের দাওয়াত কখনো অধিকারের দিকে আহবানের নাম নয়, বরং কল্যানের দিকে আহবানের নাম। ওহি ব্যতিত কল্যান চেনার আর কোনো মাধ্যম নেই। এর বাইরে আর কোনো কিছুকে কল্যান বলে ইসলাম স্বীকৃতি দেয় না। এর দিকে আহবানের অনুমতি দেয় না। অমুসলিমদের দাওয়াত দেয়ার সময় আমরা তাদের শুধু বলবো এ পথেই কল্যান নিহিত এদিকে আসো। ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোনো pre given conception of good এর ধারনা গ্রহন করার অর্থই হলো, ইসলামের সামগ্রিক কল্যানকে অস্বীকার করা। যারা মনে করেন হিউম্যান রাইটসের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করা সহজ হবে তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন

১। পৃথিবীতে সেই রাষ্ট্রটি কোথায় যেখানে গনতন্ত্র ও হিউম্যান রাইটসের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?

২। ইসলামি রাষ্ট্র পরের কথা। পৃথিবীর কোথাও গনতান্ত্রিক পদ্ধতীতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক স্টেট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? যদি হয় তাহলে আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ইত্যাদী অঞ্চলে কেন বিপ্লব করতে হয়েছিল? এমনকি গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে আজও আফগানিস্তান, পাকিস্তান ইত্যাদি অঞ্চলে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে। এটাই বা কেন?

৩। গনতন্ত্র কি ইসলামের ইতিহাস ও জ্ঞানতাত্ত্বিকতা থেকে আহরিত নাকি সাম্রাজ্যবাদ একে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে?

 

হিউম্যান রাইটসকে সার্বজনীন ভাবা ভুল

 

আলোচনা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হলো, হিউম্যান রাইটসের ফ্রেম ওয়ার্ক কোনো চিরন্তন বা সার্বজনীন কিছু নয় । এর মূলে রয়েছে পোস্ট-ক্রিশ্চিয়ান পশ্চিমা সামাজিক কাঠামো। এর ইতিহাস জানার মাধ্যমেই একে বোঝা সম্ভব হবে। একটা বিষয় বুঝে নিন, হিউম্যান রাইটসের পেছনে কোনো সার্বজনীন ও জ্ঞানতাত্ত্বিক দলিল নেই। এর একমাত্র অবলম্বন হলো মানুষের প্রকৃতি বা তবিয়ত। হিউম্যান রাইটসের বৈধতা মূলত হিউম্যানের প্রকৃতি, কোনো আবদ বা বান্দার প্রকৃতি নয়। পশ্চিমা দার্শনিকদের মতে নফসে আম্মারাহর অনুসরণ করাও নিজের প্রকৃতির অনুসরন করা হিসেবে বৈধ, এতে কোনো সমস্যা নেই। এভাবে হিউম্যান রাইটসের সার্বজনীনতার কথা বলা হচ্ছে। (১০)

কিন্তু আমরা নফসে আম্মারাহর চাহিদাকে কখনোই মানুষের ফিতরত বা প্রকৃতি মনে করি না। নফসে আম্মারাহর উপর চলার সামর্থ্য সবারই ঠিক আছে, এটা ঠিক। কিন্তু এই অর্থে এটি ফিতরত  নয় যে নফসে আম্মারাহর অনুসরন করা মানুষের জন্য একটি স্বাভাবিক বা নরমাল বিষয়। নফসে আম্মারাহ কখনোই কোনো মাপকাঠি হতে পারে না। অথচ পশ্চিমা দর্শনে নফসে আম্মারাহকে প্রকৃতি বলে চালিয়ে দেয়া হয়। (১১)

পশ্চিম কল্যানের যে দর্শনের উপর বিশ্বাস রাখে এটি মূলত নফসে আম্মারারই অপর নাম। এজন্যই পশ্চিমা আইনে নানা ধরনের বিষয় থাকলেও গুনাহের উল্লেখ নেই। গুনাহ কী ? গুনাহ মানে হলো বান্দা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে নিজের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করবে। আর পশ্চিমে তো একেই ব্যক্তি স্বাধীনতা বলা হচ্ছে। এবং যে যত বেশি আল্লাহর আদেশ অমান্য করে নিজের চাহিদা পূরন করতে পারবে সে ততবেশি নিজের স্বাধীনতা বৃদ্ধি করছে ধরে নেয়া হয়। কল্যানের এই দর্শন মেনে নিলে ঈমান আনার পর গুনাহ বলে আর কিছুর অস্তিত্বই থাকে না। ধর্ম যাকে গুনাহ বলে পশ্চিম তাকে ব্যক্তি স্বাধীনতা ও প্রকৃতি বলে। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের ফিতরত হলো আল্লাহর আদেশ মত জীবন পরিচালিত করা। এমনকি এভাবে সে নাফসে মুতমাইন্নাহ অর্জন করবে। নফসে মুতমাইন্নাহ হলো যে নিজের রবের আদেশ পালন করার মধ্যে নিজের সৌভাগ্য খুজে নেয়। এটাই হচ্ছে মানুষের মূল ফিতরাহ। অপরদিকে হিউম্যান রাইটসের বক্তব্য মেনে নেয়ার অর্থই হচ্ছে গুনাহ করাই মানুষের আসল ফিতরাহ। (১২)

এখানে আরেকবার পশ্চিম ও ইসলামের স্বাধীনতার দর্শন স্পষ্ট হয়ে যাওয়া দরকার। পশ্চিম মানুষের স্বাধীনতা (আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ, নফসে আম্মারাহর অনুসরন) কে শুধ যোগ্যতা মনে করে তাই নয়, বরং একে উত্তম মনে করে। অপরদিকে ইসলাম বলে বান্দার সুযোগ এটুকুই যা সে চাইলে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে পারবে কিন্তু এমনটা করা কখনোই ভালো কিছু  নয়। এর কোনো মূল্যও নেই। কারন মূল্য আছে আবদিয়্যতে। স্বাধীনতায় নয়। আফসোসের কথা হলো, স্বয়ং পশ্চিমা দার্শনিক ও চিন্তাবিদরা হিউম্যান রাইটসের পক্ষপাতহীনতার বক্তব্য থেকে ফিরে আসছেন। (১৩) আর সে সময় মুসলিম চিন্তাবিদরা হিউম্যান রাইটসের পক্ষে ইসলামের ব্যাখ্যা খুজতে খুজতে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন। হিউম্যান রাইটসের পক্ষে ব্যখ্যা দানকারী মুসলিম চিন্তাবিদ ও দার্শনিকরা একটি ব্যখ্যা খুজে নেন। তাদের বক্তব্য হলো আমরা হিউম্যান রাইটসের সংজ্ঞা ইসলামি শিক্ষার আলোকে নির্ধারণ করি। অর্থাৎ ইসলামেও হিউম্যান রাইটস রয়েছে। তবে পশ্চিম যে হিউম্যান রাইটসের কথা বলে তা নয়। তার সাথে এর তফাত আছে। ইসলামের হিউম্যান রাইটস কোরান সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত। তাদের এই কথায় বেশকিছু সমস্যা আছে।

হিউম্যান নিছক একটি শব্দ নয় যে, এর অর্থ মানুষ’ করে একে যে অর্থে ইচ্ছা ব্যবহার করা যাবে। বরং এটি একটি পরিভাষা। এর আড়ালে আছে জ্ঞানতাত্ত্বিকতার এক সুদীর্ঘ ইতিহাস। হিউম্যানিটি মূলত রেনেসার একটি বিশেষ পরিভাষার নাম। একে ‘মানুষ’ অর্থ করা বড় ধরনের ভুল। মানুষ বা মানুষত্বের সঠিক ইংরেজি  অনুবাদ হলো mankind. অষ্টাদশ শতাব্দীর আগে ইংরেজি ভাষায় এই শব্দই ব্যবহার করা হত। হিউম্যানিটির দর্শন, ইনসানিয়াত বা মানুষত্বের দর্শনের বিপরীত কারণ, কারণ হিউম্যান বিং সরাসরি আবদিয়্যতকে অস্বীকার করে। কান্ট এর মতে, হিউম্যান বিং এর মূল হচ্ছে স্বায়ত্তশাসন বা autonomy. হিউম্যান বিং এর মতে একজন নাগরিক self-determind and self governed being এর সাথে ঈমানের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং এটা সরাসরি  বিদ্রোহ। মানুষ তার স্রষ্টার ইচ্ছার অনুগত হয়, অপরদিকে হিউম্যান বিং এর ধারণা মতে মানুষ নিজেই নিজের রব হয়। এজন্য হিউম্যান এর প্রকৃত অর্থ মানুষ নয়, শয়তান। human is actually demon. এর কারণ হলো, হিউম্যান তার রবের ততটাই বিদ্রোহী, যতটা বিদ্রোহী শয়তান। এজন্য হিউম্যান রাইটস অর্থ মানবাধিকার নয়, বরং শয়তানের অধিকার। বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত দার্শনিক মিশেল ফুকো সঠিকই বলেছেন, হিউম্যান এর জন্মই হয়েছে সপ্তাদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে। (১৪)

এর আগে এই শব্দের ব্যবহার ছিল না। কারন সকল ধর্মেই মানুষকে বান্দা বা আবদ বলা হয়েছে। হ্যাঁ, ধর্মগুলোর মাঝে আবদ বা বান্দার ধরণ ও করনীয় নিয়ে তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। হিউম্যান এর ধারণার সাথেই যেখানে ইসলামের ‘মানুষে’র সংঘাত, সেখানে ইসলামি হিউম্যান রাইটস বলা আর ইসলামি কুফর বলা একই কথা। যেভাবে ইসলামি খ্রিস্টবাদ বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকতে পারে না, সেভাবে ইসলামি হিউম্যান রাইটস বলেও কিছুর অস্তিত্ব নেই। হিউম্যান রাইটসের বিপরীতে ইসলামে রয়েছে হুকুকুল ইবাদ এর ধারণা, আর এই হুকুকও হিউম্যান এর নয়, বরং আবদ বা বান্দার। ইসলামে হিউম্যান এর কোনো অধিকার নেই, কারণ সে তো সরাসরি আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ করেছে। বিদ্রোহীর কোনো অধিকার থাকে না। এজন্য আমরা বলি, হিউম্যান রাইটস মানেই হলো সরাসরি হুকুকুল ইবাদ এর বিরোধিতা করা। আমরা আশ্চর্য হই, ইসলামে হুকুকুল ইবাদ সম্পর্কে এত বিস্তারিত ও বিশদ আলোচনা থাকার পরেও কেনো মুসলিম চিন্তাবিদ ও দার্শনিকরা হিউম্যান রাইটসের প্রয়োজনিয়তা অনুভব করেন। যে বিষয়ের দিকে ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের আহবান করা উচিত তা হিউম্যান রাইটস নয়, বরং হিউম্যান রাইটসকে প্রত্যাখ্যান। ইসলাম সর্বদা মানুষের প্রভুত্বকে প্রত্যাখ্যান করে। মানুষের প্রভুত্বে বিশ্বাস করা তো কুফর ও শিরক। হিউম্যান রাইটস ও এ ধরনের অন্যান্য ইসলামবিরোধী দর্শনকে বৈধ মনে করার কারণ হচ্ছে পুজিবাদী দর্শনকে ভালো করে না বোঝা। মুসলিম চিন্তাবিদরা পুজিবাদী জীবনদর্শনের শাখাগত দুই একটি বিষয় দেখেই সিদ্ধান্ত দিয়ে বসেন কিন্তু তারা সামগ্রিক কাঠামো নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ।

****

আগেই বলছি হিউম্যান রাইটস এর বৈধতার জন্য কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক দৃষ্টিভংগি গ্রহণ করা হয়নি। বরং ধরে নেয়া হয়েছে মানুষের প্রকৃতিই এটি দাবী করে। অর্থাৎ হিউম্যান রাইটস নিজেই নিজের বৈধতা দেয়। (১৫)  হিউম্যান রাইটসকে অন্য কোনো দর্শন বা ধর্মের নামে বাতিল করা যাবে না। অপরদিকে ইসলাম মানুষের এমন কোনো অধিকার দেয় না, যা গৃহিত হবে ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো মাপকাঠির মাধ্যমে। মূলত মানুষের নিজস্ব কোনো অধিকারই নেই, তার রব সন্তুষ্ট হয়ে তাকে যা উপহার দিয়েছেন তা ছাড়া। শরিয়ত প্রনেতার কথা থেকে যা প্রমান হবে তা ছাড়া মানুষের আর কোনো অধিকার নেই। হিউম্যান রাইটস হলো, abstract human এর অধিকার এখানে ব্যক্তির নিজস্ব কোনো বৈশিষ্ট্য ধর্তব্য নয়। অপরদিকে ইসলামে হুকুকুল ইবাদের ক্ষেত্রে মুমিন, কাফের, নারী পুরুষ, মুত্তাকি গুনাহগার ইত্যাদী নানা বিষয় ধর্তব্য। হিউম্যান রাইটসের উদ্দেশ্যই হলো নির্দিষ্ট কোনো ধর্ম বা দর্শন বাদ দিয়ে সকল চিন্তাধারা থেকে অধিকারের বক্তব্য গ্রহন করা এবং কাউকে প্রাধান্য দেয়া। এমনটা করা হবে সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই। কিন্তু কুরান সুন্নাহ থেকে হিউম্যান রাইটসের অধিকার বের করতে গেলেই আপত্তি আসে। তখন বলা হয় এটা শুধু নির্দিষ্ট একটি ধর্মের জন্য। এটা হিউম্যান রাইটসের মূল উদ্দেশ্যের বিপরীত। সুতরাং বলা যায় ইসলামে হুকুকুল ইবাদের ধারণা আছে, কিন্তু হিউম্যান রাইটসের কোনো বৈধতা ইসলামে নেই।

 

হিউম্যান রাইটস একটি ইতিহাস ও সংস্কৃতি থেকে জন্ম দিয়েছে। সেই ইতিহাস বাদ দিয়ে অন্য অর্থে এটি ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এটা কেউই মেনে নিবে না যে তাদের সংস্কৃতি থেকে জন্ম নেয়া কোনো শব্দ অন্য কেউ নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত অর্থে ব্যবহার করবে। যেমন আমাদের এখানে কাদিয়ানিরা নিজেদের মুসলমান বলে। তারা বলে তাদের ধর্ম ইসলাম। কিন্তু আমরা কাদিয়ানের এই শব্দ ব্যবহার মেনে নিতে প্রস্তুত নই। আমরা তাদের কাফের মনে করি। তাদের ধর্মকেও নতুন ধর্ম মনে করি। আমাদের কাছে ইসলাম হলো তাই যা আল্লাহ কুরান সুন্নাহর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন এবং এই উম্মাহ ধারাবাহিকভাবে সঙ্গরক্ষন করে আসছে। কোনো শব্দের মনমত একটা শব্দ ধরে নেয়া আপনার ইচ্ছা, কিন্তু আপনি যদি ভাবেন পশ্চিম এই অর্থেই শব্দটি তৈরী করেছে কিংবা আপনার বানানো অর্থ তারা মেনে নিবে, তাহলে এটা আপনার বোকামি। (১৬)

মনে রাখতে হবে হিউম্যান রাইটসের ফ্রেম ওয়ার্ক ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে আসেনি। আমরা যখন হিউম্যান রাইটসকে সার্বজনিন মেনে নিয়ে এর বিরোধিতা করতে যাই তখন একইসাথে কয়েকটি সমস্যার শুরু হয়। একদিকে আমরা এগুলো সার্বজনীন এই বক্তব্যকে শক্তিশালী করে ফেলি। অপরদিকে আমরা এক জটিল আলোচনার মুখোমুখি হই। পরিশেষে আমরা প্রতিরোধমূলক অবস্থানে যেতে বাধ্য হই। অথবা সমঝোতা করে ফেলি। পরে এই সমঝোতা বৈধ করার জন্য নিজেদের পক্ষ থেক একের পর এক তাবিল করতে থাকি।

 

 

টীকা

 

প্রবন্ধের এই অংশ তৈরীর জন্য ডক্টর আবদুল ওহাব সুরি ও মাওলানা মাহবুবুল হাসান আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের কৃতজ্ঞতা আদায় করছি।

১। যে সকল মুসলিম চিন্তাবীদ হিউম্যান রাইটসের ইসলামিকরণ করার চেষ্টা করেন তাদের যুক্তি হলো, একেক রাষ্ট্রে হিউম্যান রাইটসের একেক ধরণের ব্যাখ্যা সম্ভব। যেমন হিউম্যান রাইটসের উপর প্রতিষ্ঠিত সব রাষ্ট্রই সমকামীতার বৈধতা দেয় না। কোথাও কোথাও এটি নিষিদ্ধও। সুতরাং তারা ধরে নেন হিউম্যান রাইটসের ইসলামিকরণ সম্ভব। তাদের এই দাবী সম্পূর্ণ ভুল। এটা ঠিক শুরুতে প্রত্যেক রাষ্ট্রই তাদের নিজস্ব ধর্মীয় চেতনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুসারে হিউম্যান রাইটসকে ঢেলে সাজায়। কিন্তু যত দিন যায়, ধীরে ধীরে হিউম্যান রাইটস সব কিছু নিজের করায়ত্ত করে নেয়। তখন মূল্যবোধ ও চেতনা হয়ে উঠে বেকার জিনিস। ষাটের দশকের আমেরিকার টিভি চ্যানলেগুলোর সাথে বর্তমান পাকিস্তানের পিটিভির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথে কোনো তফাত ছিল না। কিন্তু যতই দিন গিয়েছে অশ্লীলতা ও নগ্নতা এসে সব দখল করে নিয়েছে। মূলত আইন যাই আসুক না কেন হিউম্যান রাইটস সকল নাগরিককে অধিকার দিয়ে রাখে সে নিজেই ভালো মন্দের মাপকাঠি নির্ধারণ করতে পারবে। এর ফলে ব্যক্তি এক সময় নিজের ইচ্ছার প্রভাব খাটাতে শুরু করে এবং রাষ্ট্রও এই প্রভাব মেনে আইন বদলাতে বাধ্য হয়।

২। প্রাইভেট লাইফ  বলতে আসলে তারা বুঝায় আমি যা ইচ্ছা করবো। অর্থাৎ prefence for preference itself. অর্থাৎ ব্যক্তির বিশেষ কোনো চাহিদা থাকবে না। সে বিশেষ কিছু অর্জনকে নিজের জীবনের মাকসাদ বানাতে পারবে না। কারন এমন হলে তার স্বাধীনতা শেষ হয়ে যাবে। ডক্টর জাভেদ আকবর আনসারি এই কথাই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, his self can prossess ends but cannot be consitituted by them. এজন্য আমরা বলি পাশ্চাত্যের কাছে কল্যানের কোনো substantive দর্শন নাই। কারন তারা যে স্বাধীনতা ও কল্যানের কথা বলে তার কোনো বাস্তবতাই নেই। তাদের মতে কল্যাণ কোনো নির্দিষ্ট চাহিদার নাম নয়, বরং চাহিদা অর্জনের অধিকারই হলো কল্যাণ। অন্য ভাষায়  পশ্চিমের কল্যান দর্শন হলো absence of any good অর্থাৎ কল্যানকে দূর করার নাম। কল্যানহীনতাই তাদের কাছে সর্বোচ্চ কল্যাণের নাম। এই অর্থে পশ্চিমের কল্যাণদর্শন মূলত absolute evil এরই ভিন্ন নাম। কারন কল্যানহীনতার নামই অমংগল বা খারাপ। খারাপ বা অকল্যানের আলাদা কোনো অস্তিত্ব নেই। মুসলমান চিন্তাবিদদের জন্য এখানে চিন্তার অবকাশ আছে। তারা মনে করেন পশ্চিমা কল্যানদর্শনের inner core কল্যানের উপর প্রতিষ্ঠিত। এর বাহ্যিক কাঠামোতে কিছু সমস্যা থাকলেও মূলে কোনো সমস্যা নাই। এবং মূলের দিকে তাকিয়ে এর প্রায়োগিক সমস্যাকে ছাড় দেয়া যেতে পারে। ব্যাপারটি কখনোই এমন নয় যে ইসলামের কাছে একটি কল্যাণ আছে আর পাশ্চাত্যের কাছে আরেকটি। মূল কথা হলো পাশ্চাত্য যাকে কল্যাণ বলে সেটা মূলত কল্যানই নয়। সেটা শার বা অনিষ্ট। তারা যাকে আদল বলে সেটা মূলত জুলুম। এজন্যই মার্মাডিউক বলেছেন, পশ্চিমা সভ্যতা মূলত, আবর্জনার স্তুপ। আসল সভ্যতা তো কেবল ইসলাম।

৩। মূলত পৃথিবীতে নো পজিশন অর্থে নিউট্রালিজম বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই। বরং পক্ষপাতহীনতার দাবী মানে হলো নির্দিষ্ট কোনো মূলনীতির অধিনেই রায় দেয়া হবে। যারা এটা বলে যে পক্ষপাতহীনতা মানে হলো সকল উসুল বা মূলনীতি বাদ দিয়ে শূন্যস্থানে ঝুলন্ত থেকে কোনো রায় দেয়া হবে তারা মূলত মানসিক ভারসাম্যহীন। নিউট্রাল হওয়ার দাবী করাই এক প্রকার ধোকা। পৃথিবীতে এমন কোনো স্থান নেই যেখানে পৌছে মানুষ পক্ষপাতহীন হতে পারে। কোনো বিষয়ে যখন বলা হয় এই ইস্যুতে আপনি মুসলমানদের চিন্তা বাদ দিয়ে নিউট্রাল থেকে চিন্তা করুন। তখন এটা স্রেফ নির্বুদ্ধিতা। তাহলে কি মানুষ ইসলাম থেকে বের হয়ে কুফরের মধ্যে পৌছে নিউট্রাল হবে? কুফর নিজেই কি একটি পক্ষ নয়। আবদিয়্যত থেকে বের হয়ে মানুষের অন্তর পক্ষপাতহীন হয় না, বরং নাফস ও শয়তানের পক্ষ নেয়।

৪। এই চিন্তায় প্রভাবিত ওয়াহিদুদ্দিন খান এবং জাভেদ আহমদ গামেদী জনমনে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন । ইসলাম সকল ধর্মের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এই সুপ্রতিষ্ঠিত মতেরও তারা বিরোধিতা করছেন ।

৫।  এখানে পরিস্কার হলো নাগরিক, সমাজ ও রাষ্ট্র একটি অপরটি ছাড়া প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। নিজেদের অস্তিত্বের জন্যই একটি অপরটির উপর নির্ভরশীল। যারা মনে করে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়াই ইসলামি জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে তারা মূলত ধোকার রাজ্যে বসবাস করছে। এজন্যই আমাদের ফুকাহাগন অমুসলিম রাষ্ট্রে বসবাস করতে নিষেধ করেছেন।

৬। লাল মসজিদের মুজাহিদদের সাথে যা ঘটেছে তা-ই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। যেখানে শাসকরা বেশ্যাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে যারা তদের বিরুদ্ধে লড়েছে সেই মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে হিউম্যান রাইটসকে রক্ষা করেছে।

৭। এজন্য দেখুন theory of justice

৮। ইসলামপন্থীরা প্রায়ই বলে থাকে, আমেরিকা ইরাক ও আফগানিস্তানে হামলা করে হিউম্যান রাইটস অমান্য করেছে। তাদের এই দাবী সরাসরি ভুল। কারন হিউম্যান রাইটসের মূলনীতি মতে যারা নিজেদেরকে হিউম্যান মনে করে না তাদেরকে হত্যা করা কোনো অপরাধ নয়। হিউম্যান সে যে নিজেকে নিজের হাকিম মনে করে এবং সে স্বাধীনতার সকল নিয়ম মেনে চলে। যারা লিবারেল স্বাধীনতা মানে না, এবং এর বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ায় যেমন তালেবান, হিউম্যান রাইটসের মূলনীতি অনুসারে তাদের হত্যা করা বৈধ। হিউম্যান রাইটসের কাজই হল হিউম্যানের অধিকার রক্ষা করা। আবদ বা বান্দার অধিকার রক্ষা করা নয়।

৯। পাকিস্তান এবং তুরস্কের অভিজ্ঞতা থেকে এটা পরিস্কার হয়েছে, গনতান্ত্রিক পদ্ধতীতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টারত দলগুলো এক সময় অধিকার রক্ষার আন্দোলনে পরিনত হয়। কারন গনতন্ত্রের সীমানায় অধিকার রক্ষার দাওয়াত ছাড়া অন্য কিছু প্রচারের সুযোগই নেই। পাকিস্তানের দিকে খেয়াল করুন। নির্বাচনের আগে ও পরে ইসলামি দলগুলো সেই কাজই করে যা অনৈসলামিক দলগুলো করতো। করাচী ও সীমান্তপ্রেদেশের অভিজ্ঞতা থেকে এটা এখন পরিস্কার। ইসলামি দলগুলো এখন অশ্লীলতা প্রচারকারী মিদিয়ার স্বাধীনতা, বেকার দূরিকরণ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি এসব নিয়ে কথা বলতে ব্যস্ত। অন্য দশটা দলের সাথে তাদের কোনো তফাতই নেই। ইসলামের ক্ষমতায়ন এটা শুধু সমাবেশের ফাকা শ্লোগান হয়ে কোনোমতে টিকে আছে এখনো। ইসলামি চিন্তাবিদরাও ভাবছেন পাকিস্তানের মূল সমস্যা এগুলোই।

১০। ক্যাপিটালিজমের বৈধতা দেয়ার সাথে দুটি বিষয় সম্পর্কিত। অর্থাৎ এ সম্পর্কে দুধরনের চিন্তা দেখা যায়।

ক। capitalism is rational. লিবারেল চিন্তাবিদদের মতে, মানুষকে যখনই স্বাধীনতা দেয়া হবে তখনই তারা ক্যাপিটাল সোসাইটি গড়ে তুলবে।

খ। capitalism is historical. এটি অনিবার্য। একে এড়ানোর সুযোগ নেই।

আমাদের কাছে এটি রেশিউনালও  নয়, হিস্ট্রিক্যালও নয়। বরং এটা হল evil.

১১। পশ্চিমা হিউম্যান বিং এর মূল বিশ্বাস হচ্ছে স্বাধীনতা অর্জন অর্থাৎ নিজের রবের সাথে বিদ্রোহ। একইসাথে ক্রোধ, প্রবৃত্তি ইত্যাদির বৃদ্ধি। পশ্চিমা চিন্তাবিদরা এসবকে জীবনের স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই দেখেন। এবং এগুলোকে তারা বড় কোন অপরাধ মনে করতেও রাজি নন। জার্মান দার্শনিক হাইডিগর বলেছেন, we are thrown into the universe।

১২। হাদিসে এসেছে মানুষ যখন গুনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে যায়।

১৩। rawls এর মতামত দেখা যাক।

ক। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে তিনি লিখিত তার বই theory of justice এ লিখেছেন, হিউম্যান রাইটস একটি চিরন্তন

খ। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে তার বই পলিটিক্যাল লিবারেলিজম এ লিবারেল ফ্রেম ওয়ার্ক এর এমন একটি রেস্ট্রিকটেড ভার্সন উপস্থাপন করেছেন, যা আমেরিকার ইতিহাসের সাথে সামঞ্জস্য রাখে।

১৪। দেখুন মিশেল ফুকোর  প্রবন্ধ what is enlightenment ?

১৫। জেফারসন বলেছেন,

We hold these truths to be self-evident, that all men are created equal that they are endowed by their creator with inherent and inalienable rights. That among these are life liberty and the pursuit of happiness, (declaration of independence papers 1/315, emphasis added)

১৬। পশ্চিমা প্রেমীরা সকল পরিভাষার শুরুতে ইসলামি শব্দ যোগ করে একে ইসলামি রুপ দেয়ার চেষ্টা করে। তারা পশ্চিমা চিন্তা দ্বারা কতটা প্রভাবিত তা এ থেকেই বুঝা যায়। রেনেসার প্রভাবে পশ্চিমা চিন্তাবিদরা খ্রিস্টধর্মের দর্শনকে পরাজিত করেছে এবং তাদের কোনো পরিভাষাকে ধর্মীয় রুপ দেয়নি। অপরদিকে সাম্রাজ্যবাদ ইসলামি খিলাফতকে ধবংস করেছে, এরপর সাধারণ মুসলমানদের মাঝে নিজের অবস্থান মজবুত করার জন্য ‘গনতান্ত্রিক খেলাফত’ বা ‘পশ্চিমা খেলাফত’ এ ধরনের কোনো শব্দ ব্যবহার করেনি। বরং সর্বত্র নিজেদের তাহযিব তামাদ্দুন থেকে শব্দ চয়ন করে গনতন্ত্রের সাথে তাকে জুড়ে দিয়েছে। আমাদের চিন্তাবিদদের কি এটুকু সাহসও ছিল না যে তারা পশ্চিমা এসব শব্দ পরিহার করে নিরেট ইসলামি দর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত কোনো শব্দ চয়ন করবেন। নব্য মুতাযিলিরা  দ্বীনকে নতুন করে বিনির্মানের খুব আগ্রহ রাখে। তারা পশ্চিমা চিন্তা দ্বারা এতটাই প্রভাবিত যে সর্বত্র তারা ইসলামি পরিভাষা ফিকহের পরিবর্তে আইন, কানুন এই শব্দগুলি ব্যবহার করে।

 

Facebook Comments

Previous Post

যাঁরা তৈরী করলেন হিজরতের জমি — দ্বিতিয় পর্ব ।মুসা আল হাফিজ

Next Post

ফিকহুল হিজরাহ : হিজরতের কয়েকটি শিক্ষা। ইফতেখার জামিল

সাবের চৌধুরী

সাবের চৌধুরী

Related Posts

তত্ত্ব ও পর্যালোচনা

তাসাউফ সম্পর্কে অপপ্রচার ও ভ্রান্তি : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা ।। মাওলানা আনাস চৌধুরী

December 16, 2022
জাতীয়তাবাদ: জাহিলিয়্যাতের নতুন রূপ || আব্দুল্লাহ বিন বশির
আকীদা

জাতীয়তাবাদ: জাহিলিয়্যাতের নতুন রূপ || আব্দুল্লাহ বিন বশির

April 22, 2022
Next Post
ফিকহুল হিজরাহ : হিজরতের কয়েকটি শিক্ষা। ইফতেখার জামিল

ফিকহুল হিজরাহ : হিজরতের কয়েকটি শিক্ষা। ইফতেখার জামিল

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

No Result
View All Result

Recent.

তাসাউফ সম্পর্কে অপপ্রচার ও ভ্রান্তি : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা ।। মাওলানা আনাস চৌধুরী

December 16, 2022
এই পৃথিবী একবার পায় তারে। সাবের চৌধুরী।

এই পৃথিবী একবার পায় তারে। সাবের চৌধুরী।

November 28, 2022

গামেদি চিন্তার মৌলিক ভ্রান্তি | শেষ পর্ব | মূল: মাওলানা ইয়াহয়া নোমানি | তরজমা: হুজাইফা মাহমুদ

November 16, 2022

গামেদি চিন্তার মৌলিক ভ্রান্তি—প্রথম পর্ব | মূল: মাওলানা ইয়াহয়া নোমানি | ভাষান্তর: হুজাইফা মাহমুদ

November 12, 2022
বাংলাদেশে ইসলামি নারীবাদের সাতকাহন | হুজাইফা মাহমুদ

বাংলাদেশে ইসলামি নারীবাদের সাতকাহন | হুজাইফা মাহমুদ

October 29, 2022

  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

No Result
View All Result
  • মূল পাতা
  • কুরআন
  • হাদীস
  • আকীদা
  • ফিকহ
  • ইবাদাত
  • সীরাত
  • তত্ত্ব ও পর্যালোচনা
  • চিন্তা ও মতবাদ
  • দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি
  • বিশ্ব
  • বিজ্ঞান ও আধুনিকতা
  • অন্যান্য
    • নারী, শিশু, পরিবার
    • সুন্নত ও বিদআত
    • জিহাদ
    • রাজনীতি
    • আইন ও সংবিধান
    • শিক্ষা
    • প্রাচ্যবাদ
    • ইতিহাস
    • বিয়ে ও দাম্পত্য
    • ব্যক্তিত্ব ও সাক্ষাৎকার
    • শিল্প-সাহিত্য
    • গ্রন্থ-আলোচনা
    • আরবি ব্যাকরণ
    • উর্দু ব্যাকরণ
    • বিবিধ
    • পিডিএফ
    • নির্বাচিত লেখক-পরিচিতি
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক ও সাইটসমূহ

© 2020 রিওয়ায়াহ - Developed by Tijarah IT Limited.