সৃষ্টির ভেতরে মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে আসীন হয়েও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনযাপন ছিল নিতান্তই সাদাসিধা। তিনি ছিলেন কুরআনের জীবন্ত ছবি। কুরআনের বিধান ও নির্দেশনাগুলো তিনি তার জীবনে বাস্তবায়ন করে আমাদের জন্য উদাহরণ রেখে গিয়েছেন। এজন্যেই তিনি সর্বোত্তম আদর্শ (উসওয়ায়ে হাসানা)। সাইদ নুরসি রহ. বলেন, ‘নবীজি হলেন আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। রবের সাথে সবের সম্পর্ক সৃষ্টির জন্যই তিনি প্রেরিত হন। যাবতীয় উত্তম গুণাবলির পূর্ণতা বিধানই ছিল তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন বিনয় ও মানবতার প্রতিরূপ’। (১)
নবীজির অতি সাধারণ জীবনযাপন
তাঁর বিনয়-নম্রতা এবং যাবতীয় উত্তম গুণাবলি তাঁকে ‘খুলুকে আজিমে’ (মহান চরিত্র) আসীন করলেও তিনি নিজেকে আল্লাহর একজন সাধারণ গোলাম হিসাবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন। তিনি বলতেন, ‘কেউই নিজের কৃত কাজের বদৌলতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না’। ‘এই বক্তব্য তাঁর বেলায়ও প্রযোজ্য কি না’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমিও পারব না; তবে আল্লাহ তাআলা আমাকে তাঁর ক্ষমা ও রহমতে ঢেকে রাখবেন।’(২) কালেমায়ে শাহাদাতেও আমরা দেখি বান্দা হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে—‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ‘বান্দা’ ও রাসুল।’(৩) একই সাথে বান্দা ও রাসূল—এই দুটো দিক তাঁর জীবনে অসাধারণ ও গভীর এক দ্যোতনা তৈরী করেছিল।
নবীজির মহান গুণাবলির মধ্যে অন্যতম ছিলো অনাড়ম্বর জীবনযাপন। পূর্বাপরের সকল পাপ ক্ষমার ঘোষণা সত্ত্বেও তিনি প্রতিনিয়ত ইবাদাত-বন্দেগি ও সারল্যের নতুন নতুন মাত্রায় উন্নীত হতেন।
একবার জিবরাইল আলাইহিস সালামের সামনে নবীজি লাগাতার কয়েক দিন অনাহারে থাকার কথা উল্লেখ করলে সাথে সাথে আরেকজন ফেরেশতা এসে বললেন, ‘আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং জানতে চেয়েছেন আপনি কি বাদশাহ-নবি হতে চান? না বান্দা-নবি? মানবতার মুক্তির দূত, তুলনারহিত সারল্যের প্রতীক নবীজি বললেন, ‘আমি বান্দা-নবি হতে চাই।’ (৪)
আল্লাহ তাআলা অনেক আয়াতে নবীজির দাসত্বের ও গোলামির প্রশংসা করেছেন। যেমন বলেছেন : ‘আল্লাহর বান্দা যখন তাকে ডাকার জন্য নামাজে দাঁড়ালো, তখন তারা (জিনেরা) যেনো তার কাছে (নামাজ দেখার জন্য) হুমড়ি খেয়ে পড়লো’(৫)। ‘আমি আমার বান্দার ওপর যা নাজিল করেছি, সে সম্বন্ধে যদি তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে তার মতো একটি সুরা রচনা করে দেখাও, এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সাহায্যকারীদের ডাকো, যদি তোমরা আন্তরিক হও।’(৬)
হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা এবং আবু তালিবের মৃত্যুর পর নবীজি বুঝতে পারলেন, মক্কায় আর দীর্ঘ সময় অবস্থান করা তার জন্য নিরাপদ ও ফলপ্রসূ হবে না। এজন্য অবস্থা খুব বেশি নাজুক হবার আগেই নবীজি তায়েফ গমনে মনস্থির করেন। কিন্তু তায়েফবাসী কল্পনাতীতভাবে নবীজির বিরুদ্ধাচরণ করলে তিনি অনুধাবন করেন, একমাত্র আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কোনো সাহায্যকারী নেই। তিনিই একমাত্র রক্ষক এবং সর্বোত্তম তত্ত্বাবধায়ক।
এসব কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পর আল্লাহ তাআলা মি’রাজের মাধ্যমে নবীজিকে যথাবিহিত সম্মানিত করেন এবং সেখানেও নবীজির গোলাম হওয়ার প্রশংসা করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘পবিত্রতা ও মহিমা সেই মহান সত্তার, যিনি তার বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত – যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি – তাকে আমার নির্দেশনাসমূহ দেখানোর জন্য। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শুনেন এবং সবকিছু দেখেন। (৭)
বিনয় ও নম্রতার মধ্য দিয়েই নবীজির আবদ তথা গোলাম হওয়াটি সবচে প্রবলভাবে প্রকাশিত হতো। তিনি বলেন, ‘যে বিনয়াবনত, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন। আর যে উদ্ধত, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।’ (৮)
সাহাবায়ে কেরামের সাথে নবীজি
মজলিসে বসার জন্য নবীজির আলাদা কোনো আসন ছিল না। মজলিসের একজন সাধারণ সদস্যের মতোই বসতেন। সহসা কেউ আসলে নবীজিকে সবার থেকে আলাদা করতে পারতো না। একদা এক নবীন আগন্তুক নবীজিকে মজলিসে খুঁজে না পেয়ে প্রশ্ন করে, ‘তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ কে? অথচ নবীজি তখন সবার সামনেই হেলান দিয়ে বসা ছিলেন (৯)। আরেকবার নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন এক সাহাবির সেবায় মশগুল ছিলেন। এমন সময় এক বেদুইন এসে জিগ্যেস করল ‘এই গোত্রের নেতা কে’? নবীজি তখন নিজেকে উস্থাপনের মধ্য দিয়ে ইসলামি নেতৃত্বের মূলকথা ও জনতার শাসকের মূলমন্ত্র প্রকাশ পায় এমন একটি বাক্য দিয়ে উত্তর দেন। তিনি বলেন, ‘জাতির সেবকই তাদের নেতা’। (১০) হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘জনতার মাঝে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনভাবে চলাফেরা করতেন, যেন তিনি তাদেরই একজন’।
নবীজি সবার সাথে খুবই সহজভাবে মিশতেন। এক আগন্তুক নবীজির সাথে আলাপকালে ভয় পেলে তিনি তাকে অভয় দিয়ে বললেন,‘ভয় পেয়ো না, আমি কোনো বাদশাহ নই; আমিও তোমার মতোই একজন মানুষ, যার মা শুকনো গোশত খেয়ে জীবন ধারণ করতেন’। (১১)
নবীজি তার সম্মানে দাঁড়ানো পছন্দ করতেন না। তিনি বলেন, ‘তোমরা অনারবদের মতো দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করো না।’ (১২) নবীজি আরও বলেন, ‘যে নিজের সম্মানে মানুষের দাঁড়ানো পছন্দ করে, তার ঠিকানা জাহান্নাম।’ (১৩)
হিজরতকালে নবীজি ও আবু বাকার রাদিয়াল্লাহু আনহু কুবায় পৌঁছালে, মদিনার অনেকে – যারা নবীজিকে আগে দেখেননি – বাহ্যিকভাবে আবু বাকার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বয়ষ্ক দেখে তাকে সালাম দেয়া শরু করে। পরে নবীজির চেহারা মোবারকের ওপরে রোদ এসে পড়লে আবু বাকার রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজের চাদর দিয়ে তাঁকে ছায়া দেন। তখন মদিনাবাসী নবীজিকে চিনতে পারে। (১৪) মদিনায় মসজিদে নববির নির্মাণের সময় সাহাবায়ে কেরামের সাথে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ইট বহন করেন। (১৫) মদিনার প্রতিরক্ষায় ড্রেন (খন্দক) বানানোর সময় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম ক্ষুধার যাতনা নিবারণের জন্য প্রত্যেকে পেটে পাথর বাঁধেন। (১৬)
সাহাবায়ে কেরাম কোনো কাজ শুরু করার আগে নবীজির অনুমতি ও পরামর্শ চাইতেন। একবার ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ওমরার জন্য অনুমতি চাইলে তিনি সম্মতি দেন এবং ওমরায় তাঁর জন্যেও দুআ করতে বলেন! হজরত ওমর এতে এতটাই আনন্দিত হন যে, তিনি বলেন, ‘ওইদিন আমি যে পরিমাণ খুশি হয়েছিলাম, পুরো পৃথিবী পেয়ে গেলেও আমি এত খুশি হব না।’ মোটকথা সাহাবায়ে কেরামের সুখ-দুঃখের সমান অংশীদার ছিলেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ছোটো বেলায় পড়া বুলবুল সরওয়ারের ‘কাজই মহান’ কবিতাটি নিশ্চয়ই মনে আছে!
সাহাবারা একদিন নবীজির সাথে
মরু পাড়ি দিচ্ছিল মক্কার পথে ;
পথে হলো মাঝবেলা খেতে হবে বলে
কাফেলাটা থেমে গেল তরুছায়া তলে।
কেউ গড়ে রুটি কেউ বয়ে আনে পানি
নবীজি শুধান, ‘আমি কাঠ কেটে আনি?’
সাহাবারা হতবাক, সে কি করে হয়?
কাজ করা রাসুলের জরুরি তো নয়!
নবি ক’ন, ‘তবু আমি তোমাদেরই ভাই
তোমাদের সাথে কিছু কাজ করা চাই
কাজে নেই সংকোচ, নেই অপমান’
রাসুলের কাছে ছিল কাজই মহান।
অসহায় ও দরিদ্রের সাথে নবীজি
নবীজির দরবারে আশরাফ-আতরাফের কোনো ভেদা-ভেদ ছিল না; বরং এসকল বৈষম্য দূর করার জন্যই তো তিনি আগমন করেছেন। তিনি বলেন,‘আমি সর্বোত্তম চারিত্রিক পূর্ণতা বিধানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।’ (১৭) হজরত সাহল বিন হানিফ বলেন, ‘নবীজি গরিব-দুখীদের খোঁজ-খবর নিতেন, তাদের দেখভাল করতেন। অসুস্থ হলে দেখেতে যেতেন, জানাজায় অংশগ্রহণ করতেন।’ (১৮) হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘মদিনার এক কৃতদাসী নবীজির হাত ধরে যেখানে খুশি নিয়ে যাইতে পারতো। আর নবীজিও তার সাথে চলে যেতেন।’ (১৯) নবীজি কখনও নিজেকে অন্যের চেয়ে মহান মনে করতেন না। তাঁর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বই তাঁকে অন্য সবার মাঝে আলাদা করে রাখতো।
নবীজি একদমই সাদাসিধা জামাকাপড় পরতেন, গরিব ক্রীতদাসদের সাথে বসে খাবার খেতেন। নবীজি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি গোলামদের মতো বসি, গোলামদের মতো করে খাই। কারণ, আমি তো আল্লাহর গোলাম!’ (২০) আবু সাইদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘নবীজি এই দুআ করতেন, হে আল্লাহ, মিসকিনদের মধ্যে যেন আমার জীবন যাপিত হয়, তাদের মধ্যেই যেন আমার মরণ হয় এবং আমার হাশরও যেন হয় তাদের সাথে। (২১)
পরিবারে নবীজি
নবীজি ঘরের কাজেও উম্মাহাতুল মুমিনিনদের সাহায্য করতেন । তিনি বলেন, ‘যে তার পরিবারের কাছে উত্তম; সে-ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে সর্বোত্তম।’ (২২) হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে পরিবারে নবীজির আমল সম্পর্কে জিগ্যেস করা হলে তিনি বলেন, ‘নবীজি তার কাপড়ে তালি এবং জুতা সেলাইয়ের কাজ নিজেই করতেন। তিনি স্ত্রীদের কাজেও সাহায্য করতেন।’(২৩)
ছোটদের নবীজি
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছোটদের আগে সালাম দিতেন। (২৪) আনসারদের দেখতে গেলে তাদের শিশুদেরও নবীজি আগে সালাম দিতেন। (২৫) (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৪৫৯) শুধু তাই নয়; নবীজি ছোটদের সাথে রসিকতাও করতেন। হজরত আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘নবীজি আমাদের সাথে খুবই সহজ হয়ে মিশতেন। তিনি প্রায়ই আমার ভাই উমায়েরকে জিগ্যেস করতেন, ‘উমায়ের, তোমার নুগায়েরের (ছোট পাখিটার) খবর কী? (২৬)
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু নবীজির সার্বিক গুণ বর্ণনায় বলেন, ‘নবীজি বদান্যতায় সবচেয়ে মুক্তহস্ত, হৃদয়গতভাবে সবচেয়ে উদার, বাক্যালাপে সবচেয়ে সত্যবাদী, স্বভাবগতভাবে সবচেয়ে কোমল এবং সাথি হিসেবে ছিলেন সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত। তাঁকে সহসা দেখলে সকলেই প্রভাবিত হয়ে পড়তো; তবে তার সাথে সময় যাপন করলে একান্তই বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে যেতো। তার গুণ বর্ণনাকারীকে বলতেই হতো, ‘আগে বা পরে আর কাউকে দেখেনি তার মতো’।(২৭) মোটকথা, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন, হজরত হাসসান বিন সাবিতের কবিতার মতোই সুন্দর। তিনি বলেন,
সুন্দর যত তোমার মতো কাউকে দেখিনি চক্ষে,
এত অনুপম, দেয়নি জনম কোনো মাতা কোনো লোক কে।
সৃজিলেন স্রষ্টা তোমায় মুক্ত করে সব দোষ থেকে
যেন রব তা-ই দিল সব, যা চেয়েছো নিজ থেকে।
তথ্যসূত্র:
১. বদিউজ্জামান সাইদ নুরসি, চিঠি:২/৩১৫
২. সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৬৪৬৩
৩. সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ১১০৫
৪. হিলয়াতুল আওলিয়া,৩/২৯৪
৫. সুরা জিন, আয়াত: ১৯
৬. সুরা বাকারা, আয়াত: ২৩
৭. সুরা ইসরা, আয়াত:০১
৮. হিলয়াতুল আওলিয়া, ৪/১৪৫
৯. সহিহ বুখারি,হাদিস নং ৬৩
১০. কাসতালানি, হাদিস নং ৮২৩
১১. সুনানে ইবনে মাজা, হাদিস নং ৩৩১২
১২. সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং, ৫২৩০
১৩. সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং, ৫২২৯
১৪. সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৩৯০৬
১৫. মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, ২/১২
১৬. সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৪১০১
১৭. লাতায়িফুল মায়ারিফ, ৩০৫
১৮. বাইহাকি, হাদিস নং, ৯২৪৬
১৯. সহিহ বুখারি, হাদিস নং, ৬০৭২
২০. তাবাকাতে সাদ, ৯০২
২১. ইবনে মাজা, হাদিস নং ৪১২৬
২২. সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ৩৮৯৫
২৩. মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৫৭৫৯
২৪. হিলয়াতুল আওলিয়া, ৮/৩৫৩
২৫. সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৪৫৯
২৬. সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৬১২৯
২৭. সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ৩৬৩৮