কথার ব্যাকরণ
একটা বাক্য—বা আস্ত একটা কথা—আমরা মুহূর্তেই বলে ফেলতে পারি। মনে হয়, ইচ্ছে করলাম আর বলে ফেললাম! কিন্তু গভীরভাবে ভাবলে বোঝা যায়, বিষয়টা এতটা সহজ নয়। এটি আসলে এক বিশাল ও জটিল কর্মযজ্ঞ। অনেকগুলো উপাদান একত্র হয়ে তবেই সফল একটি বাক্য গড়ে ওঠে। এখানে শব্দ বেছে নেওয়ার সূক্ষ্মতা আছে, গলার আওয়াজের উত্থান-পতন নিয়ন্ত্রণের ব্যাপার আছে, কথার মর্মের সাথে শরীরের ভাষা ও চোখের চাহনির সামঞ্জস্য তৈরীর মুন্সিয়ানা আছে, আছে উপস্থাপনার কৌশল নির্ধারণ, ঢং ও টোন তৈরী, উদ্দেশ্য ও ফলাফলের চিন্তা মাথায় রেখে কী বলতে যাচ্ছি তা নিয়ে ভাবা এবং এর বাইরেও আরও বহু সূক্ষ্ম বিষয়। আমার উচ্চারিত একটা বাক্য কতটুকু কার্যকরী হবে, একটা কথা কতটুকু সফলতা নিয়ে আসবে, এর সবটাই নির্ভর করে আলোচিত সবগুলো বিষয় আমি কতটুকু সুন্দর সমন্বয়ের সাথে ব্যবহার করলাম তার উপর।
একে আমরা তুলনা করতে পারি তরকারি রান্নার সঙ্গে। একটি তরকারি যেমন শুধু লবণ, পানি, মশলা, সবজি বা মাছ এলোমেলোভাবে মিশিয়ে জ্বাল দিলেই সুস্বাদু হয় না; বরং সবকিছু ব্যবহার করতে হয় পরিমিতভাবে—রুচি, অভিজ্ঞতা ও চিন্তার নিখুঁত সামঞ্জস্যে। ধীরে ধীরে, সংবেদনশীল স্পর্শে ও ধারাবাহিক পরিশীলিত কর্ম ও আয়োজনের ভিতর দিয়ে, তেমনি একটি সফল বাক্যও জন্ম নেয় তখনই, যখন তার প্রতিটি উপাদান ব্যবহৃত হয় যথাযথভাবে, অনুভব ও প্রজ্ঞার পরিমিত মিশ্রণে। এটা একটা শিল্প, সুন্দর একটি শরীরবৃত্তি এবং হৃদয়গত ব্যাকরণের সুনিপন ব্যবহার।
আত্মস্থ করার কৌশল
কেউ ভাবতে পারেন, এতো কিছু মাথায় নিয়ে কি কথা বলা সম্ভব? যে কাজটি দ্রুত করতে হয়, নিরবচ্ছিন্নভাবে করতে হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে করতে হয়, সে কাজের ছোট ছোট বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে গেলে থেমে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। যেমন সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, হাঁটা কিংবা মারামারি করা। কেউ যদি সাইকেল চালাতে গিয়ে চাকাটা কোথায় পড়লো সেদিকে তাকিয়ে থাকে, তার শরীরটা কোন মাপে বসল তা ভাবতে বসে, প্যাডেলে পা’টা কীভাবে ঘুরছে তা বিচার করতে শুরু করে তাহলে সে ক্ষণকাল পরেই নিজেকে পাশের খালে খুব বেকায়দা অবস্থায় আবিস্কার করবে। এমন করে সাঁতার কাটতে গেলেও ডুবে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। সুতরাং, কথা বলতে গিয়েও গলার আওয়াজটা কোন শব্দে কতটুকু চড়লো, কোন শব্দের পর কোন শব্দ বলতে যাচ্ছি, হাতটা কখন কোথায় কতটুকু নড়ছে, চাহনির ধরণটা কেমন হলো—এসব ভাবতে বসলে কথাটা বলব কখন?
আপত্তিটা বাহ্যত যৌক্তিক; কিন্তু গভীর থেকে দেখলে টের পাব এখানে একটু বোঝার ভুল আছে। যে সমস্যাটা দেখানো হয়েছে, এর সমাধানের জন্য এখানে তিন ধাপে কাজ করতে হবে। প্রথমত, কথা সুন্দর করার জন্য আলোচিত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং এসবের সুন্দর একটি সমাধান বের করে উপাদানগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন—এই ধারণাটা কবুল করা। এরপর উপাদানগুলোর সুন্দর ব্যবহার বলতে কী বুঝায় এবং কীভাবে করতে হয় তা ভালোভাবে বুঝা এবং কথা বলার সময় বিষয়গুলো মাথায় রাখা। এই যে সুন্দর একটি জোরালো ইচ্ছা এবং মানসিক, চিন্তাগত ও জ্ঞানগত প্রস্তুতি—এ বিষয়গুলো কথা বলার সময় আমাকে অবশ্যই প্রভাবিত করবে। ফলে আমি না চাইলেও ধারাবাহিক একটা অনুশীলন নিজের অজান্তেই আমার ভাষিক জীবনে ঘটতে থাকবে। ধারাবাহিক আন্তরিক অনুশীলন খুবই শক্তিশালী একটি বিষয়। ফলে এক সময় গিয়ে নিজেও টের পাব না কীভাবে আমার কথা সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেছে।
উপাদান
একটি সফল ও আকর্ষনীয় কথার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে উপাদানগুলো, এর মধ্যে গলার আওয়াজের পরিমাণ অন্যতম। গলার আওয়াজ শুধু কথাকে শ্রোতার কান পর্যন্তই পৌঁছায় না; কথার মর্মকে তৈরী করে, মনোভাবকে প্রকাশ করে, পাশাপাশি আমার কাণ্ডজ্ঞান ও ব্যক্তিত্বের স্তর সম্পর্কেও মানুষকে ধারণা দেয়। ফলে কতটুকু উচ্চ আওয়াজে বা কী পরিমাণ নিম্ন আওয়াজে কথা বলব—এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে একটিমাত্র মূলনীতি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তা হলো প্রয়োজন। ঘরে হোক বা বাইরে হোক, আমি যাকে বলছি, সে যেন স্পষ্টভাবে আমার কথাটি শুনতে পায়। অযথা জোরে কথা বলা মানুষকে কষ্ট দেয়, অসুস্থকে পীড়িত করে, ঘুমন্ত মানুষকে বিরক্ত করে, মজলিসের গাম্ভীর্য নষ্ট করে পরিবেশকে নষ্ট করে।
১. স্পষ্ট আওয়াজে কথা বলা:
আওয়াজের স্পষ্টতা মর্মকে জোরালো করে, শ্রোতাকেও প্রভাবিত করে। কোনো কথা যখন মানুষ স্পষ্টভাবে শুনতে পায়, তখন সে আত্মিকভাবে শান্তি অনুভব করে। স্বাচ্ছন্দবোধ করে। অন্যথায় মানুষ বিরক্ত হয়। কেউ যখন মনোযোগ দিয়ে কারো কথা শুনছে, এর অর্থ হলো সে মূলত নিজের জীবনের ছোট্ট একটা অংশ তার জন্য ব্যয় করছে। পাশাপাশি সে আরো একটা বিষয় দিচ্ছে, তাহলে মনোযোগ। দু্টোই অত্যন্ত দামি জিনিস। এর মধ্যে মনোযোগ দেওয়াটা একটা কষ্টকর কাজও বটে। একজন যখন আমার কথা শোনার জন্য কান পেতে রইলো, তখন সে আর কোনো কাজ করতে পারছে না, কিছু ভাবতেও পারছে না। শারিরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকে সে আমার জন্য বন্দি হয়ে আছে। এ কারণেই কেউ যখন কোনো কথা শোনার পর আমার আওয়াজের অস্পষ্টতার কারণে ভালোভাবে বুঝতে না পারে, তখন সে বিরক্ত হয়। কখনো বিরক্তিটা প্রকাশ করে, কখনো নানা দিক ভেবে স্বাভাবিক থাকে। সুতরাং, বিরক্তিটা মানুষ প্রকাশ করুক বা না করুক, তার এই বন্দিত্বকে মূল্যায়ন করা আমার একান্ত দায়িত্ব।
বিশেষ কিছু ক্ষেত্র আছে, যেখানে অস্পষ্টতার সমস্যাটা দেখা যেতে পারে সবচেয়ে বেশি। যেমন, ছাত্র তার উস্তাযকে কিছু বলতে গেলে অনেক সময় মনের ভাবটা পরিস্কারভাবে না বলে মিন মিন করে করে বুঝাতে চায়। কখনো বাক্যের শুরুর অংশ বলে বাকিটুকু এতো সামান্য আওয়াজে বলে, কিছুই বুঝা যায় না; স্রেফ বাতাসে মিলিয়ে যায়। কোনো কোনো সময় বাকিটুকু বিলকুল বলেই না। উস্তাদ বার বার জিজ্ঞেস করে তারপর পুরোটা উদ্ধার করতে হয়। একই ব্যাপার ঘটতে পারে, পিতা পুত্র, বড় ভাই ছোট ভাই বা মালিক কর্মচারির ক্ষেত্রে।
এমনটি ঘটার পেছনে বক্তার অসতর্কতার পাশাপাশি অনেক সময় মনস্তাত্ত্বিক একটা কারণও ক্রিয়াশীল থাকে। তা হলো ভয়, সংকোচ কিংবা অতিরিক্ত শ্রদ্ধার প্রকাশ। উপযুক্ত জায়গায় প্রয়োজনীয় ভয় বা দরকারি সংকোচ থাকাটা স্বাভাবিক। এটা মানুষের স্বভাব। একে জোর করে বাদ দেওয়া যাবে না, বা বাদ দিতে বলাও সঙ্গত নয়। এমনিভাবে কথা বলার সময় গলার আওয়াজে শ্রদ্ধা প্রকাশ পাওয়াও জরুরি একটি বিষয়। কিন্তু যে বিষয়টি বুঝা দরকার, তা হলো এসব যেন আমার কথা বলার স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত না করে। আমাদেরকে মাঝামাঝি একটা পথ বের করে নিতে হবে, যেখানে আমি সঙ্গত কারণ থাকলে সংকোচিত কিংবা ভীত হব, শ্রদ্ধায় খানিকটা ক্ষীণকণ্ঠ হব কিংবা গলার আওয়াজকে ভাবগাম্ভীর্য ও বিনয় দিয়ে কোমল করে তুলব; কিন্তু আমার কথাগুলো হবে স্পষ্ট ও বোধগম্য।
এখানে বক্তার পাশাপাশি শ্রোতার দিক থেকেও বিশেষ একটি দায়িত্ব ও সচেতনতার বিষয় আছে। একজন মানুষ আমার সাথে স্বাচ্ছন্দে ও স্বাভাবিক আওয়াজে কথা বলার মতো নির্ভয় ও আশ্বস্তিটা আমি তার ভিতরে তৈরী করছি কি না? নাকি আমার অস্বাভাবিক ভাবগাম্ভীর্য তাকে প্রতিনিয়ত ভীত করে রাখে? অতীতে হয়তো তার কথা শোনার পর অযথাই এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছি কিংবা এমন রাশভার ভাব প্রকাশ করেছি, যে স্মৃতি সর্বদা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। যার কারণে আমার সামনে সে আর স্বাভাবিক হতে পারে না। নাকি বিষয়টা এমন নিজের অজান্তেই আমি অপ্রয়োজনীয় গাম্ভীর্যে নিজেকে দুর্ভেদ্য করে রেখেছি? কথা বলাটা যেমন একটা শিল্প, তেমনি কথা শোনাটাও একটা শিল্প। এ বিষয়ে আমরা আলাদা শিরোনামে আলোচনা করব। এখানে শুধু এটুকু বলে রাখা যাচ্ছে যে, একজন শ্রোতা হিসেবে আমার নিজেকে এই প্রশ্নটা করা দরকার।
আর যেখানে এই ভয় বা সংকোচটা নেই, সেখানে স্পষ্টতা থাকা তো সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান।
তবে, এটা সত্য, আমাদের জীবনে এমন অনেক ঘটনা ও পরিস্থিতি তৈরী হয়, যখন ভয় বা সংকোচের কারণে মুখের ভিতরে কথারা আটকে যায়। কুমারি কন্যা মায়ের কাছে বিয়ের সম্মতি প্রকাশ করতে গিয়ে গলাটা তার কাঁপতেই পারে, অস্ফুটভাবে বাক্যের অর্ধেকটুকু বলে চুপ করে যেতে পারে কখনো কখনো। এমন আরো অনেক পরিস্থিতি হতে পারে, যা আমাদের স্বাভাবিক জীবন প্রবাহের দারুণ বা করুণ বাস্তবতা। একে কেউ অস্বীকার করতে বলছে না।
বড়দের সামনে গলার আওয়াজের নিয়ন্ত্রণ
বড় বা সম্মানিত ব্যক্তিদের সামনে নিচু ও নিয়ন্ত্রিত আওয়াজে শ্রদ্ধাপূর্ণভাবে কথা বলা একটি সাধারণ ভদ্রতা। ভদ্র ও সচেতন মানুষমাত্রই এ নিয়ম রক্ষা করে কথা বলেন। বন্ধু বান্ধব, সহপাঠি বা সমবয়সীদের সাথে যে আওয়াজে কথা বলা যায়, বড়দের সাথে তা করা যায় না। গলার আওয়াজ, শব্দ চয়ন, শরীরের ভাষা ও হাতের নড়াচড়া সব কিছুতেই থাকতে হয় শ্রদ্ধা ও সম্মানের প্রকাশ। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে একবার এক কাণ্ড ঘটল। বনু তামীম গোত্রের লোকজন তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে এলো। তৎকালে যারা গ্রামে বসবাস করতেন, তাদের অনেকে শহুরে আদব কেতার সাথে পরিচিত ছিলেন না। বড্ড সোজাসাপ্টা। তারা নবীজির হুজরা মুবারকের সামনে দাঁড়িয়ে উচ্চ আওয়াজে ডাকাডাকি করতে লাগলেন—‘মুহাম্মদ, আমরা দেখা করতে এসেছি। আপনি বেরিয়ে আসুন।’ কিন্তু সরদারে দু’ জাহানকে এভাবে ডাকা যায় না। এটা তার আকাশচুম্বি মর্যাদার সাথে সাংঘর্ষিক। তাছাড়া তখন হয়তো ঘরের ভিতর তার উপর ওহী নাজিল হচ্ছিল, কিংবা আরো কত ব্যস্ততা থাকতে পারে। যার দায়িত্ব বেশি, তাকে সময়ানুবর্তীও হতে হয় বেশি। ফলে, এসেই হুট করে রুমের সামনে দাঁড়িয়ে ডাকতে শুরু করাটাও অনুচিত ছিল। তাদের উচিত ছিল ভিতরে খবর পাঠিয়ে বাইরে অপেক্ষা করা। এরপর তিনি যখন নিজে বের হয়ে আসবেন, তখন কথা বলা। ফলে সেই লোকগুলোসহ পুরো মানবজাতিকে এ বিষয়ে সতর্ক আল্লাহ তাআলা সুরা হুজুরাতের শুরুর আয়াতগুলো নাজিল করলেন। সেখানে আমরা এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেখতে পাই:
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল থেকে অগ্রবর্তী হয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন। হে ঈমানদারগণ, নিজেদের আওয়াজ নবীর আওয়াজ থেকে উঁচু করো না এবং তার সঙ্গে উচ্চৈস্বরে কথা বলো না, যেভাবে তোমরা একে অপরের সাথে উচ্চৈস্বরে কথা বলো, যাতে তোমাদের আমল তোমাদের অজান্তে নিষ্ফল না হয়ে যায়। যারা রাসূলুল্লাহর নিকট নিজেদের আওয়াজ নিচু রাখে তারাই এমন লোক, আল্লাহ যাদের অন্তরগুলোকে যাচাই করে আদবের জন্য মনোনীত করেছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান। যারা আপনাকে হুজরার পেছন থেকে ডাকে, তাদের অধিকাংশ বুদ্ধিশুদ্ধি রাখে না। তারা যদি ধৈর্যধারণ করত আপনি বের হয়ে তাদের কাছে আসা পর্যন্ত, তবে তাদের পক্ষে উত্তম হত। আর আল্লাহ অতি দয়াশীল, পরম মেহেরবান। (সূরা হুজুরাত:১-৫)
সূরা নূরের অন্য একটি আয়াতেও এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
তোমরা নিজেদের মধ্যে রাসূলের ডাককে একে অপরকে ডাকার মতো সাধারণ বানিয়ে ফেলো না। (নূর:৬৩)
অর্থাৎ, রাসূল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডাকলে তাতে সাড়া দেওয়া তোমাদের জন্য আবশ্যক। তেমনি নিজেদেরকে যেমন নাম ধরে ডাকো বা দূর থেকে জোরে সম্বোধন করো, রাসূলকে সেভাবে ‘হে মুহাম্মদ’ বলে ডাক দেওয়া যাবে না। তাকে ডাকতে হবে কাছে এসে, শ্রদ্ধা ও আদবের সাথে, কোমলভাবে, ‘হে আল্লাহর রাসূল’ বা এ জাতীয় সম্মানজনক উপাধিতে।
পবিত্র আয়াতগুলো নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুউচ্চ মর্যাদার কথা বলে। উম্মতকে শেখায় নবীজির সামনে কীভাবে কথা বলতে হয়। তাঁর মতো মর্যাদাবান তো সৃষ্টিকুলে আর কেউ নেই। এখান থেকে বড়দের সামনে গলার আওয়াজ নিচু রাখাসহ সম্মানের সাথে কথা বলার যাবতীয় সবকও আমরা গ্রহণ করতে পারি। আয়াতগুলো যদিও নাবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ষেত্রে নাজিল হয়েছে, কিন্তু শিক্ষাটুকু নিতে তো সমস্যা নেই।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
