রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের জীবনে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। (সুরা আহযাব :আয়াত ২১)
নবীজী তো ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তিত্ব, যার জীবনের প্রতিটি দিক শুধু মুসলিম উম্মাহর জন্য নয়, পৃথিবীর সকল স্থান ও কালের মানুষের জন্য বিকল্পহীন জীবন-নির্দেশনা। মহান আল্লাহ তাআলা যাকে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ দুটো সুন্দর শব্দ দিয়ে ব্যক্ত করেছেন—উসওয়াতুন হাসানাহ বা অনুপম আদর্শ। সুনির্দিষ্টভাবে সামান্য কয়েকটি বিষয় আছে মাত্র, যেগুলো নবী হিসেবে কেবল তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যেমন চারের অধিক বিবাহ ইত্যাদি।
একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যুদ্ধ ও রাজনৈতিক বিষয়াবলীতে যেমন তিনি পৃথিবীর পথের দিশারী, তেমনি একজন আদর্শ স্বামী, শ্রেষ্ঠ পিতা, উত্তম সঙ্গী ও ভালো বন্ধু হওয়ার ক্ষেত্রেও স্থাপন করেছেন উসওয়াতুন হাসানার অনন্য নজীর! বিষয়টি বুঝা যায় এ সম্পর্কে তার মুখনিঃসৃত বাণী ও তার জীবনী সম্পর্কিত হাদীসগুলো থেকে।
.
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের জীবনের অন্যান্য দিকের মতো ব্যক্তিগত জীবনও ছিল ন্যায় ইনসাফ ভালোবাসা কোমলতায় ভরপুর। নবীজী মানবিক প্রয়োজনে শুধু স্ত্রীগণ কেন, তারা ছাড়াও যে নারীই এসেছেন তার কন্যা, মাতা, ভক্ত, আত্মীয়া হিসেবে, সবার সাথে তাঁর আচরণ ছিল হৃদ্যতা ও আন্তরিকতাপূর্ণ। মা বেঁচে থাকতে তিনি ছিলেন মায়ের চক্ষুশীতলকারী সন্তান। দুধমাতা হালিমার জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক ও প্রশান্তি আনয়নকারী, স্ত্রীদের জন্য প্রেম ও কল্যাণের মূর্ত প্রতীক। নবীজী দুধমাতা হালিমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। তার পরিণত বয়েসে হালিমা রা. যখন তার কাছে এলেন, পরম শ্রদ্ধাভরে নিজের গায়ের চাদর বিছিয়ে দিলেন তাঁর পদতলে।
.
নবীজীর জীবনী পড়ে আমরা জানতে পারি— তিনি তার স্ত্রীদের সাথে ছিলেন উত্তম বন্ধুর মতো, শীতল ছায়া দান কারী, মধুর মতো সুমিষ্ট সঙ্গদাতা। স্ত্রী হয়ে তার জীবনে সর্বপ্রথম আগমন করেন খাদিজা রা.। নবীজীর জীবনের সবচেয়ে অসহায় দিনগুলোতে তিনি তাঁর পাশে ছিলেন। তাই খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার জন্য নবীজীর ভালোবাসাও ছিল অন্যরকম গভীর। খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার মৃত্যুর পর তিনি আবেগাকুল হয়ে তার স্মৃতিচারণ করতেন। অপর স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে ছিল তার বয়েসের বিরাট পার্থক্য। দুজনের একজন কেবলই কিশোরী, অপরজন পঞ্চাশোর্ধ এক নারী। তা সত্তেও হাদীসে বর্ণিত তাদের দাম্পত্য কাহিনি থেকে জানি দুজনের জীবনই সুখ ও আনন্দে ভরপুর ছিল। কিশোরী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে নবীজীর সম্পর্ক ছিল একজন সমবয়সী বন্ধুর মতো। কিশোরী স্ত্রীর মান-অভিমান, খুনসুটি সবকিছুতে তিনি সহাস্যে সঙ্গ দিতেন, উপভোগ করতেন। শুধু আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা না বাকিসব উম্মাহাতুল মুমিনীনের সাথেও ছিল তার মধুর সম্পর্ক। রোজ একবার করে প্রত্যেক স্ত্রীর সাথে দেখা করতেন।
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন—রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাজ শেষে তার জায়গায় বসে থাকতেন এবং সূর্য উঠা পর্যন্ত লোকেরা তাকে ঘিরে থাকতো। তারপর (সূর্য উঠলে) তিনি তার স্ত্রীদের কাছে গিয়ে একে একে সবাইকে সালাম করতেন। তাদের জন্য দুয়া করতেন। তারপর তিনি সেদিন যে স্ত্রীর ঘরে থাকার পালা থাকতো তার ঘরে গিয়ে অবস্থান করতেন। (আল-মুজাম আল-আওসাত -৫২১৬ তাবারানী।)
নবীজীর বর্ণাঢ্য জীবন ছিল ব্যস্ততায় ভরপুর। ইসলামের দাওয়াত, জিহাদ ইত্যাদি কাজে কাটতো তার রাতদিন। এ সকল ব্যস্ততার ফাঁকেও তিনি স্ত্রীদেরকে সময় দিতেন, তাদের সাথে গল্প করতেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাঁর জীবনাচারের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম (ফজরের দুই রাকাত সুন্নত) সালাত পড়তেন। এরপর আমি জেগে থাকলে আমার সাথে কথা বলতেন। না হয় জামাআতের সময় হওয়া পর্যন্ত শুয়ে থাকতেন। (বুখারী -১১৬১)
একবার নবীজি বললেন : আয়েশা, তুমি কখন আমার উপর খুশি থাকো, আর কখন মন খারাপ করে থাকো, আমি ভালোভাবেই বুঝতে পারি। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন—কীভাবে বুঝেন! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বললেন—যখন তুমি খুশি থাকো, তখন শপথের সময় বলো—মুহাম্মাদের রবের কসম; আর, যখন মন খারাপ করে থাকো, তখন বলো— ইবরাহীমের রবের কসম। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হেসে বললেন—হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। কিন্তু হে রাসুল! এ তো শুধু মুখেই বলি, অন্যথায় অন্তর তো সবসময়ই আমার প্রিয়তমের নামই জপতে থাকে। (বুখারী -৫২২৮)
কী অবাক করা ব্যাপার! নবুওয়াতি কাজে সীমাহীন ব্যস্ত জীবনের ভেতর থেকেও প্রিয়তমা স্ত্রীরে এইসব ছোটখাট বিষয়ও নজর এড়াতো না।
.
আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ থেকে বর্ণিত, একবার আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলো—রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বাড়ির ভেতর কী কী কাজ করতেন? তিনি জবাব দিলেন : নবীজী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম স্ত্রীদের কাজে সাহায্য করতেন এবং নামাজের সময় হলে উঠে চলে যেতেন। (বুখারী -৬৭৬)
অন্য এক বর্ণনায় আছে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তো একজন মানুষই ছিলেন; যিনি নিজেই নিজের কাপড় সেলাই করতেন, মেষের দুধ দোহন করতেন এবং পুরুষরা ঘরে সাধারণত যেসব কাজ করে, তার সবই করতেন। (তিরমিযী -১১৩)
আরেক বর্ণনায় আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম নিজের জামা নিজে ধৌত করতেন, নিজের জুতা নিজে সেলাই করতেন এবং সাধারণত পুরুষরা ঘরে যেসব কাজ করে, সেগুলো করতেন। (মুসনাদে আহমদ -২৪৩৮২)
সুরাই ইবনে হানী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞেস করলেন, ঘরে ফিরে নবীজী প্রথম কোন কাজ করতেন? তিনি উত্তরে বললেন, মিসওয়াক দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতেন। (মুসলিম -২৫৩)
সুয়ূতী রাহ.বলেন—তার এরকম অভ্যাসের পেছনে কারণ ছিল সারাদিন বাইরে কথা বলে তার মুখের গন্ধ বদলে যেতো। স্ত্রীদের সাথে সুন্দরতম ব্যবহারে নবীজী এতটাই যত্নবান ছিলেন যে, সামান্যতম দুর্গন্ধ না থাকার বিষয়টিও তিনি খেয়াল করতেন। (হাশিয়াহ আস সুয়ূতী -১০/১)
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আছে নিজের শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হোক, তা নবীজী পছন্দ করতেন না(বুখারী -৬৯৭২)। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে নিজের শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম মনঃক্ষুণ্ণ হতেন। (আল মুজাম আল আওসাতে -৮৭৬৪ আত তাবারানী)।
.
স্ত্রীদের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি তাদের তরবিয়াতের প্রতিও তার ছিল সজাগ দৃষ্টি। তাদেরকে তারবিয়াতের মাধ্যমে উম্মাহর শ্রেষ্ঠ রমণী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ইবাদত, দুআ, দান করা, যুহদ, তাক্বওয়া, সহনশীলতা, আকীদা, গাইরাহ বা আত্মমর্যাদাবোধ—এইসব বিষয়ে নবীজী তাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন পূর্ণাঙ্গভাবে। ফলে তারা গড়ে উঠেছিলেন এমন উম্মাহাতুল মুমিনীন হিসাবে যারা অনুসরণীয় হয়ে রয়েছেন শতাব্দীর পর শতাব্দী, এবং থাকবেন কেয়ামত পর্যন্ত।
.
একজন স্বামী হিসেবে নবীজী যেমন ছিলেন শ্রেষ্ঠ। পিতা হিসাবেও ছিলেন শ্রেষ্ঠতম পিতা। পরিবার, আত্মীয়দের সাথে ব্যবহারে নবীজী ছিলেন মানুষের মাঝে সর্বোত্তম। সন্তানদের প্রতি তিনি ছিলেন যত্নবান। ইসলামী নীতির আলোকে তাদের তরবিয়াত বা দীক্ষা দিয়েছেন। নবীজীর সন্তান ছিলেন সাতজন। তিনজন ছেলে ও চারজন মেয়ে। ছেলেগণ হলেন—কাসিম, আব্দুল্লাহ, ইবরাহিম। তিনজনই শৈশবকালে ইন্তেকাল করেছেন। চার মেয়ে—যাইনাব, রুকাইয়া, ফাতিমা, উম্মে কুলসুম।
কন্যাদেরকে নবীজী অনেক ভালোবাসতেন। তাদের জন্য আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করতেন। তাদের সুন্দর নাম রেখেছেন। সর্বোত্তম মানুষের কাছে বিয়ে দিয়েছেন। যুহদ ও তাকওয়া শিক্ষা দিয়েছেন। উত্তম দীক্ষার মাধ্যমে তাদের বড় করেছেন। তাদের সুখ অসুখের ব্যাপারে ছিল নবীজীর সজাগ দৃষ্টি। কন্যাদের অত্যাধিক স্নেহ করতেন তিনি। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত এক হাদীসে আছে, ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা যখন নবীজীর কাছে আসতেন নবীজী দাঁড়িয়ে তাকে চুমো দিতেন, এবং তার জায়গায় তাকে বসতে দিতেন। (ফাতহুল বারী – ৫৮৮/১০)
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আরেক হাদীসে আছে ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা একদিন নবীজীর মতো করে হেঁটে আসছিলেন। তাকে দেখে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বললেন—স্বাগতম হে আমার মেয়ে। তারপর তিনি তাকে তার ডানে বা বামে বসতে দিলেন। (আবু দাউদ – ৫২১৭)। এভাবেই নবীজী তার কন্যাদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতেন।
.
স্নেহ, মমতার পাশাপাশি কন্যাদের শিখিয়েছেন কীভাবে দুনিয়ার চাকচিক্যকে তুচ্ছ করতে শিখতে হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একদিন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘরে প্রবেশ করতে গিয়েও ফিরে আসলেন। আলী রা. ঘরে এলে ফাতিমা রা. ব্যাপারটা তাকে জানালেন। এরপর আলী রা. এ ব্যাপারে নবীজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন— আমি তার দরজায় নকশা করা পর্দা ঝুলতে দেখেছি। দুনিয়ার এইসব চাকচিক্যের সাথে আমার কীসের সম্পর্ক? আলী রা. ফাতিমা রা. এর কাছে এসে সব বললেন। ফাতিমা রা. বললেন, তিনি যেন আমাকে এ সম্পর্কে তার ইচ্ছেমত নির্দেশ দেন। আমি সে মুতাবেকই চলব। নবীজী বললেন, অমুক পরিবারের অমুকের কাছে এটি পাঠিয়ে দাও। তাদের প্রয়োজন আছে (বুখারী -২৬১৩)।
ইবনে হাজার রাহ. থেকে বর্নিত, মুহাল্লাব ও অন্যরা বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম নিজের ব্যাপারে যা অপছন্দ করতেন, কন্যাদের জন্যও তা অপছন্দ করতেন। কন্যাদের শিখিয়েছেন কিভাবে দুনিয়াকে পরিত্যাগ করে দুনিয়া ও আখিরাতে সর্বোত্তম হতে হয়। আলী রা. থেকে বর্ণিত, ফাতিমা রা. যাঁতা চালানোর কষ্ট সম্পর্কে একবার অভিযোগ প্রকাশ করলেন। এ সময় নবীজীর কাছে কিছু যুদ্ধবন্দী এলো। ফাতিমা রা. নবীজীর কাছে গেলেন, কিন্তু তাকে পেলেন না। ফলে আয়েশা রা.কে তার প্রয়োজনের কথা বলে এলেন। নবীজী ঘরে ফিরলে আয়েশা রা. তাকে জানালেন। তখন নবীজী তাদের ঘরে গেলেন। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন—আমরা তখন বিছানায় শুয়ে ছিলাম। তাকে দেখে উঠে বসতে চাইলে তিনি বললেন, তোমরা যেভাবে আছো সেভাবেই থাকো। তারপর তিনি আমাদের মাঝে এমনভাবে বসলেন যে আমি তার দুই পায়ের শীতলতা আমার বুকে অনুভব করলাম। তিনি বললেন, তোমরা যা চেয়েছিলে আমি কী তার চেয়ে উত্তম জিনিস শিক্ষা দিবো না? তোমরা যখন ঘুমানোর উদ্দেশ্যে বিছানায় যাবে তখন চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবার, তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদুলিল্লাহ পড়ে নেবে। এটি কাজের লোক বা খাদেমের চেয়ে অনেক উত্তম। (বুখারী -৩৭০৫)
.
এভাবেই নবীজী তার জায়া, আত্মজাদের গড়ে তুলেছেন স্নেহপূর্ণ শিক্ষার মাধ্যমে। অপার মমতায় দিয়েছেন জীবনের নানান পাঠ। তিনি তাদের ভালোবাসতেন ঠিকই, কিন্তু তার ভালোবাসা যেন সন্তান ও তার নিজের জন্য ক্ষতিকর না হয়ে দাঁড়ায়, সে ব্যাপারে ছিলেন পূর্ণ সজাগ। তাই ভালোবাসার সাথে ইনসাফ ও তাক্বওয়ার পারদ ছিল সমানুপাতিক হারে। তিনি তো নবী! ফলে, এসব ক্ষেত্রে তাঁর তো কোন ভুল হবার কথাই না।
এভাবে আমরা যদি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তার ব্যক্তিজীবনটি পাঠ করি, দেখব পরিবার পরিজন, আত্মীয়দের সাথে তার আচরণ ছিল মমতা ও ভালোবাসার চাক থেকে চুইয়ে পড়া মধুর মতো। কল্যাণকামীতার ঝর্ণাধারার মতো। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ধাপে নবীজী ছিলেন মহান প্রভুর সেই বাণীর জীবন্ত জলছাপ—নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী। সুরা কালাম : ৪
- সুমাইয়া মারজান। আলেমা, প্রাবন্ধিক।
হবিগঞ্জ, সিলেট।