আমি জীবনের সেরা কিছু সময় কাটিয়েছি দাওরায়ে হাদীসের বছর, হাদীসের দরসগুলোতে। মনে হয় যেন জীবনপথে চলতে গিয়ে একটা গাছের ছায়ায় বসেছি, আর মৃদু বাতাসের আনন্দে অলক্ষ্যে ঘুমিয়ে পড়েছি। এরপর ক্ষণকালের একটি সুখস্বপ্ন দেখলাম, যেখানে বেহেশতি কোলাহল ছিল। এরপর জেগে উঠেছি৷
অনেক সময় এমন হয়েছে, নিজেকে সামলাতে পারতাম না; হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছে হতো।
ইফকের ঘটনায় নির্দোষ ঘোষণা করে আয়াত নাজিল হওয়ার পর আয়েশা রা. এর আম্মু বলছেন : আয়েশা, নবীজির কাছে যাও! আয়েশা চোখভরা আনন্দ-অশ্রু নিয়ে প্রেমময় অভিমানে উথলে উঠে না করছেন : ‘না, আমি যাব না। আমি আল্লাহ ছাড়া আর কারো প্রসংশাও করব না।’
অথবা, আলী ফাতেমার উপর অভিমান করে মসজিদের মাটিতে বিভোর ঘুমিয়ে আছেন; শরীরে তার লেগে আছে ধুলোবালি, খড়কুটো; আর নবীজি কাছে বসে মোলায়েম স্বরে আদর করে ডাকছেন, আবু তুরাব, মাটির বাপ, এই মাটির বাপ!… এইসব দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারতাম না। জোর করে কান্না চেপে রাখতে গিয়ে মনে হতো চোখ বুঝি ফেটে যাবে৷ অনেকগুলো জায়গা আমার কিতাবে দাগ দিয়ে রেখেছি। সেইসব দাগে লেগে আছে, নবী গো, তোমার প্রতি এক আশেকের ভীরু প্রেম৷ তোমার জন্য আমার বুকে জমে আছে কত কত দীর্ঘ নৈর্ব্যক্তিক আলাপ, যার কোন অর্থ-মর্ম নাই। শুধু টের পাই, কোথাও ঝর বয়ে যায়।
আর, তুমুল বেদনায় কোথাও কাঁপছে কেউ…
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
Valo laglo vai